আমার শৈশবের স্মৃতিময় দিনগুলো
লিখেছেন লিখেছেন এ এম ডি ২৯ অক্টোবর, ২০১৫, ০৫:০৪:৫২ সকাল
জীবন এত সুন্দর হয় মধুময় হয় পৃথিবী কততা সুন্দর তা সুধু শৈশবে বুঝা যায় ।এখন হয়ত বড় হয়েগেছি তাই বলে কি শৈশবের কথা কখন ভুলা যায় ।শৈশবের সময় প্রতিতা সময় প্রতিতা মুহুর্ত মনে হয় জীবনের রং বদলের পালা থাকে আর ঐ সময় শুধু মনে হয় জীবনের সব কিছু কত সুন্দর । আর একবার বয়স হয়ে গেলে একটু শৈশব কালের স্মৃতিতে হাত বুলালে বোঝা যায় ।
জীবনের যত সুন্দর আছে ও যত সুখ আছে সবই শুধু শৈশবের সময় লুকিয়ে থাকা স্মৃতির ভিতরে । একেক বার মাঝে মাঝে শৈশবের জানালায় উঁকি দিতেই মনে মনে ভাবি কেন ফিরে যেতে পারি না শৈশবের দিন গুলিতে। শৈশব কালে কত গাছে গাছে ঝুলেছি ।
মুগ্ধ হওয়ার মত অনেক স্মৃতি জরিয়ে থাকে শুধু শৈশব কালে ।
মনে পড়ে জোনাক জ্বলারাতে বাঁশবাগানে মাথার উপর কাজলা দিদির কথা । মনে পড়ে মায়ের হাতে ভাত মাখিয়ে খোকনকে ডাক পারার কথা । মনে পড়ে চাঁদ মামা কপালে টিপ দিয়ে যাওয়ার কথা
আর কত শত শৈশবের মধুময় স্মতির কথা।
শৈশবে ছিল মায়ের মুখে শোনা সুয়োরানী-দুয়োরানী,পাতালপুরীর রাজকন্যা,,আর কতশত রুপ কথার গল্প মালা।জীবন আর সময় দুটোয় কেউ থেমে নেই এগিয়ে চলছে বয়সের সাথে পাল্ল দিয়ে সময় ।
আমিও থেমে নাই বয়সের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে উঠেছি । আজ অনেক বড় হয়ে গেছি ঘর সাংসার হয়ে গেছে তার পড়েও শৈশবের কথা কিছুতেই ভুলা গেলো না । মাঝে মাঝে প্রায় সময় এখন শৈশবের কথা মনে পড়ে আর শৈশব কালের সেই মধুময় স্মৃতির কথা গুলো মনে পড়তেই থমকে দাঁড়াই। অনেক সময় শৈশবের কথা মনে পড়তে দুই নয়ন আমার অশ্রুতে ভিজে উঠে ।
মনে পড়ে শৈশবে সেই লাটিম গুরানো নাটাই সূতা দিয়ে ঘুড়ি ওড়ানোর কথা।
আমি শৈশব-কৈশর কালে বেশ কিছু দিন গ্রামে কাটিয়েছি আমার সাথে আমার মা থাকতেন দাদি ছিলো চাচা ফুফু ছিলো বাবা চাকরি করায় তাকে শহরে থাকতে হয় । আত্মীয়স্বজন সকলের কলকাকলিতে আমাদের বাড়িটি ছিল মুখর-ময় । আমাদের বাড়ির পিছনে বাগান ছিল আর বাগানে আম,কাঠাল,জাম,পেয়ারা,পেপে,আর কতশত ফল আর সে ফল গাছ থেকে পেরে খাওয়ার আনন্দ লাগে তা শুধু শৈশবের কথা মনে পড়লে বোঝা যায় ।
আমাদের পরিবারে আমি ছিলাম সকলের আদরের ভিশেষ করে আমার দাদি আমাকে রাতে ঘুম পাড়াতেন নানান ধরনের রাজপুত্র দের গল্প শুনিয়ে আর আমি সেই গল্পকে বাস্তব মনে করে ঘুমের ঘরে কল্পনায় কত যে রাজ পালংকে শুয়েছি,,ময়ূরপঙ্কখিরাজে উঠে বেড়িয়ছি তা বোলে শেষ করা যাবে না ।
বাড়ির পাশ্বে ছিল স্কুল আর শৈশবের কত সময় কেটে গেছে স্কুলের মাঠে,,গোল্লাছুট,,কানামাছি,,বউচি,,ফুলটোকা,,সাত চারা ,,আর কত শত খেলা ।
বাড়ির পাশ্ব দিয়ে চলে গেছে রেল লাইন আমরা বিকেল বেলা যেতাম সেই রেল লাইনের ধারে বেরাতে আর রেল লাইনের দুইপাশ্বে ছিল অনেক বরই গাছ আমরা কত যে সে বরই গাছ থেকে বরই খেয়েছি তাও নাই জানা।
খালের পানিতে ভেসে থাকত কত কচরিপানা আর যখন সে কচরিপানাতে বেগুনী রংঙ্গের ফুল ফুটতো তা চেয়ে চেয়ে অনুভব করতাম পৃথিবী কতই না সুন্দর আর তারাও আমাকে বেশ আকর্ষন করতো।
কত ছোট ছোট তুচ্ছ জিনিস গুলোকে মনে হোতো পৃথিবীর সব থেকে মহামূল্যবান জিনিস ।
একবার আমি মার কাছ থেকে আবদার করে একটি টিনে বাক্স চেয়ে নিলাম আর তাতে অনেক যত্ন করে তুলে রাখলাম আমাদের
পুরোনো দিনের ভাংঙ্গা রেডিও ,,আমার বাবার হাতের সিকোফাইব সে ঘড়ি টা,, এবং আমার একটি কলম আর কতশক জিনিস।
কে ফিরিয়ে দিবে আমাকে সে শৈশবের স্মৃতিময় দিন গুলি ।
বিষয়: সাহিত্য
২৩৯৯ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনেক ধন্যবাদ
জীবনের চলন্ত গাড়ির ব্রেক কষে ব্যাকগিয়ারে গিয়ে আবারো শৈশবে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে হয়!
চমৎকার স্মৃতিগাঁথার জন্য শুকরিয়া! লিখাটি খুবই সুখপাঠ্য হয়েছে।
দ্বায়িত্ব এসে পড়লেই সেই কাল আর স্মৃতিমধুর থাকে না ।
এমন অনেকে আছে যাদের শৈশবেই ছুটতে হয় দ্বায়িত্বের বোঝা কাঁধে নিয়ে
মন্তব্য করতে লগইন করুন