সুন্দর বন ভ্রমন
লিখেছেন লিখেছেন এ এম ডি ১৩ অক্টোবর, ২০১৪, ০২:১০:৫০ দুপুর
কয়েক বছর আগের কথা তাউ চার থেকে পাঁচ বছর হবে ।
একদিন চায়ের দোকানে বসে তিন বন্ধু মিলে চা আলাপ করতে ছিলাম । আমি ছিলাম ,,নাছিম ছিল,,আর মহিন ছিল । নাছিম হঠাৎ করে সুন্দর বনের কথা তুলেন নাছিম বল্ল কয়েক বছর আগে সে একবার সুন্দর বন গুরতে গেছিল । সুন্দর বন নাকী দেখতে খুব সুন্দর একটি জায়গা ও সুন্দর বনে সরাসরি রয়েলবেঙ্গল টাইগার ,,হরিন,,বানর,,কুমীর আর নাকী অনেক কিছু দেখেছে। তাই ওর কথা শুনে প্রথমে আমি হেসে দিলাম হেসে দিয়ে বল্লাম আরে এ আর কি দেখার হল এ দেখতে চাইলে সুন্দর বন যাব কেন ওতো আমরা মিরপুর চিড়াখানায় গেলে দেখতে পারি । কিনতু নাছিম এমন ভাবে বল্ল আরে চিড়াখানায় ওদের কত বছর না কত বছর আগে ধরে এনে খাচায় আতকিয়ে রেখেছে তার কোন ঠিক নাই ।
চিড়াখানা যে পশু পাখি গুল বন্দী আছে তাদের কোন সারাসব্দ নাই
চিড়াখানার কৃতপক্ষেরা মনে হয় ওদের ঠিকমত খাবার দেয় না ও
চিড়া খানার পশুদের সেবা যত্ন নাই তাই চিড়াখানার পশুদের দেখলে মনে হয় ওরা জীবিত থেকেও মরে আছে ।
আর সুন্দর বন ওহ দেখলে মনে হয় প্রাণময় একটি পরিবেশ ।
জায়গার নাম যেরকম দেখতেউ ঠিক সেরকম । একবার গেলে আর সহজে আস্তে মনে চায় না । বেচারা মুহিন নাছিমের কথা শুনে
তখনি সুন্দরবন যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছে ।
মুহিন নাছিমকে জিজ্ঞাসা করল সুন্দর বন কি ভাবে যাওয়া যায় ।
নাছিম বল্ল কেনরে যাবি নাকী মুহিন বল্ল হ্যা যেতে চেয়েছিলাম ।
নাছিম বল্ল ঠিক আছে যেতে চাছ যাবি এত তারার কি আছে আমি তোদেরকে সাথে করে নিয়ে যাব কালকে ঈদুল আযাহ কাল সারাদিন গরু কাটাকাটি করতে দিন শেষ হয়ে যাবে চল আমরা তিনজন মিলে ঠিক ঈদের পরদিন রাতের গাড়িতে খুললায় যাব তার পর ওখান থেকে মং লা এবং মংলা থেকে করম জল যাব ।
পরে ঐ দিন চলে গেলাম যার যার বাসায় ।
পর দিন মানে ঈদের দিন সকালে উঠে ঈদের নামাজ পড়ে চলে গেলাম আমার বড় বোনের বাসায় । ঈদের দিন সারা দিন বড় বোনের বাসায় থেকে গরু কাটাকাটি করে বিকেলে বাসায় ফিরে
ফ্রেস হয়ে নাছিম কে ফোন দিলাম দেখি তার ফোন বন্ধ ।
পরে খবর পেলাম নাছিম হঠাৎ করে তার শশুর অসুস্থ হওয়ায় চলে গেছে তার শশুর বাড়িতে । এ দিকে ঈদের দিন রাতে মুহিন আসলো আমার বাসায় এসে আমাকে বল্ল কিরে সব ঠিক আছে কালকে আমাদের যাওয়া কনফ্রাম আমি বল্লাম হ্যা সবই ঠিক আছে
কিন্তু নাছিম চলে গেছে ওর শশুরবাড়ি কি বলিছ তাহলে বলে মুহিনের মন খারাপ হয়ে গেল দেখি মুহিন অনেক রাগ করছে ।
মুহিন মন খারাপ করিছ না আগামী কালকে যে ভাবে সুন্দর বন যাওয়ার কথা ছিল ঠিক ঐ ভাবে যাওয়া হবে শুধু নাছিম থাকবে না
তুই আর আমি আমরা দুই জনে যাব ।
ঈদে পরের দিন বিকেলে মুহিন আমার বাসায় আসল আমার দুই জন মিলে রাত আটটার দিকে বাসা থেকে খাওয়া দাওয়া করে বেরিয়ে গেলাম সুন্দর বনের উদ্ধেছে ।
গেলাম বাড্ডা থেকে সায়েদা বাদ বাস স্টান্ড ওখান থেকে খুললার
গাড়িতে উঠলাম রাত বারতা পাঁচ মিনিটে গাড়ি ছাড়লো ঠিক পরদিন সকাল ছয়টার সময় আমাদেরকে নামিয়ে দিল খুলনা ।
মুহিন বলছে মামুন ক্ষিধে লেগেছে কিছু খাওয়া দরকার বললাম চল কোন হোটেলে বসে আগে দুইজনে সকালের নাষ্টা শেষ করি মুহিন বলল চল ।
পরে এক হোটেলে বসে দুই জন মিলে সকালের নাষ্টার পর্ব শেষ করলাম । হোটেলের মালিককে বল্লাম ভাইয়া আমরা সুন্দরবন যাব কি ভাবে গেলে সুবিধা হয় লোকটি বল্ল আপনেরা এখান থেকে বাসে উঠবেন মংলা নামবেন বাসে ভাড়া নিবে ৬০ থেকে ৮০ টাকা ২ ঘন্টার রাষ্টা আবার ওখান থেকে মানে মংলা থেকে সমুদ্র পার হয়ে ওপারে যাবেন নৌকা দিয়ে তার পর ওখানে আপনেরা বোড পাবেন সুন্দর বন যাবার ।
হোটেল থেকে বাহির হয়ে আমি আর মুহিন ঠিক হোটেলের মালিকের কথা অনুসারে মংলা এসে পৌছালাম পরে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি সময় তখন ১২ টর মত বাজে মুহিন কে বললাম না আজ আর সুন্দর বন যাবনা আগে চল কোন আবাসিক হোটেলে উঠে আমরা আজকের দিনটা রেস্ট নেই কাল সকালে সুন্দর বন যাব মুহিন বল্ল ঠিক আছে চল তাই করা যাক ।
একটি হোটেলে উঠলাম হোটলটির নাম মনে নাই তবে দুইজনের জন্য সিঙ্গেল বেড করে দুই বেডের একটি রুম নিলাম পার রাত একেক বেডের ভাড়া ২৫০ টাকা করে ।
পরে দুপরের খাবার শেষ করে রুমে ডুকলাম একটু রেষ্ট নিলাম বিকেল হয়ে গেল পরে হোটেল থেকে দুই জনে বাহীর হইলাম একটু সময় মংলা পোট ঘুরে দেখলাম ।
রাতের খাবারের পর্ব শেষ করে হোটেলে ডুকে রিসিপসনে গীয়ে জিজ্ঞাসা করলাম আমরা সুন্দর বন যেতে চাই কিভাবে কি রিসিপসন বল্ল আপনাদের আগে নদীর ঘাটে যেতে হবে ওখান থেকে বোড ভাড়া করে রাখতে হবে এখন তাহলে সকালে সুন্দর বন যেতে পারবেন । আমি আর মুহিন হোটেলের রুমে আসলাম
এসে দেখি এক ভদ্র লোক মধ্যো বয়সের এসে আমাদের রুমের সামনে দাড়িয়ে আছেন বল্লাম আঙকেল কিছু বলবেন উনি বল্ল হ্যা বাবা তোমরা দুইজনে মিলে কি এ রুম নিয়েছ জি আঙকেল তোমরা কি সুন্দর বন যাবে বল্লাম জি আঙকেল কিনতু আপনি কে আপনাকে ঠিক চিনলাম নাত উনি বললেন বাবা আমার বোড আছে চাইলে তোমরা দুজন আমার বোডে যেত পার দুই জনের ছয়ছত টাকা লাগবে সকালে নিয়ে নামিয়ে দিয়ে আসব আবার দুপর ১২ কি ১ টার সময় নিয়ে আসব আমরা ওনার কথায় খুশি হয়ে গেলাম এবং উনাকে ৩০০ টাকা অগ্রিম দিয়ে দিলাম ।
উনি খুশি হয়ে চলে গেলেন আমি আর মুহিন ঘুমালাম ।
পরদিন সকাল ৮টার ভিতরে দুই বন্ধু নাষ্টা করে প্রষ্তুত ইতী মধ্যে বোড ঘাটে আসল আমরা চলে গেলাম ঘাটে বোডে উঠলাম প্রায় ১ ঘন্টার মত লাগল আমাদের যেতে যেয়ে পৌছালাম স্বপ্নের
সুন্দর বনে ।
বোড থেকে নাম লাম দুইজনে নেমে প্রথমে কিছু হরিন আর হরিনী দেখতে পেলাম একটি খাচায় আটকানো তার পরে কিছু বানর দেখলাম একটি খাচায় আটকান পরে কি ছু কুমিরের ডিম ও বাচ্চা
দেখলাম একটি কুপের মত করে বানিয়ে সেখানে আটকিয়ে রেখেছেন । আস্তে আস্তে বনের অনেক ভিতরে চলে গেলাম কিন্তু রয়েল বেঙ্গল টাইগার দূরের কথা একটি বানর পযন্ত বনে দেখতে পেলাম না ।
বিষয়: বিবিধ
১৪৫৭ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
লিখবার সময়ে কিছু কিছু টাইপিং মিস্টেক হচ্ছে আপনার, পোষ্ট করাবার আগে একবার দেখে নিবেন
যেমন প্রথম লাইনেই-তাউ(হবে তাও); শেষের দিকে বোড (হবে বোট) এগুলো পাঠককে কিছুটা বিব্রত করে।
তবে অন্যান্য সব কিছু ঠিক আছে (আমি যতটুকু বুঝি আর কি)।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
পড়লাম, জাযাকাল্লাহ.. দোয়া করি
[বানাভসতর্কতা ও পূণঃনিরীক্ষণ অনুসরণীয়]
সুন্দরবনে গিয়েছি প্রায় ১৭ বছর আগে। তবে সেই অভিজ্ঞতা এখনও স্মৃতিতে অম্লান। গাইড ট্যুর এর জাহাজে করে সুন্দরবন এ বেড়ানর ইচ্ছা ছিল।
মন্তব্য করতে লগইন করুন