সেই ইশ্কুল থেকে শুরু.... আর ছাড়তে পারিনাই
লিখেছেন লিখেছেন তিন চক্ষু মানব ১৫ আগস্ট, ২০১৪, ০৪:২৬:১৬ বিকাল
মাদ্রাসায় পড়ে কি হবে?মসজিদের ইমাম!ঢেড় আছে ওসব,তার চেয়ে বারিষ্টার হও
এত এত মাল কামাবে।খাবে দাবে ফূর্তি করে বেড়াবে।
সেই ছোটবেলায় মামা বলেছিল কথাগুলো,সেই থেকে আমিও দিন গুনছি কবে মামার মত হওয়া যাবে,শিখছি শেখাচ্ছি,করছি করাচ্ছি খাচ্ছি খাওয়াচ্ছি,আর একটু করে বড় হচ্ছি ।
ইশ্কুল শিক্ষার্থীরা ছোট থেকেই খাওয়া দাওয়া শিখে নেয়।
যেমন ধরুন দ্বিতীয় শ্রেণী হতে ৬ষ্ঠ কিংবা ৭ম শ্রেণী পর্যন্ত তারা এপাড়ার বরই,ওপাড়ার তেতুলতলাতে যেতে যেতে চুরিতে হাত পাকিয়ে ফেলছে।
এরপর যখন নাকের নিচে দুটো পশম গজাল,অমনি এরা সব বাড়ন্ত বয়সের সাথে তাল মেলাতে হাতে বিড়ি তুলে নেয়।
দিন যায়,বছর গড়ায়, উত্তাল যৌবনের ঢেউ আছড়ে পরে জীবনের বেলাভূমিতে-
চেতনা হয় শিক্ষার্থীর।একি করছি আমি?ক্ষুধা কত ক্ষুধা!
পরদিন হাজার ভাগ করিয়া বিলাইয়া দিলাম নিজেকে শত তরুণীর পায়ে..আহ্ এইতো যৌবন।
কোথায় মা-বাবা,কোথায় বই পুস্তক?
তুমিই আমার সব!!!!!!
এই খাদ্যাভ্যাসটা শিক্ষার্থীর মনে থাকে চিরকাল।
এর মাঝে বদলায় জীবন,এহাত-ওহাত হয় টাকা আর চাকরি মেলে শিক্ষার্থীর-
খাদ্য তালিকায় নতুন খাবার দেখতে পায় শিক্ষার্থী!
ঘুষ!
টপাটপ খেয়ে ছাদটাকে খালি আর পেটটাকে ঢোল বানাতে ব্যস্ত শিক্ষার্থী।
মা-বাবা?
বৃদ্ধাশ্রমে দিয়ে এসেছি,ওটাইতো বৃদ্ধদের জায়গা।তাছাড়া সময় কই বলুন।
সময়ের সিড়ি বেয়ে…..
এখন স্যার বৃদ্ধ।অবসর নিয়েছেন,সারাজীবন খেয়ে এসেছেন বুড়ো বয়সে উপবাস করতে,ওনার ডায়াবেটিস,হার্ট প্রবলেম,হাই ব্লাড প্রেসার সহ নানা অসুখ।
দ্বীন শিক্ষার্থী ছোটবেলা হতেই আল্লাহর পূর্ণ হেফাজতে থাকে।
কোন দ্বীন শিক্ষার্থী ছোটবেলা হতে চুরি দিয়ে জীবন শুরু করেনা।
দ্বীন শিক্ষার্থী কে কখনো রাস্তাঘাটে বিড়ি টানতে দেখা যায়না।
হারাম প্রেম থেকে একমাত্র এরাই নিরাপদ।
ঘুষ নামক হারামের সংস্পর্শেও আসেনা কোনদিন।
কখনো কোথাও শুনেছেন অমুক আলেম মা বাবাকে খেতে দিচ্ছেনা।কিংবা বাপ হয়ে মেয়েকে খুন কিংবা ধর্ষণের মত জঘণ্য কর্মকান্ডে দেখেছেন কোন আলেমকে?
আমরা জানি এরা ভাল,আমার আপনার মা-বাবাও জানতেন এই কথাগুলো,তবু তারা চেয়েছেন আমরা বাংরিজি শিখি।তবুও সব কিছুর গহীনে আমি দেখতে পাই লোভে চিকচিকে এক দুনিয়া,যা বারবার আমাদের আসল ভুলিয়ে দিচ্ছে।
বিষয়: বিবিধ
১১৭২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন