প্রেমের গল্পঃ প্লীজ মিজান তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিওনা
লিখেছেন লিখেছেন এ এম ডি ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৩:৫৯:১৪ রাত
দিনটি ছিলো রবি বার ঠিক যতদূর মনে পড়ে বিকেল চারটার সময় আমি বিসানায় ঘুমে ছিলাম মিতালী ফোন দিলো আমি ফোন ধরে হ্যলো বলতে মিতালী বল্ল মিজান তুমি এখন কোথায় আস আমি বললাম কেন সে আমায় বল্ল তুমি যেখানেই থাকনা কেন এখনি আমার সাথে দেখা কর । তোমার সাথে আমার জরুরি কিছু কথা আছে । আমিও আর দেরি করতে পারলাম না চোখ দুটিকে কচলাতে কচলাতে চলে গেলাম ওয়াস রুমে সেখান থেকে হাত মুখ ফ্রেস করে এসে রেডি হয়ে বেড়িয়ে গেলাম মিতালীদের বাড়ির উর্দ্ধেশে। চিন্তায় পড়ে গেলাম আজ পাচঁ মাস একটি মেয়ের সাথে আমার পরিচয় অথচ আজ পযন্ত সাহস করে তাকে বলতে পারলাম না আমি তোমাকে ভালবাসি । সেই মেয়ের ডাকেই ছুটে চলেছি তাই আজকে তাকে আমি আমার ভালবাসার কথা বলবো । হাতে গাড়ির ইস্টাডিং গাড়ি চলছে রাস্তা দিয়ে আমিও এ কথা ও কথা চিন্তা করতে করতে গাড়ি নিয়ে চলে গেলাম মিতালীর বাড়ির গেটের সামনে মিতালী বাড়িন্দায় দাড়ানো ছিল সে আমাকে দেখে সে সেখান থেকে আমাকে তার হাত দিয়ে ইসারায় বলে দিল গাড়ি নিয়ে আরেকটু সামনে দাড়ানর জন্য । আমিও গাড়িতা নিয়ে তাদের বাড়ি থেকে প্রায় একশত গজ সামনে চলে যাই ।মিতালী চত করে রেডি হয়ে চলে আসেন নিচে গেটে দাড়োয়ান বেটা মিতালীকে ইয়া লম্বা এক সেলুট দিয়ে গেট খুলে দিয়ে বল্ল মেডাম গাড়ি নিয়ে যাবেন না । মিতালী উত্তরে বল্ল না করিম চাচা আজ গাড়ি নিয়ে যাবো না । তাহোলে মেডাম গাড়ি ডেকে দিবো না চাচা আজ আমার এক বান্ধবীর জম্ম দিন । ও আসবে গাড়ি নিয়ে আর আমি ওর গাড়িতে করে যাবো ওর জম্মদিনের পাটিতে ।মিতালী তার ঘায়েছিল লাল রংঙের ড্রেস মাথার চুলের খোপায় ছিলো বেলীফুলের মালা সাথে খোপার মধ্যে খানে গোজা ছিল এক জোড়া লাল গোলাপ বেশ লাগছিল মিতালীকে ।যাই হোক সে গাড়ির সামনে আসলো সে এসে গাড়িতে ওঠে বসলো আর আমাকে তার লাল ঠোট দুটি দিয়ে বল্ল চল মিজান গুলশান চাইনিজে সেখানে তোমার সাথে যা বলার বলবো ততক্ষনে মিতালীর ভাবভংঙ্গীময় দেখে আমি মনে মনে জব বা কাব্য রচনা করতে শুরু করে দিয়েছি ….
কি অপরুপ রুপে বানিয়েছে তোমাকে মহান সৃষ্টি কর্তা
এত দিন যে কথা তোমায় বলার অপেক্ষায় ছিলাম আমি
হয়েছি কতযে হানী
বুঝি কাতবে আজ আমার সব ঘানী
তোমার ঐ লাল রাংঙ্গা লাজুক ঠোটের বলা কথা,
কাটবে এতদিনের জমে থাকা সকল ঘানীর সকল ব্যথা ।
তোমার ঐ চুলের মাঝে গোজা গোলাপ
সে বলছে আজই তোমার সাথে হবে আমার প্রেম আলাপ ।
ভাবতে ভাবতে হঠাৎ করে মিতালী বলে উঠলো কি হয়ছে মিজান এভাবে চেয়ে থাকবে আমার দিকে নাকি গাড়ি চালাবে ।
মনের কথা কি বলছো প্রিয়া গাড়ি চালাবো না মানে আজ তোমায় সাথে নিয়ে দুজনে হারিয়ে যাবো কোন অজানা এক দিকে হারিয়ে যাবো কোন এক স্বপ্নের দেশে যেখানে তুমি আর আমি ছাড়া কেও থাকবে না । দুজন দুজনের মনের কথা বলবো আর শুনবো ।
আবার মিতালী বলে উঠলো ওহ মিজান চুপ করে গাড়ির ইস্টাটিং ধরে বসে থেকনা
সময় কম শুধু শুধু এখানে বসে সময় পাড় হতে চলছে সরি মিতালী আমি অন্য এক ভাবনায় হারিয়ে ছিলাম এখনই গাড়ি ছাড়ছি গাড়ি ছেড়ে অন্য বিষয় নিয়ে কথা বলতে বলতে দুজনে মিলে ততক্ষনে গাড়ি নিয়ে চলছি একটি লেকের পাশ দিয়ে বিকেলের পরিবেশ যেমন থাকে জোড়ায় জোড়ায় নব দম্পতি তেমন থাকে রোমিও জুলিয়েট ও নবযুগের লাইলী মজনু,,শিরিন ফরহাদেরা আর এদের মাঝে কাবাবে হাদ্দির মত থাকেন কিছু বকাতে ।
ইতি মধ্যে এইরকম মন মুদ্ধরকমের পরিবেশ দেখে আমায় মিতালী বল্ল মিজান সামনে লেকের ধাড়ে গাড়িতা একটু রাখ ব্যস প্রিয়ার কথা সেকি আর ফেলে দেওয়া যায় ।
ঠিক লেকের বাম দাড়ে গাড়িটি রাখলাম দুজনে গাড়ি থেকে নামলাম কি অপরুপ মনরোম পরিবেশ লাল,লীল,কমলা আর যত রং আছে সকল রংয়ের পরিরা ও দম্পতিরা বসে বসে
নিরঝুম দিগন্ত হারা প্রেম আলাপন করে চলেছে তারা ।
আমি ও মিতালীও একটি গাছের নিচে বসলাম মিতালী পৃথিবী কতয় সুন্দর আর সুন্দর পৃথিবীর মানুষ গুলো হ্য মিজান সবই সুন্দর । সুন্দর আকাশ আর এই সুন্দর আকাশে র
সাথে আকাশে খন্ড খন্ড হয়ে জমে থাকা মেঘগুলো লুকো চুরি খেলে ।
মিতালী হঠাৎ করে তোমার মনে হলো কেন মেঘ ও আকাশের লুকচুরির কথা ।
না মিজান অন্য কিছু ভেবে না দেখনা এখানে পরিপূর্ণ চলছে প্রেম কুঞ্জর্ন্য মেলা
আর মেলায় চলছে অনেক অসমাধী প্রেম এইযে এরা আজ এখানে একে অপরের
পাশে বসে প্রেম দর্পন পর্ব চালিয়ে যাচ্ছে এরা কি এভাবে সাড়া জীবন একে অপরের
পাশে থাকবে । তুমি বোলেছ ঠিকয় মিতালী কিনতু এতা বুঝা বড় দায় এ বিষয়তা সম্পূর্ণ ভাগ্যের উপরে নির্ভরযোগ্য । যাই হোক মিতালী তুমি বলেছিলে চাইনিজে যাওয়ার পরে আমাকে কি যেন বলবে কেন সে কথাটি এখানে বলা যায় না হ্য অবশ্যই বলা যায় কিনতু
আমাকে আর একটু ভেবে দেখতে দেও মিজান । কি ভাবতে হবে মিতালী । মিজান আমি তোমাকে যে কথাটি বলতে চাই সে কথাটি আজ কয়েক দিন থেকে ভাবছি তবুকেন জানি মনে লাগে ভয় জীবতা না শেষ পযন্ত ঘরের ফ্যনের সাথে নয়ত বা বিষ খেয়ে মরতে হয় ।ঠিকয় বলেছ মিতালী জীবনতা বড় বিষাদময় তাই কোন সিদ্ধান্ত নিতে হলে আগে থেকে ভেবে নিতে হয় । তবে মিজান আমার বিশ্বাশ আমি কোন ভুল করতেছি না
মিজান তোমাকে যে কথাটি বলার জন্য এখানে ডেকে এনেছি সে কথাটি হোল যেদিন থেকে তোমার সাথে আমার পরিচয় হয়েছে সেদিন থেকে ঘুমের ঘরে স্বপ্নে শুধু তোমার দেখা পাই তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি মিজান কোন প্রেম নয় আজ এখনি তোমাকে আমি বিয়ে করবো । কি বলছো মিতালী তোমার মাথা ঠিক আছে হ্য মিজান আমার মাথা ঠিক আছে বলেই মিজানের হাতে ধরে মিতালী বল্লো প্লীজ মিজান তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিওনা । অবশেষে মিজান মিতালীর বিয়ে হোল আজ তারা সুখে দিন কাটাচ্ছে । ওদের বিয়ের বয়ছ চার বছর চলছে এর মধ্যে ওধের ঘরে একটি ছেলে সন্তান এসেছে ।
বিষয়: বিবিধ
১৩৯৭ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, "যদি কোন নারী তার ওয়ালীর(অভিভাবক) অনুমতি ছাড়া বিয়ে করে, তবে তার বিয়ে বাতিল, বাতিল, বাতিল।" (আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, ইবনু হিব্বান, হাকিম, মিশকাত হা/৩১৩১, বাংলা মিশকাত হা/২৯৯৭)
আরে ভাই ডিজিট্যল যুগে ডিজিট্যল ওয়ালী দ্বারা বিয়ে কাজ সম্পূর্ণ করা যায় ।
ভালো থাকুন শুভ কামনা থাকলো ।
খুব সাবলীল ও প্রাঞ্জল ভাষায় লিখাটি আমার ভালো লাগল।
শুভেচ্ছা রইলো।
ভালো থাকুন।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপনিও ভাল থাকুন ।
শুভ কামনা থাকল।
মন্তব্য করতে লগইন করুন