জান্নাতের সার্টিফিকেট প্রাপ্ত সাহাবী হযরত তালহা ও তার স্ত্রীর কাহিনী শুনে নবীজি কেদে ফেলেছিলেন । মুসনাদে আহমদ ।

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০৪:৫০:৫৯ বিকাল

হযরত তালহা (রাHappy প্রতিদিন নবীজীর পেছনে ফজরের নামাজ পড়েন। কিন্তু নামাজে সালাম ফিরানোর সাথে সাথে তিনি মসজিদে না বসে তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে যান। এভাবে কয়েকদিন চলার পর অন্যান্য সাহাবিরা এটা নিয়ে আলোচনা শুরু করলেন যে, প্রতিদিন সালাম ফিরিয়েই তালহা চলে যান। অথচ নবীজী (সাHappy ফজরের পর সূর্য উদয় না হওয়া পর্যন্ত মসজিদে বসে বয়ান করেন। অন্যান্য সব সাহাবিরাও রাসূলের কাছে বসে থাকেন। এক পর্যায়ে এই কথা নবীজীর কানে পৌছালো। নবীজী সাহাবিদের বললেন, আগামিকাল ফজরের নামাজ শেষে তালহা যেন আমার সাথে দেখা করে। পরের দিন নামাজে আসলে তালহাকে একথা জানিয়ে দেয়া হল। ফজরের নামাজ শেষ। তালহা বসে আছেন নবীজীর সাথে দেখা করার জন্য। একপর্যায়ে নবীজী তালহাকে ডাকলেন। নবীজী অতি মোলায়েম কন্ঠে তালহাকে বললেন, তালহা! আমি কি তোমাকে কোন কষ্ট দিয়েছি? আমি কি তোমার কোন হক নষ্ট করেছি? একথা শুনে তালহা কেদে ফেললেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসুল (সাHappy!

আমার জীবন আপনার জন্য উৎসর্গ হোক। আপনি আমার কোন হক নষ্ট করেননি। নবীজী (সাHappy বললেন, তাহলে তালহা! তুমি প্রতিদিন নামাজ শেষে আমার কাছে না বসে চলে যাও কেন? তালহা কেদে কেদে বললেন, রাসুল (সাHappy! আমার এবং আমার স্ত্রীর সতর ডাকার জন্য একটি মাত্র জামা আছে। যেটা পরে আমি যখন নামাজ পড়ি আমার স্ত্রী তখন উলংগ থাকেন। স্ত্রী যখন নামাজ পড়েন আমি তখন উলংগ থাকি। এক্ষেত্রে ফজরের নামাজের সময় একটু অসুবিধা হয়ে যায় ইয়া আল্লাহর রাসুল (সাHappy। ফজরের নামাজে আসার সময় আমি আমার স্ত্রীকে একটা গুহায় রেখে আসি। এমতাবস্থায় আমি যদি নামাজ শেষে এখানে বসে থাকি তাহলে তো আমার স্ত্রীর নামাজটা কাজা হয়ে যাবে ইয়া আল্লাহর রাসূল। এজন্য আমি নামাজ শেষে দৌড়ে চলে যাই। তালহার কথা শুনে আল্লাহর রাসুল দরদর করে কেদে পেলেন।

নবীজীর দাড়ি বেয়ে বেয়ে চোখের পানি পড়তেছে। সাথে সাথে নবীজী তালহাকে জানিয়ে দিলেন, তালহারে! নিশ্চয়ই তুমি জান্নাতে যাবে। আল্লাহু আকবার।

(কাহিনী টি মুসনাদে আহমদে বর্ণিত হয়েছে)।

সংগ্রহিত "।

বিষয়: বিবিধ

২২৬৭ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

380986
২৮ ডিসেম্বর ২০১৬ বিকাল ০৫:০৭
কুয়েত থেকে লিখেছেন : এমন গঠনা সুনে কোন মুমিনের চোখে পানি না এসে পারেনা। লেখাটির জন্য আপনাকে অসংখ্যবার ধন্যবাদ
২৮ ডিসেম্বর ২০১৬ বিকাল ০৫:০৯
315198
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : হাদিছের এবারত এবং ঘটনা
আপনাকেও ধন্যবাদ জাযাকাল্লাহ খায়ের
380989
২৮ ডিসেম্বর ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:১৩
তবুওআশাবা্দী লিখেছেন : এই ঘটনাটা আমি এক শুক্রবারে মসজিদে খুৎবায় শুনে ছিলাম|কিন্তু এটা যে তালহা(রঃ)ঘটনা সেটা জানতাম না|মাত্র কিছুদিন আগে জেনেছি একটা বই পড়তে গিয়ে|মসনদে আহমেদের অধ্যায় আর হাদিস নাম্বারটা জানালে খুশি হবো |অনেক ধন্যবাদ |
380991
২৮ ডিসেম্বর ২০১৬ রাত ০৯:১২
মুহাঃ মাসউদুল হাসান মামুন লিখেছেন : ভাই, আমিও কেঁদে ফেললাম. ।।।।।।।।।।
380993
২৮ ডিসেম্বর ২০১৬ রাত ১১:৩০
বিবর্ন সন্ধা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম,,,
এসব ঘটনা শুনলে মনে হয়, কত সচ্ছলতারর মাঝে থেকে ও আমরা, মহান আল্লাহ্‌ র শুকরিয়া করতে উদাসীন থাকি।
২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ সকাল ১১:২৫
315225
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : আল্লাহ আমাদেরকে তার শুকরিয়া আদায় করার তওফিক দিন
আমিন
380997
২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ রাত ০২:৩৭
হককথা লিখেছেন : কাঁদালেন ভাই! আল্লাহ আপনার ভালো করুন, আর ইসলামের বরকতে আমাদের সকলরে জীবনকে বরকতময় করে দিন।
২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ সকাল ১১:০২
315223
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে ইসলামের পথে চলার তওফিক দিন আমিন
380998
২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ রাত ০৪:২৬
এলাচি লিখেছেন : চোখে পানি চলে আসলোl
মাবুদে এলাহী, হাশরের দিনে এ সাহাবীর সাথে একবার সাক্ষাতের সুযোগ দিওl
২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ সকাল ১১:০১
315222
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : আমিন সুম্মাআমিন
381002
২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ দুপুর ০২:০০
আফরা লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়ের ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File