আসুন আমাদের সমাজকে ধুমপান মুক্ত করি
লিখেছেন লিখেছেন এ এম ডি ১৬ অক্টোবর, ২০১৪, ০১:৩৯:০৮ দুপুর
দিন দিন পৃথিবীর সকল দেশে ধুমপানের সংখা বেড়ে চলছে । ধুম পান হোলো সমাজের এক শ্রেনীর কিছু ছোট বড় মধ্যে বৃত্ত মানুষে একটি কুঅভ্যাস । আমাদের দেশে নয় শুধু সাড়া পৃথিবীর চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতামত মতে মানব দেহে নানান রোগের মূলে রয়েছে এখন ধুমপান ।
শুধু ধুমপান কারীরা ধুমপান করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা নয় ধুমপান করার সময় তার আশে পাশে যে অধুমপানকারী থাকে সে তার চেয়ে আর বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে । বিশেষ করে যে পরিবারে নবজাতক শিশু থাকে আর সে পরিবারে যোদি কেহ দুম পান তাতে নবজাতক শিশুর অনেক ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা থাকে ।
ট্রেনে বাসে লঞ্চে যাত্রী বিশ্রামঘরে ধুমপানকারীর বিড়ি সিগেরেটের ধোয়া সব সময় নানান ভাবে পরিবেশ দূষিত করে চলছে । ধুমপান না করেও নারী শিশু বৃদ্ধ সব বয়সি মানুষ সব সময় ক্ষতিগ্রস্ত হোচ্ছেন ।
আমাদের সাধারনত শৈশব কৈশোর থেকে ধুমপানের মতো কুঅভ্যাবাসটি গড়ে ওঠে । আর এতে আমাদের কোনো উপকার হচ্ছে না বরং ক্ষতি হচ্ছে । নানান ভাবে বা নানান কারনে আমাদের সমাজের শিশু কৈশোরদের মধ্যে এ কুঅভ্যাবাসটি গড়ে ওঠে । শিশুরা বা অল্প বয়সের ছেলে মেয়েরা সাধারনত একটু কৌতুহলী হয়ে থাকে এটা আমরা সবাই জানি । আর তারা তাই সব কিছুর স্বাদ গ্রহন করতে চায় । তারা খুব সহজ মনে সব কিছু উপভোগ করতে চায় । সে বুঝে হোক আর না বুঝেয় হোক । বিশেষ করে বড়দের দেখাদেখি বা বড়দের কাছ থেকেয় শিশুরা ধুমপান করা শিখে । তাই আমাদের সকলকে সব সময় সতর্ক থাকা উচিত আমাদের ছেলে মেয়েদের ও ছোট ভাইবোনদের কথা ভেবে ।
নানা ধরনের তামাক পাতা থেকে তৈরি হয় বিড়ি সিগেরেট । আর তাতে সুগন্ধি রাসায়নিক পদাথ্য ব্যবহার করা হয় । ধুমপান ভিবিন্ন ভাবে করা হয় অনেকে গ্রামে দেখা যায় কিছু কিছু মানুষ হুক্কার ভিতরে তামাক দিয়ে ধুমপান ব্যবহার করেন ।
অনেকে পানের সাথে জদ্দা ব্যবহার করে ধুমপানের সম উপযোগী কাজ করছেন । এটা সত্য আমরা যে যেভাবেয় ধুমপান করে থাকি বা ব্যবহার করে থাকি তামাকের নিকোটিন নামক যে বিষ আছে আর তাতে আমাদের শরীরের ক্ষতি হচ্ছে । সোজা এক কথা ধুমপান করা আর বিষ গ্রহন করা একই কথা ।
আমাদের হয়ত অনেকের জানা নাই প্রতেকটি বিড়ি বা সিগেরেটে একটি মানুষের ছয় থেকে সাত মিনিটের আয়ু কমে যায় । ধুমপানের কারনে আমাদের শরীরে নানান ধরনের জটিল রোগ দেখা দেয় অবশেষে তা ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগের পরিনত হয় । যা
শেষ হয় মৃত্যুর মাধ্যোমে ।
তাই আসুন আমরা সকলে মিলে আমাদের সমাজে ধুমপান মুক্ত হবার পরিবেশ উৎসাহের মাধ্যমে সৃষ্টি করি । তাতে ধুমপান দূরনীয় হোতে পারে । ধুমপান করা যে আত্মহত্যা করা এ কথাতা বুঝাতে পারলে তাহোলে আর অনেকেই ধুম পান করবে না । বিশেষ করে মা বোন ও স্ত্রী হিসেবে ধুমপানের বিরুদ্ধে তারা যোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারেন । জাতীয় প্রচারের মাধ্যমে ধুমপান বিরোধী প্রচারনা চালানো যেতে পারেন ।এ বিষয়ে আমাদেশের সরকারকেও বিশেষ কিছু ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত ।
তাই আমরা আমদের জাতিকে ধুমপান মুক্ত করতে চাইলে আমাদের সকলকে হোতে হবে সচেতন এবং গড়ে তুলতে হবে গনসচেতন ও বৃদ্ধি করতে হবে সামাজিক দায়িত্ব বোধের গনজাগরণ ।
বিষয়: আন্তর্জাতিক
১১৩১ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ পোষ্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ।
আমি আজ সাড়ে তিন বছরেরও বেশী হল ধুমপান ছেড়ে দিয়েছি।
এটা কোনো ব্যাপারই নয় ছাড়ার জন্য।
ধন্যবাদ এমন প্রয়োজনীয় লিখাটির জন্য।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
ভাই আমি নতুন লেখক তাই প্রিয় টুডেব্লগর কৃতপক্ষের কাছে আমার একটি অনুরোধ এবং দাবী বিষয়টি যেন সকলের নজরে আনা হয় । ধন্যবাদ প্রিয় মামুন ভাই
সমাজকে ধুমপান মুক্ত করা সম্ভব নয়-
তবে ব্যক্তিকে ধূমপান ছাড়ানো সম্ভব
সম্ভবটা করতে থাকলে অসম্ভবটা ধরা দেবে-
কিন্তু অসম্ভবের পিছে ছুটাছুটি করে কোনটাই হবেনা-
এতকাল যেমন হয়নি
পাহাড় সরানো যায়না,
পাহাড়ের পাথরগুলো ভেংগে ভেংগে সরাতে হয়-
একদিন পাহাড় ঠিকই হারিয়ে যাবে!
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
মন্তব্য করতে লগইন করুন