ও টংগী মাঠের হুজুর? আপনি সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করতে পারেন না ? শাইখ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ।
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১৪ জানুয়ারি, ২০১৭, ০৭:৩৯:৪১ সন্ধ্যা
ও টংগীর মাঠের হুজুর........আপনার কথা তো খুবই ভাল লাগে। ভাল তো লাগছে বটে...!!যেখানেই আল্লাহ বলেছেন,ভাল কাজের আদেশ কর, সেখানেই বলেছেন, মন্দ কাজের নিষেধ করো।
তুমি খুব ভাল কথাই বললে,কি বললে, সুবহান আল্লাহ বললে এতো নেকী হয়....... আলহামদুলিল্লাহ বললে এত নেকী হয়......... আল্লাহু আকবার বললে এত নেকী হয়............... সুন্দর করে ওজু করে নামাজ পড়লে অতিতের গুনাহ মাফ হয়ে যায়.......ভাল কথা। এগুলো ভাল কথা। বুখারী মুসলিমের হাদিস। আপনি যখন হাত তুলে দোয়া করবেন সারা দেশের লোককে নিয়ে নেতা-নেত্রীকে নিয়ে তার আগে একটু মন্দ কাজের নিষেধ করবেন না???
মন্দ কাজের নিষেধ এভাবে করুন,আল্লাহর রাসুল (সা আলী (রা কে বললেন "আলী তুমি যত উচু কবর আছে ভেংগে চোচির করে দিবে...."
আপনিও বলুন, হোক না কেন শাহ পরান, হোক না কেন শাহজালাল, হোক চিশতীর কবরসহ দেশের সবকবর ভেংগে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে..।।আল্লাহর রাসুল (সা বললেন আলী যতছবি মূরতি আছে ভেংগে ফেল।
আপনি আখেরী দোয়ার আগে বলুন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে দেশের সব মুরতি ভেংগে ফেলতে হবে।
আপনি বলুন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে এ দেশে যত পতিতালয় রয়েছে, সুদি ব্যাংকিং রয়েছে তা বন্ধ করতে হবে। হুজুর আপনার ভাল কথার সাথে একটু মন্দ কাজের নিষেধ করা যায় না...???
আপনে কাকে কি বুঝাতে চাচ্ছেন?
আপনে কি কানাকে হাইকোর্ট দেখাচ্ছেন।
আপনার এই আখেরী মুনাজাতে যদি সারা পৃথিবীর মানুষ জড় হয় তাহলে সারা পৃথিবীর মুনুষই পাপী, কেননা আপনে এই মুনাজাতকে সুন্নাত দিয়ে প্রমান করতে পারবেন না।
আপনার যদি আখেরী মুনাজাত চলে তাহলে আরাফার মাঠে একটু আখেরী মুনাজাত করলে হতনা???
কথার কথা আপনের খুব ভাল মনে আছে যারা হজ্জ করতে যায় তারা সবাই আল্লাহর মেহমান, আপনার খুব ভাল মনে আছে যে আরাফার মাঠে যত দোয়া কবুল হয়, আর কোন সময়, আর কোন দিনে, আর কোন অবস্থায় এত দোয়া কবুল হয়না। অতএব, এ বছর হাজীর সংখ্যা ছিল ১ কোটি, এই ১ কোটি হাজী নিয়ে মক্কার ইমাম একটু আখেরী মুনাজাত করলে হতনা???
পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ট জায়গায়, আল্লাহর মেহমানদের কে নিয়ে আখেরী মুনাজাত চলেনা আর তোমার এই তোরাগ নদীর তীরে আখেরী মুনাজাত চলে???
তুমি কি ধর্মকে পাগল পেয়েছ যে ইচ্ছামত মানবে।
—#সংগ্রহীত★শাইখ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ।
বিষয়: বিবিধ
১৪৭৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ইসলাম এর অনুশাসন বাস্তবায়নের বিভিন্ন স্তর রয়েছেঃ ব্যাক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় এবং পররাষ্ট্র বা বহুজাতিক স্তর!
দাওয়াতের কৌশলের স্তরভাগও রয়েছেঃ ‘বিনয়ের সাথে (নরম সুরে) দাওয়াত, হেকমতের সাথে দাওয়াত, কৌশল বা জ্ঞান প্রয়োগ করে দাওয়াত- ইসলামী স্কলারদের অনেকেই অনেকভাবে ব্যখ্যা করেছেন এ বিষয়কে ! মানুষের পারিপার্শ্বিকতা – অবস্থান ভেদে- বা রাষ্ট্র ভেদে কৌশলও আলাদা হয়, ধর্মের মূলনীতির সাথে কোন আপোষ না করেই!
সৎ কাজে আদেশ এবং অসৎ কাজে বাধা দেয়া – এটা ফরজ, কুরআন এর আদেশ। এ ব্যাপারে কারো কোন দ্বিমত নেই। যদি কারো থাকে- সে মুসলিম নয়!
কিন্তু দ্বিমত আছে কৌশল অবলম্বনের বা জ্ঞান প্রয়োগের বা হেকমত ব্যবহারের ব্যাপারে! এক এক স্কলার নিজের জ্ঞান দিয়ে এর প্রয়োগের ব্যাপারে ব্যখ্যা দিয়েছেন!
একটা ব্যাখ্যা আপনার মনে ধরল, আপনি পালন করলেন, বা অন্যদেরও তা পালন করতে উদ্বুদ্ধ করবেন। অন্য জনের অন্য একটা ব্যখ্যা ভাল লাগল, সে সেটা ‘অনুসরণ করবে, এটা মানুষের স্বভাব। আল্লাহ মানুষকে ‘ভিন্ন ভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছেন’।
কিন্তু সমস্যা হল- যখন একজন বা একদল ( সে শায়খ নিজে লিখুক বা অন্যরা তাকে শেখ বলুক) যখন অন্য কাউকে বা অন্য দলকে সরাসরি কটাক্ষ করে তাকে বা তাদেরকে আক্রমণ করে! এই ধরণের মত ও পথ -ইসলামী ঐক্য প্রতিষ্ঠার পথে বিশাল অন্তরায়!
আপনার যদি মনে হয় টঙ্গির হুজুররা শুধু ‘অর্ধেক পালন করছে বা শুধু ভাল কাজে আদেশ করছে- আপনি বাঁকি অর্ধেক যোগ করুন এবং তা বাস্তবায়ন শুরু করুন! তাহলে তো পুরো হয়ে গেল, তাই না!
আমার জানা নেই আপনি কোন দলের বা শরীকের অংশ, কিন্তু টঙ্গির হুজুররা আপনার এই কটাক্ষে খুব খুশী হবে বলে মনে হয় না! তাদের হয়তো অন্য ব্যাখ্যা রয়েছে এ ব্যাপারে!
তারাও ইসলামের কথা বলছে- ব্যক্তি ও পারিবারিক পর্যায়ে ইসলামী অনুশাসন বাস্তবায়নে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করছে! বিশেষ করে উপমহাদেশে ২০০ বছরের ব্রিটিশ জুলুমের পর মুসলিমদের চরম দুরবস্থা ( ধর্মীয়, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ও
রাষ্ট্রীয়) থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে এবং আজকের দিনেও নিত্ত নৈমিত্তিক ফরজ ও সুন্নাহ মেনে জীবন পরিচালনা করার ক্ষেত্রে এদের অবদানের আশেপাশে আর কোন দল দাঁড়াতে পারবে বলে মনে হয় না!
আসুন- ওদের কটাক্ষ না করে, বরং ইসলামী ঐক্যের কথা বলি- আজকের দিনে সেটা আরও বেশী জরুরী।
আপনি নিজেই বলেছেন- ওরা অর্ধেকটা – অর্থাৎ ভাল কাজে আদেশের কাজটা করছে, বাকীটাও আমাদের আন্তরিক সহযোগিতা পেলে – এবং দুয়া পেলে – করবে ইনশাআল্লাহ!মুন্সি সাহেব! আমি আপনার লেখা পছন্দ করি। তবে এই সকল ‘শেখ থেকে সাবধান যারা ইসলামি ঐক্য গঠনে কোন ভূমিকা না রেখে ইসলামী দল গুলোকে কটাক্ষ করে- তাদের নিজস্ব হালূয়া রুটির স্বার্থেই হয়তো!
কথা অনেক ভাই। আসল কথা আমরা মুসলমানরাই মুসলমানের বিরুদ্ধে কথা বলছি। আসেন সকল ভালকাজে সকল্ই অংশ গ্রহন করি। হেকমতের সাথে ভূল গুলি সুধরে দেই । সমালোচনা করবো গঠন মূলক আক্রমনাত্মক নয়।
প্রিয় লেখক যারা আপনার এ লেখা পড়তে পারে না তাদের জন্য আপনার কাছের কোন বুখারী বা হাদিস গ্রন্থ বা পন্থা আপনার কাছে আছে কি ? কাল যদি বাংলাদশে ইসলামী রাষ্ট্র হয়ে যায় তবে কি সকল মানুষ ইমানী মৃত্যু পাবে? সকলের জন্য দোয়া করুন সব পরেবেশে যেন আমরা ইমানের উপর অটল থাকতে পারি। রাষ্ট্র , আন্তর্জাতিক সসম্পর্ক ,শিল্ট, সাহিত্য মুসলমানের টার্গেট নয়। টার্গেট একটাই যে অবস্থায় থাকি আল্লাহর দিকে রজ্জু থাকার অবিরত চেষ্টা করে মৃতু্্যর দ্বারে পৈাছানো।
ধন্যবাদ লিখক।
মন্তব্য করতে লগইন করুন