পো...... বাঁশ সমাচার
লিখেছেন লিখেছেন সত্যকথা ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৩:২৮:৩২ দুপুর
সরি জঘন্য এই শিরোনাম ব্যবহার করতেই হলো। জঘন্য কিছু ভাষা ব্যবহার করে সমাজকল্যাণমন্ত্রী যদি পার পেয়ে যান, তাহলে সমাজের একজন নাগরিক হিসাবে আমি কেন বিব্রত হবো। আর হলেই বা কি? আছে না মহসিন ভাই!
স্থানঃ সিলেটের কোন এক কমিউনিটি সেন্টার। বক্তা মাননীয়(!) মহসিন........
‘অন্যায় করবা এর লাইগা তো সম্প্রচার নীতি হইছে। আগে কইছি না আমি, আমি যদি হেই কেবিনেটে থাকতাম তো আরও শ্বাসিত ধরলাম নে (শ্বাস অর্থাৎ গলা টিপে)...। রস বাইর করি ছাড়ি দিতামনে। সাংবাদিক হগল। এখন থাকি সতর্ক হই যাও বাবা, যেটা মনে চায় লিখিও না। আর যেটা মনে চায় দেখাইও না। নাইলে এই সিলেটের পাবলিক তোমাগো... দেখাই দিতে আমার সময় লাগতো নাই। তাহলে আর বিয়াশাদি কইরা বউর ওপর ঘুমাইতে পারতা না। খবিশ হগল। চরিত্রহীন হগল। ট্যাকা দিয়া মাইনষর তোমরা লেইখা ফেলো যেটা মনে চায়। খাও ট্যাকা আরেকজনের আর মহসিন আলীর পোঁদে বাঁশ দিতাই। ইটা আর হইতো না।’ খুব সতর্ক থাকবা। ধরলে কিন্তু ছাড়া হইত না।
সৈয়দ মহসিন আলী, মন্ত্রী, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়
বিশিষ্ট শব্দাবলিঃ
১. শ্বাসিত করলাম নে,
২. রস বাইর করি ছাড়ি দিতাম,
৩. বিয়াশাদি কইরা বউর ওপর ঘুমাইতে পারতা না,
৪. খবিশ হগল্। চরিত্রহীন হগল,
৫. পোঁদে বাঁশ।
বিভিন্ন গনমাধ্যমে এই মধুর কথাগুলো নিয়ে সমালোচনা হওয়ার পর মাননীয় মন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে বলছেনঃ
“সৎ সাংবাদিকতা করেন তাদের প্রতি আমার বীতশ্রদ্ধ নাই। তাদের প্রতি আমার সমালোচনা নাই। সমালোচনা হলো ওদের, যারা পয়সা নিয়ে সাংবাদিকতা করেন। আমি ঘৃণা জানাই এবং তাদেরকে বলি আসেন সৎ উদ্দেশ্যে সাংবাদিকতা করেন। দেশের জন্য সাংবাদিকতা করেন, দেশের উন্নয়নের জন্য করেন। সমালোচনার জন্য সমালোচনা করলে আপনাদের ভালো হবে না। আপনাদের মানুষ খুব ভালোবাসে না। আমি পারি, ওই যে নবীগঞ্জের সাংবাদিক, সিলেটের সাংবাদিক, যারা আমার পাছায় বাঁশ ঢুকাতে চায়, তাদেরকেও যে কোনো পাশে খাড়া করে দিতে পারি। কিন্তু তা আমি করি না। আমি বলব, আসুন আমার সাথে বসুন। আপনারা অন্যায় টিপ্পনী কাটবেন আর আমি সহ্য করব, আমি সেই মহসিন আলী নই।”
সৈয়দ মহসিন আলী, মন্ত্রী, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়
বিশিষ্ট শব্দাবলিঃ
১. পয়সা নিয়ে সাংবাদিকতা,
২. ঘৃণা,
৩. পাছায় বাঁশ ঢুকাতে চায়।
একসময় ‘রাবিশ’ শব্দটাকে প্রায় শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তার ‘রাবিশ’ এবং ‘বোগাস’ শব্দটাকে সংবাদপত্রে স্থায়ী শব্দে পরিণত করতে প্রায়শই আনন্দময় ভঙ্গিতে ব্যবহার করতেন ইংরেজির ছাত্র, ছাত্রজীবনে উজ্জ্বল সাংস্কৃতিক চর্চার অধিকারী পেশাদার কূটনীতিক, এরশাদ সরকারের সাবেক মন্ত্রী এবং মহাজোটের প্রায় স্থায়ী অর্থমন্ত্রী মুহিত সাহেব। আবুল মাল মুহিতের এসব খোলামেলা ‘বোগাস’, ‘রাবিশ’ কথাবার্তা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে কখনো অনুৎসাহিত হয়নি। উৎসাহ পেয়েছে কি না, জানা যায়নি। তবে, মুহিত সাহেবের পদাঙ্ক অনুসরণ করে সংবাদপত্রের পাতায় আরও উজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী। প্রধানম্ত্রী ঘোষিত “সিলেটের তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতা” দাবিদার এই মন্ত্রী মহোদয় তার আচরণ এবং কথা বলার ঔচিত্যবোধে ইতোমধ্যে মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছেন। সম্প্রতি সাংবাদিকরা তার টার্গেটে পরিণত হয়েছেন। এবং মন্ত্রী মহোদয় তার শব্দ উচ্চারণের স্বাভাবিক ভদ্রতার সকল নীতি উপেক্ষা করে সাংবাদিকদের ‘খবিশ’, ‘চরিত্রহীন’ বলেই থামেননি বরং ‘পোঁদে বাঁশ ঢুকিয়ে’ দেয়ার মতো অকথ্য, অশ্লীল এবং অশালীন কথা বলেছেন। তার এসব কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে আলোড়ন তুলেছে। বিশেষত তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, বলার ভঙ্গিমা, তির্যকতা এবং অকথ্য শব্দ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তুললে তিনি সব সাংবাদিকের উদ্দেশে একথা বলেননি বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এবং মাত্র কদিন পর আবার তার আচরণের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছেন।
তো কি আর করা? বন্দে মাতরাম। জয় হে মহসিন! জয় হোক তৃণমুলের নেতার। আপাতত সাংবাদিকরাই বাঁশ খেতে থাকুক। নইলে যে বাঁশটা আরও কারও ........ যাবে।
বিষয়: রাজনীতি
১২৯২ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন