কিছু মুসলমানদের কাছে বড় ধর্মীয় উৎসব হলো দুইটা। ঈদে মিলাদুন্নবী এবং ওরশ ! বিনা কষ্টে জান্নাতের যাবার রাস্তা
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০৫:১৯:০৯ বিকাল
ঈদে মিলাদুন্নবী নাকি সৃষ্টি কুলের শ্রেষ্ট ঈদ তাই ঈদ উল ফিতর ও ঈদ উল আজহা তাদের কাছে কোন ঈদই না। তৃতীয় ফেক ঈদ নিয়া তাদের মাতামাতির কোন শেষ নেই। আমলী ঈদ তাদের কাছে ভাল লাগেনা। ওখানে তো আর নাচ গান নেই আর বাজনাও নেই। আছে খালি নামায যাহা তাদের কারোর নিকট দিলের দুশমন।
আরেকটা হলো ওরশ।
এই পৃথিবীতে বিনা কষ্টে জান্নাতের যাবার লোক যতদিন থাকবে ততদিন ওরশ নামের মাযার ব্যবসা বা মরা লাশের ব্যবসায় কোনদিনও ভাটা পড়বেনা। চাই সে লোকটা ল্যাংটা পোংটা, গাজাখোর মদখোর হোক, চাই সে জীবনে কোনদিন আল্লাহর দরবারে সিজদা না দিক, এই বাবাই তাদের কান্ডারী। মরা বাবার নামে মান্নত না করলে, তারে না খাওয়াইলে তাদের সন্তানাদি হবেনা, অসুখ বিসুখ বালা মছিবতের অন্ত থাকবেনা। তাই তো ওরশের মাধ্যমে তারা তাদের বাবাকে খুশি রাখে। আল্লাহর সন্তুষ্টি অসন্তুষ্টি তাদের কাছে কিছুই আসে যায় না।
শীতের মৌসুম তাদের জমজমাট ব্যবসার সিজন।
কুত্তা বাগী, দেওয়ান বাগী, রাজারবাগী, সায়দাবাদী, আটরশি, বার রশি, আরো যে কত বাগী ছাগী আর তলী আছে শ্যাষ নেই। আজকাল কাউয়া শাহ, চ্যাংড়া শাহের দরবার শরীফ ও চোখে পড়ে !!
সত্য কথা বলতে যান দেখবেন তোতা পাখীর মতো শিখানু বুলি আওরানো শুরু করবে। "দেওবন্দী, ওয়াহাবী, খারেজী, জামাতী, তাবলীগী" আরো কত টাইটেল যে লাগাবে ইয়ত্তা নেই।
এদের সাথে আপনি তর্ক করেও পারবেন না, কারন তারা বারো ঘাটের পানি খায়। এখানে না পারলে ওখানে, ওখানে না পারলে সেখানে, এখান থেকে এক ঠুকর তো আবার অন্যখান থেকে আরেক ঠুকর। শেষ পর্যন্ত চাপার জোর কমে গেলে শুরু হয় গালির বৃষ্টি বর্ষন !!
সংগ্রহিত
বিষয়: বিবিধ
১০৫০ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ
এটাই বাস্তবতা। সঠিক চিত্র তুলে ধরার জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন