ছোট গল্পঃ অবশেষে সাবিনাকে ফিরে পেলাম
লিখেছেন লিখেছেন এ এম ডি ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১১:৪৭:১২ রাত
নির্জন রাস্তা অন্ধকার রাত আকাশে মেঘের আনাগোনা আমি একা একা হেটে চলছি। মাঝে মধ্যে কি যেন একটি এসে পায়ের সাথে মাখামাখি খেলছে । মনে হচ্ছে এই রাতে আমি ছাড়া আর কেউ জেগে নেই । পথ হারা পথিকের মত হেঁটে চলছি প্রায় চার মাইল রাস্তা হেঁটে চলেছি আর মাইল তিনেক রাস্তা হেঁটে যেতে হবে তার পড়ে সাবিনাদের বাসা ।
সাবিনাকে আজ আমি সরাসরি দেখি নাই শুধু ফোনে কথা আর ফোনেই ওর সাথে আমার পরিচয় ও প্রেম । সাবিনার বাবা মা ওকে অন্য একটি ছেলের সাথে জোর করে বিয়ে দিতে চাইছে তাই সাবিনার আর আমার পালিয়ে গিয়ে বিয়ের প্লান। সাবিনা ওদের বাসার ওখানে আমার জন্য অপেক্ষা করছে আজ সাবিনাকে নিয়ে পালিয়ে যাবার কথা।
অন্ধকার রাস্তা কিছু দেখা যায়না তাই মাঝে মধ্যে মোবাইলের লাইটের আলোতে পথ দেখে পা ফেলতে হচ্ছে । একটু আগে পযন্ত শুধু মেঘের আনাগোনা ছিল এখন দেখছি মেঘ পড়ছে ।
মাঝে মাঝে আকাশে বিদুৎ চমকানো আলো আর শব্দে মনের ভিতরে কি যেন একটি ভয় ধরিয়ে দেয় এইত বজ্রপাতটি মনে হচ্ছে আমার শরীর স্পর্শ করবে । চলতে চলতে ওদের বাড়ি কাছাকাছি এসে পড়েছি এরই মাঝে মোবাইলের রিংটনটি বেজে উঠলো ফোনের দিকে তাকাতে দেখি সাবিনার ফোন ।
ফোন ধরে সাবিনাকে জিজ্ঞাসা করলাম তুমি তৈরি ও বলল হ্যা । আমি তৈরি কিন্তু তোমার আর কতখন আমার আর বেশিক্ষণ লাগবে না আমি তোমাদের বাড়ির কাছাকাছি চলে এসেছি আর ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগবে বলে ফোনটি কেটে দিয়ে হেঁটে চলছি ।
বৃষ্টি এবার একটু জোড়ে নেমেছে তাই আমি রাস্তার পাশে একটি দোকানের এক সাইটে সাইনসেটের নিচে দাঁড়িয়ে আছি মোবাইলটি হাতে নিয়ে দেখি তখন রাত দুইটা চলিছ মিনিট বাজে সময়টা দেখে মোবাইলটা পকেটে রাখতেই আবার সাবিনা ফোন হ্যালো সাবিনা বলতে সাবিনা আমাকে বললো তারেক তুমি আমাদের বাড়িতে না এসে স্টেশনে চলে যাও আমি ও স্টেশনে আসবো ওখান থেকে ট্রেনে তোমাদের বাড়ি তার পরে বিয়ে বলে সাবিনা ফোনটি রেখে দিল ।
আমি আমার মোবাইলটি আমার পকেটে রাখতে চাইলে দূর্ঘটনা বসট মোবাইলটি আমার হাত থেকে পড়ে যায় পানিতে। অন্ধকারে কিছু দেখা যাচ্ছে না অনেক খোঁজার পড়ে মোবাইলটি পেলাম ততক্ষণে মোবাইল ফোনটি ব্যবহারের অবস্থা আর নাই ।
বৃষ্টিও ততক্ষণে একটু কমেছে আবার হাটা শুরু স্টেশনে পৌছে গেলাম কিন্তু মোবাইল নষ্ট তাই সাবিনার সাথে যোগাযোগ করার মত কোন ব্যবস্থা নাই ।
এত বড় স্টেশনে কোথায় খুঁজে পাবো সাবিনাকে স্টেশনে মেয়ে মানুষের অভাব নাই তবে আনুমানিক করে বা কোন মেয়েকে সাবিনা বলে ডাক দিব না প্রয়োজন নাই তাতে কে কিনা ভাবে কোন ঝামেলাতে জড়াতে চাই না ।
তাই অনেক ভাবনা চিন্তার ভিতরে সাবিনাকে খুঁজছি কোথাও না পেয়ে একবার ভেবেছি আমি চলে যাই আবার ভাবছি না আমি চলে গেলে সাবিনার কি হবে ও একটি মেয়ে ও আর বাড়িতে ফিরে যাবে না । সে প্রস্তুটি নিয়ে বাড়ি থেকে সাবিনা বেরিয়েছে ।
তাই ও যদি আজ আমাকে খুঁজে না পায় তাহলে নিশ্চিত আত্মহত্মার রাস্তা বেছে নিবে। না কিছুতে সাবিনাকে এখানে একা মৃত্যুর মুখে ফেলে রেখে চলে যাওয়া চলবে না । তাই স্টেশনের ভালো করে খুঁজে দেখি না কোথাও সাবিনাকে পাওয়া গেল না ।
সারা রাত বৃষ্টভেজা শরীর তার মধ্যে সাবিনাকে না পাওয়ার চিন্তা সব মিলিয়ে শরীরের উপরে ভাল ঝড় বয়ে গেছে গত একটি রাত । রাত পাড় হয়ে ভোর সকাল হতে চলছে সাবিনাকে কোথাউ পেলাম না শরীর অনেকটা ক্লান্ত অনুভব করছি আর একটু পরে দিনের আলো দেখা যাবে কিন্তু সাবিনাকে পেলাম না এ কথা ভাবতে ভাবতে ক্লান্ত শরীর নিয়ে তাকিয়ে দেখি স্টেশনের একপাশে একটি খালি ব্রেঞ্চ পড়ে আছে সে ব্রেঞ্চটিতে একটু বসলাম ।
অনেকক্ষণ বসে আছি হঠাৎ কানে শব্দ এলো কে যেন সাবিনা বলে ডাক দিলো আমি চোখ মেলে তাকাতে দেখি একজন ভদ্র মহিলা তার একটি পাঁচ বছরের মেয়ে স্টেশন থেকে হারিয়ে গেছে আর তার মেয়ের নাম সাবি না । অনেক চিন্তা করে আমি তার পিছু নিলাম যদি আমার সাবিনা স্টেশনে এসে থাকে তাহোলে অবশ্যই তার ডাক শুনলে সে তাকে ডাকছে মনে করে জবাব দিবে । অনেক খোঁজার শেষ মুহুর্তে ভদ্র মহিলা তার মেয়েকে দেখেন একটি চায়ের দোকানের পাশে দাড়িয়ে আছে ভদ্র মহিলা তার মেয়েকে সাবিনা বলে ডাক দিল কিন্তু তার মেয়ে শুনতে পেলনা অন্য একটি মেয়ে যার বয়স হবে ১৮ থেকে ২০ বছর হবে সে এসে তাকে জিজ্ঞাসা করল আপনি কি আমাকে ডাকছেন না বোন তোমাকে না আমার মেয়ের নাম সাবিনা আমি তাকে ডাক দিয়েছি। ও আচ্ছা বলে সে সরে যেতেছিল ততখনে তাকে আমি সাহস পিছন থেকে তার নাম ধরে ডাক দিলাম সে পিছু ফিরতে আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম আপনাদের বাড়ি কি রসুলপুর গ্রামে সে আমাকে বল্ল হ্যা কিন্তু আপনাকে ত ঠিক চিনতে পারলাম না । আমি বল্লাম আপনে কি তারেকের অপেক্ষায় আছেন বলতে সে একটু চমকে উঠলো আর আমাকে আবার প্রশ্ন আপনে কে আমি তারেক । অবশেষে দুজন দুজনার হাত ধরে চলে গেলাম ।
বিষয়: বিবিধ
১৪০৪ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অবশ্য আমার কাছে তাই মনে হচ্ছে ।
পাঠকের জন্য খুব কষ্টকর হয়ে গেছে-
প্যারা আকারে কয়েক টুকরো করে দিলে ভালো হতো!
নীতিবোধের অনিষ্টকারী নেতিবাচক গল্প না লেখা উচিত-
সমাজটা তো এমনিতেই গর্তের কিণারে পৌঁছে গেছে-
আপনাদের কলম যদি সেটাকে টেনে ধরতো তবে ভালো হতো!
আপনার লেখা গল্প-কবিতাও আখেরাতে আপনার সম্পদ বা দায় হবে- একথা ভিলে যাওয়া মানেই সর্বনাশ!!
.. দোয়া করি
আমিযে রাজনীতিকে ভয় পাই ।
তাই আমাদের দেশের নোংরা রাজনীতি নিয়ে কিছু চাই না ।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
আমিযে রাজনীতিকে ভয় পাই ।
তাই আমাদের দেশের নোংরা রাজনীতি নিয়ে কিছু চাই না ।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
আমি তো বলেছি সনাজনীতি তথা নীতিবোধ ও শিক্সা-সভ্যতার কথা!
অবশই কেউ যদি সুনীতি ছাড়া অন্য নীতি পছন্দ করেন তবে আমার কাজ হবে ভালোকথা বলে যাওয়া!
মুসলিম পরিচয় যতক্ষণ ধারণ করি ততক্ষণ তো এর সীমানা মেনে চলতে চেষ্টা করা কর্তব্য-
তা না হলে তো কথায়-কাজে গরমিল হওয়ার দোষে দোষী হয়ে যাই!!
আর রাজনীতির নাংরামীর কথা বলছেন?
ইসলামে ওটাকে এমনভাবে ফরজ করে দিয়েছে যেমন প্রতিদিন আপনাকে আমাকে নিজ হাতে নিজের মল সাফ করতে হয় নিজের কল্যানের স্বার্থেই-
যতই ঘেন্না লাগুক, করতেই হয়!
আর মায়েরা তো সন্তানদের জন্য যা করেন তার বর্ণনা নিষ্প্রয়োজন!
আপনি নোংরামী থেকে দূরে থাকবেন?
নোংরামী আপনার ঘরে ও গায়ে অবশ্যই লাগবে- কোথায় পালাবেন??
যাক, অনেক কথা বলে ফেললাম!
যারা ভালো চান, অথচ ঝুঁকি নিতে চাননা তাদের অপরাধেই আমদের আজকের এ দুর্গতি!!
আমার জীবনে প্রেম বলে কিছু আসবে বলে মনে হয়না ।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
জাজাকাল্লাহু খাইর
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
আরেকটি কথা। গল্পটিতে বাংলাদেশি প্রেম। এমনটি বাংলা নাটক ও ফিল্মে বেশি দেখি। কখনো মনে হবে হঠাৎ আপনাকে প্রেমের প্লটে ঢুকানো হয়ে গেল, অথচ তখনও সেখানে দুজন লোকের প্রেমের কোনো বেসিস গড়ে ওঠে নি। এখানেও প্রেমের বেসিসটা তেমন অর্থবোধক হয় না। এটা কেবল আপনার গল্পে নয়, চতুর্দিকে দেখছি। গল্পের প্রত্যেক অঙ্গনে কিছু যুক্তিসঙ্গতা, কিছু বাস্তবতা, কিছু কারণ ইত্যাদি গল্পকে বৃহত্তর পরিধিতে ছড়িতে দিতে সমর্থ হয়।
বেশি কথা বলে যাচ্ছি মনে হয়। নিজে যেভাবে দেখেছি, সেভাবে বলার চেষ্টা করলাম, এর বাইরে কিছু নয়। ধন্যবাদ।
আমি সবে মাত্র লেখালেখি তুকতাক শুরুকরেছি তাই তেমন এখন বুঝে উঠতে পারিনি । সামনের দিকে চেষ্টা করবো
মন্তব্য করতে লগইন করুন