ছোট গল্পঃ সুকর্ণা মানে একটি স্বপ্ন....
লিখেছেন লিখেছেন এ এম ডি ০৪ অক্টোবর, ২০১৪, ১১:০৫:৩২ রাত
আমি সুকর্ণার ভাই রায়হান কে খুব পছন্দ করতাম সেও আমাকে খুব ভালোবাসত সেদিন আমার অফিস ছুটি থাকাতে আমার রায়হানকে ডাকতে ওদের বাড়িতে যাওয়া । আর ওটাই ছিল ও বাড়িতে আমার প্রথম যাওয়া । দিনটি খুব মিষ্টি মুখরময় ছিল সে দিনি প্রথম আমার সূকর্ণা সাথে পরিচয় সে ঘরের মেঝে বসে আমের আচার বানানোর প্রচেষ্টা করছিলো ।
মা এসে বলছে কিরে মা হলো তোর না আর একটু বাকি অথচ সূকর্ণা তখন একটি আম কেটে শেষ করতে পারেনি । আমি ওদের শোফা সেটে বসা আন্টিকে দেখে ভদ্রতা বজায় রেখে দাড়িয়ে গেলাম । আন্টিকে সালাম প্রদান করলাম উনি সালামের উত্তর দিয়ে চলে যাচ্ছিলেন কি যেন মনে করে পিছু ফিরে আমার দিকে তাকালে এবং প্রশ্ন কে বাবা তুমি তোমাকে আগে কখন আমাদের বাড়িতে দেখেছি বলে মনে হচ্ছে না ।
জি আন্টি আমি আপনাদের বাড়িতে আজই প্রথম । আমি আপনাদের পাশের বাসায় আজ কয়েক মাস যাবত থাকি । আজ আমার ছুটির দিন তাই আমি এসেছিলাম রায়হানের কাছে ওকে আজ কদিন দেখিনা । আচ্ছা তুমি বসো বাবা আমি রায়হানকে ডেকে দিচ্ছি । সূকর্ণা ওকে চা নাষ্টা দেও ! সূকর্ণা চা এনে টেবিলে রেখে আপনার চা আমি চা হাতে নিয়ে চায়ে এক চুমক আরেক চুমক যেন সূকর্ণার কপালে । ইতি মধ্যে চায়ের গরমে আমি সূকর্ণার অসমাপ্ত রুপে যে দিশা হারিয়েছি তা আমার ঠোট আর জিবল্লা বলে দিলো । সূকর্ণা বলে ফেললো গরম চা পানে অন্যদিকে মন দিলে তাতে নিজেরই ক্ষতি বেশি আমি যেন শুনেও না শুনার বান ধরে বোকার মত ওর রুপের গুনাগুন বুঝার চেষ্টায় ব্যস্ত
হয়েছি । সূকর্ণা তার গলায় হালকা শব্দে আমাকে যেন কিছু একটা বোঝানোর চেষ্টা । আমি চমকে তাকে আর কিছু বলতে পাড়লাম না । রায়হান এসে বলছে ভাইয়া তুমি আমাদের বাড়িতে হ্যারে রায়হান আমি কেনরে ভাইয়া তোদের বাড়িতে কি আমার আসতে
মানা । তুমি যে কি বলনা মেজবা ভাই । মেজবা ভাইয়া এ হলো আমার বড় বোন সূকর্ণা আর আপু এ হলো এতক্ষনে নাম শুনে বুঝতে পেরেছো । উনি সে ভদ্র লোক মেজবা ভাইয়া যার কথা তোমাকে আমি আগে বলেছিলাম ।
মায়ের ডাক রায়হান টেবিলে নাষ্টা দেওয়া হয়েছে নাষ্টা খেয়ে নেও ।
চল মেজবা ভাইয়া কোথায় যাবি আরে ভাইয়া যাবো পরে আগে সকালের নাস্তা শেষ করবেতো নারে রায়হান আমি নাস্তা করেছি । তুই নাস্তা করে নে তার পরে তোকে নিয়ে একটু বাহিরে যাবো । রায়হান চলে গেল নাস্তার টেবিলে । আমি ওখানে বসে রইলাম সূকর্ণা বলছে চা দিব আরেক আমি বল্লাম হলে মন্দ নয় চা করে আনলো সূকর্ণা এবার চা হাতে দেওয়ার আগে সতর্ক বানী মনে হয়ে গেল চা পানে মধ্যেয়নে অন্যদিকে মন দিতে হয় না তাতে নিজের ক্ষতি । তাই চা শেষ আগে তার পরে অন্যদিকে মন ।
সূকর্ণা বলছে জনাবের কি করা হয় জি কিছু বলছেন বলছি জনাবের কি করা হয় আছি এখন একটি প্রাইভেট কম্পানিতে তবে বেশিদিন থাকার ইচ্ছে নেই মামা থাকেন জার্মানে ওখানে সুযোগ পেলে চলে যাবো । হুম আমার মাঝে মাঝে বৈদেশে যেতে মনে চায় কিন্তু মনে চাইলেও যাওয়ার কোন উপায় নেই । কেন কোন বৈদেশিকে জীবন সঙ্গী করে তার হাত ধরে চলে যেতে পারেন । হুম ও কপাল কি আমাদের । কেন চেষ্টা করে দেখুন । সৃষ্টি কর্তা যে রুপ দিয়ে তৈরি করেছে আপনাকে তাতে মনের মতো একজন পুরুষ পেতে বেশি সময় লাগবে না । সে কি বলছেন আমার একটা রুপ তা আবার কোনো পুরুষের চোখে লাগার মতো এই প্রথম একজন পুরুষের মুখে শুনলাম। তা আপনার কত দিন লাগবে বৈদেশে যেতে । তা ধরে নিতে পারেন আরো বছর খানেক কেন বলুনত না এমনেই
এর মধ্যে রায়হানের নাষ্টা করা শেষ রায়হান এসে বলছে চলো মেজবা ভাইয়া বাহিরে যাবো । ঠিক আছে চল বলে বেরিয়ে যাচ্ছি । সূকর্ণা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে বলছে আরেকটু বসলে হতো না । সূকর্ণাকে বল্লাম পৃথিবীতা অনেক ছোট আবার দেখা হবে । ওদের বাড়ির দরজায় দাড়াতে দেখি আকাশ থেকে কিছুতা মেঘের অংশ ভেঙে জমিনে পড়ছে । রায়হান কি করা যায় । একটু অপেক্ষা করো এ বৃষ্টি বেশি সময় থাকবে না । রায়হানের কথা শুনে দাড়িয়েছি হঠাৎ একটি বিদুতের আলো সাথে তার জমিনে পড়ার শব্দ দুই মিলে আমার ভিতরে ভয়ের বিচ্ছন্য করে জাগিয়ে দিলো । আমি জেগে দেখি আমি তখনো বিছানায় শুয়ে আছি ।
বিষয়: সাহিত্য
১১৫৮ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সুন্দর এবং সাবলিল লিখা হৃদয়কে আলোড়িত করেছে।
দুর্দান্ত লিখনি। লেখাটি খুব ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো।
ঈদমুবারক
আপনার জন্যও ঈদের শুভেচ্ছা রইলো।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
ঈদ মোবারক ভাই।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
এমন করে কেউ কখনো বলেনি আমায় তাই তাজমহল গড়া হয়নি।
ঈদমুবারক
আমি জানি আমার লেখা গুলো কোনো লেখার ভিতরে পড়ে না ।
বুড়া দাদু ঈদের শুভেচ্ছা থাকলো ঈদমুবারক
লেখা লিখবেন ভালো না লাগা সময়টা কিছুটা ভালোভাবে কাটানোর জন্য, আমিও মাঝে মাঝে কিছু লিখি, কারো ভালো লাগুক না লাগুকঃ ভালো না লাগা আমার কিছু সময় কেটে যায় এতে করে ...
ঈদের শুভেচ্ছা আপনাকেও, ঈদ মুবারক।
এমন করে কেউ কখনো বলেনি আমায় তাই তাজমহল গড়া হয়নি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন