পীর চরমোনাই হুযূরের অসংখ্য কারামতের কয়েকটি কারামত । সত্যটাই প্রকাশ করেছি । কেউ মনে কষ্ট নিলে কিছু করার নাই
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১১:৪১:৩৩ সকাল
মাওলানা সায়েম সাহেব বলেন, কলাপাড়া থানার একজন মুজাহিদ তার ৮ বছরের ছেলেকে নিয়ে চরমোনাইর মাহফিলের উদ্দেশ্যে লঞ্চে রওয়ানা হয়েছেন। পথিমধ্যে ছেলেটি পিতার কাছ থেকে ছুটে গিয়ে লঞ্চে ঘোরাফেরা করছিল। অনেক সময় পরে ছেলেকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। যা-ই হোক এভাবে হতাশার মধ্য দিয়ে চরমোনাই লঞ্চঘাট এসে পৌঁছলেন। সিঁড়ির সামনেই দেখতে পেলেন তার সেই ছেলে দাঁড়ানো। তখন ছেলেকে কান্নার সাথে জড়িয়ে ধরে বললেন, বাবা, তুমি এখানে কিভাবে আসলে ? ছেলে বলল, আব্বা ! আমি লঞ্চের পিছন থেকে নদীতে পড়ে গিয়েছিলাম। তখন দেখলাম- একজন হুযূর আমাকে ধরে এখানে নিয়ে এসেছেন। পিতা জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি তাকে চেন? সে বলল, না। অবশেষে সকলে বললেন- এখন চল, আগে হুযূরের সাথে দেখা করে আসি। কুতুবখানায় প্রবেশ করার সাথে সাথেই ছেলেটি চিৎকার দিয়ে বলল বাবা, ঐ হুযূর আমাকে নদীর ভিতর থেকে তুলে নিয়ে এসেছেন। এরপর মুজাহিদরা কান্নাকাটি করে হুযূরের সাথে দেখা করলেন এবং ঘটনা খুলে বললেন।
বর্ণনাকারী ঃ মাওলানা ছগীর হোসাইন, মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর
জ্বীনেরা তো হুযূরকে খুবই মানত। আমাদের মঠবাড়িয়াতে একজন পোষ্ট মাস্টার, নাম মুজিবুর রহমান। তিনি কোন এক সময় জামায়াতপন্থী ছিলেন। তার স্ত্রীর সাথে জ্বিন ছিল। সংসার বিনাশ হওয়ার উপক্রম। তাই তিনি দিশেহারা হয়ে পীর সাহেব হুযূরের মোড়েলগঞ্জ মাহফিলে আসেন এবং ঘটনা খুলে বললেন। হুযূর তাকে বললেন, আপনি বাড়ীতে গিয়ে বলবেন যে, চরমোনাইর পীর সাহেব হুযূর তোমাকে এবাদত করতে বলেছেন এবং সংসারের যাবতীয় কাজও করতে বলেছেন। এটা বলার সাথে সাথেই রোগী উঠে দাঁড়ালেন এবং বললেন আমি এখনই কাজ করতে যাচ্ছি। এর পর থেকে রোগী পুরোপুরি সুস্থ।
বর্ণনাকারী মাওলানা ছগীর হোসাইন, মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর।
http://www.pirsahebcharmonai.com/?p=484
সংগ্রহিত
বিষয়: বিবিধ
১৯১৫ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লাহ রব্বুল আলামিন ইসলামকে তার সঠিক পথকে হেয়াযত করুক এটাই আমরা কামনা করব আর এমন পীরদেরকেও হেদায়েতের জন্য দোয়া করব আমিন
বাঁশের প্যান্ডেল বেয়ে উঠা নামা কি রকমের মাহাত্য বর্ণনা দেখুন ভিডিও।
ওরা নাকি পীর
ধন্যবাদ ভাই জান
মন্তব্য করতে লগইন করুন