একটি অসমাপ্ত গল্প
লিখেছেন লিখেছেন এ এম ডি ১৫ অক্টোবর, ২০১৪, ০২:৩৫:২৭ রাত
শেফালীর সাথে মিজুর প্রেমের বয়স মাত্র বছর দুই চলে । কেবল মাত্র মিজু ইন্টার পরিক্ষা দিয়েছেন । সংসারে অভাবের কারনে মিজুর আর পড়া লেখা হবে না তাই মিজু শহরে থাকা তার এক বন্ধুর মধ্যমে একটি অফিসে তার চাকুরি এ্যপলাই করেন । একদিন সকালে পিয়ন এসে মিজুর হাতে একটি চিঠি দিলেন । মিজু চিঠিটি খুলে দেখে তার এপারমেন্ট লেটার আর মাত্র একদিন বাকি আছে মিজুকে এই একদিনের ভিতরে শহরে যেতে হবে এবং চাকুরিতে তাকে ইন্টারভিউ দিতে হবে ।
সময় কম এবং হঠাৎ করে সংবাদটি পাওয়ায় মিজু যাবার সময় শেফালীকে বলে যেতে পারেন নাই । মিজু শহরে চাকুরি ইন্টাভিউ দেওয়ার জন্য চলে যান । মিজুর এই প্রথম ঢাকা শহরে আছা । সে শহরের কিছুই চিনে না তাই তার বন্ধুর লেখে দেওয়া চিঠির খামের ঠিকানা অনুযাই সে তার বন্ধুর বাসায় যেয়ে উঠলেন ।
বন্ধু তুষার মিজুকে অফিসের ঠিকনা দিয়ে তাকে বাসায় ঘন্টা দুই রেষ্ট নিয়ে চলে যেতে বল্লেন । মিজু বাসায় আর বন্ধু তুষার অফিসে চলেগেলেন ।
তখন বাজে সকাল ৮টা মিজু হাতে সময় পেলেন দুই থেকে তিন ঘন্টার । তাই সে সকালের নাষ্টা ছেড়ে ঘন্টাখানিক ঘুমিয়ে নিলো ।
মিজু ঘুম থেকে উঠলো এবং ঘড়ির দিকে চেয়ে দেখলো সকাল ৯.৪৫ মিনিট বাজে সে গোসল শেষ করে পোশাক চেঞ্জ করে দ্রুত অফিসে চলে গেলো ও ইন্টার ভিউ দিলো
মিজুর ইন্টারভিউ ভালো হয়েছে সে ভালো বেতন এবং ভালো একটি পদে চাকুরি পেলো।
বেশ ভালো চলতেছিলো চাকুরি খানা । চাকুরির বয়স প্রায় বছরখানিক হয়ে এসেছে এরমধ্যে সে অনেকদিন গত হলো গ্রামের বাড়ি যায়নি শুধু মাসে মাসে বেতনের টাকা
থেকে তার খরচের জন্য কিছু টাকা রেখে বাকি সব টাকা মিজু গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিতেন ।
একদিন সকালে মিজুর কাছে একটি চিঠি আছে ।শেফালীর বাবা শেফালীকে জোড় করে গ্রামের মোড়লের ছোট ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দিতে চায় তাই শেফালী গত কয়েক মাস থেকে সে তার এক খালার বাড়ি পালিয়ে চলে গেছে । শেফালী তার খালার বাড়ি থেকে চিঠিটি পাঠিয়েছে । চিঠিতে শেফালী মিজুকে বলেছেন সে যোদি সত্যয় শেফালীকে ভালো বাসে তাহোলে যেন মিজু অবশ্যয় শেফালীকে বিয়ে করার জন্য অতি শিগ্রই কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করে বা প্রস্তুটি নেয় ।
মিজু চিঠি খানা পড়িয়া একটু ভাবিয়া উঠলেন মাত্র কয়েক মাস হয়েছে চাকুরি নিয়েছি এখন বছর হয় নাই চাকুরি বয়স । এখন যোদি শেফালীকে আমি বিয়ে করি তাহোলে সামনে আমাদের একটু সমস্যা হবে । সংসার চালাতে আমার কিছুটা সমস্য দেখাদিবে ।
কারন আমি যা বেতন পাই তাতে টেনেহেচড়ে চালিয়ে নিতেছি ।
আবার শেফালীকে না করা যাবে না কারন এত দিনের প্রেম শেফালীকে না করলে নিশ্চিত সে আত্মহত্যার রাস্তা বেছে নেবে । নাহ তাকে না করা যাবে না । বরং শেফালীকে আমি বিয়ে করবো।
মিজু শেফালীকে চিঠি লেখে দিলেন ।
প্রিয়তমা শেফালী তুমি কোনো চিন্তা কোরো না আমি আগামি সপ্তাহে আসছি এসে তোমায় নিয়ে যাবো বাড়িতে এবং বিয়ে করবো সেখানে । তুমি আগামি রবিবার চট্রগ্রাম ট্রেন স্টসনে থাকবে সেখান থেকে তুমি আর আমি বাড়িতে যাবো এবং সেখান থেকে বিয়ে করে আবার তোমায় নিয়ে ঢাকা চলে আসবো । মিজু চিঠি পোষ্ট করে দিলেন ।
চিঠি শেফালীর হাতে পৌছালো । চিঠি পেয়ে শেফালী মনের সুখে দিন গুনছে । শেফালী দিন গুনতে গুনতে রবি বার এসে পড়লো শেফালী তার খালার বাড়ি থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলেন স্টসনে ।
শেফালী স্টসনে অপেক্ষা করছে আর মাঝে মধ্যে মিজুকে নিয়ে নতুন সংসার সাজানোর স্বপ্ন দেখছে ।
দেখতে দেখতে রাত দশটা বেজে গেলো ঐ তো দেখা যাচ্ছে মিজু আচ্ছে কিন্তু মিজুর মন একটু খারাপ দেখা যাচ্ছে । মিজু এসে শেফালীর পাশে বসলো । শেফালী মিজুকে জিজ্ঞাসা করলো মিজু তোমার কি হয়েছে মন খারাপ কেন মিজু শেফালীকে বল্ল না তেমন কিছু হয় নায় ।
ঢাকা থেকে চট্রগাম আসা আবার যাবো বাড়িতে বাড়ি থেকে আবার ঢাকা অনেক বড় জার্নি তাই শরীর অসুস্থ ও মন একটু চিন্তিত । যাই হোক চলো ট্রেনে ওঠা যাক ট্রেন ছাড়ার সময় হয়ে গেছে ।
শেফালী এবং মিজু ট্রেনে উঠলো । ট্রেন ছাড়লো ট্রেন চলতেছে । তাদের সিটের সামনের সিটে কয়েকটা বখাটে ছেলে শেফালীকে খুব বিরক্ত করতে চাইলো কিন্তু শেফালীর পাশে মিজু থাকাতে তারা তেমন বিরক্ত করতে পাড়লো না ।
ট্রেন তাদের স্টফিজ পযন্ত চলে আসলো তারা ট্রেন থেকে নামলো । শেফালীর প্রতিদিন সকালে সংবাদ পত্র পড়ার অভব্যাশ তাই শেফালী ট্রেন থেকে নেমে একখানা সংবাদ পত্র
কিনলেন ।
শেফালী সংবাদ পত্রটি খুলতেয় একবার তার চোখ মিজুর দিকে আরেক বার সংবাদ পত্রের দিকে ।
শেফালী দেখতে পেলো সংবাদ পত্রে লেখা আছে শনিবার সকাল ৮ টায় ঢাকা কমলা পুর স্টসনে এক জন ব্যক্তি ট্রেনে লাইন পাড় হওয়ার সময় ট্রেনে কাটা পড়েছে । সে ব্যক্তি আর কেও নয় সে হোলো মিজু ।
মিজু শেফালীকে বলছে এটাই সত্য শেফালী । শুধু তুমি বাড়ি পযন্ত যাতে ভালো করে পৌছাতে পাড়ো সে জন্যই সৃষ্টি কর্তা আমাকে এপযন্ত সময় দিয়েছে । এখন যে শেফালী আমার বিদায়ের পালা । বাড়িতে চলে যাও শেফালী অন্য কাউকে বিয়ে করে সংসারি হও
পাড়লে আমাকে ক্ষমা করে দিও বলে মিজু বিদায় নিয়ে চলে গেলেন ওপাড়ে ।
বিষয়: সাহিত্য
১৩৪৬ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অতিপ্রাকৃতব্যাপার-স্যাপার সাহিত্যের পাঠকের জন্য কৌতূহলোদ্দীপক হলেও বাস্তবে তেমন কোন কল্যান আছে বলে মনে হয়না!
তবুও আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
ভালো লিখেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা রইলো।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
দোয়া করিবেন
আমি আপনাদেরকে বিনীত অনুরোধ করছি, আপনারা এমন গল্প বা কাহিনী লিখুন যেখানে পাত্র-পাত্রীদের ন্যূনতম পর্দাটুকু পালন করতে হয়। ইসলামী বিধানের বাইরে কিছু লিখে যুব সমাজকে বিপথগামী হতে অনুপ্রেরণাদানকারী হিসেবে চিহ্নিত হবেন না।
কথা মানার ।
অতি দুংখের বিষয় আজ একটি পোষ্ট দিয়েছিলাম । পোষ্টটি নির্বাচিত পাতায় দেখা গেলো না ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন