১৫ই এপ্রিল থেকে রাজধানীতে আর চলবে না ফিটিং বাজি
লিখেছেন লিখেছেন এ এম ডি ০৫ এপ্রিল, ২০১৭, ০৮:২৬:০৫ সকাল
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় ইঞ্জিনিয়াস ইন্সটিটিউশনের মিনি অডিটরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ ঘোষনা দিয়েছেন রাজধানীতে আগামী ১৫ই এপ্রিল থেকে আর কোন সিটিং বা গেটলক এবং স্পেশাল সার্ভিস নামে কোনো সার্ভিস চলবে না । তিনি আরো বলেছেন রুট পারমিটে সিটিং সার্ভিস বলতে কোনো শব্দ নেই। সিটিং সার্ভিসের নামে কোনো পরিবহন যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে পারবে না। সিটিং বাদ দিয়ে স্ট্যান্ডিং যাত্রী নিলে বেশি যাত্রী যেতে পারবে। এতে করে মালিকদেরও আয় বাড়বে। এরপরও কোনো পরিবহন এ বিষয় না মানলে আমরা বিআরটিএ ও ডিএমপির সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেব। ঢাকার শহরও শহরতলীতে সাড়ে ৪ হাজার পরিবহন চলাচল করে।আলোচনায় আরো সিদ্ধান্তে জানানো হয়, যাত্রীদের কাছ থেকে কোনোভাবেই অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া যাবে না। সরকারের নির্ধারিত চার্ট অনুযায়ী ভাড়া আদায় করতে হবে। গাড়িতে থাকা ছাদের উপর, ক্যারিয়ার, সাইড অ্যাঙ্গেল এবং অতিরিক্ত সিট খুলে ফেলতে হবে।রংচটা রংবিহীন এবং জরাজীর্ণ গাড়িগুলো দৃষ্টিনন্দন করে রাস্তায় চালাতে হবে। প্রতিটি বাস ও মিনিবাসে মহিলা এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ভিজিল্যান্স টিমও গঠন করা হবে।
বিষয়: বিবিধ
১১৭২ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বাসওয়ালাদের এরকম ভেলকিবাজি আমাদের কাছে মোটেও নতুন না ।
বাংলাদেশে যানবাহনের ভাড়া বাড়লে সেটা কমার কোন নজির আছে বলে আমি জানি না।
বাসওয়ালারা এমন একটা সংগঠন যে তারা ক্যাচাল বাঁধাতে চাইলে সারা দেশ অচল করে দিতে পারবে । পারে আদালতে রায়কে ডিনাই করতে। এটা আমরা গত মাস খানেক আগে টের পেয়েছি।
অন্যান্য পরিবহন সংস্থার চেয়ে তুলামূলকভাবে এই সড়ক পরিবহন খাত গুন্ডা মাস্তানে ভরপুর। যে কোন রাজনৈতিক দলের কার্যকর ক্যাডার বাহিনী এই সড়ক পরিবহন থেকেই আসে।
এদেরকে খেপিয়ে কোন কাজ সরকার কখনই করবে না । আর সিটিং থেকে স্ট্যান্ডিংয়ে রুপান্তরের ফলে যে টাকা খসবে তা তো জনগনের পকেট থেকেই এবং এর একটা ভাল এমাউন্ট জমা পড়বে রাজনৈতিক দলগুলোর কোষাগারে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন