জশ্নে জুলূস ঈদ-এ মিলাদুন্নবী: শরয়ী দৃষ্টিভঙ্গি ;মিলাদুন্নবী নিরীহ মুসলমানের পকেট কাটা ও ধোকা
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০১:০৫:৫২ দুপুর
মিলাদুন্নবি নামক অনুষ্ঠান ইসলামের প্রাথমিক বা তার পরের যুগে পালিত হয়েছে,এরকম কোন প্রমাণ নাই।
হিজরি সন চালুর ৬০০ বছর পরে এক অজনপ্রিয় শাসক মুজাফফর উদ্দীন কওকরি তার দরবারি আলেম দিহইয়া কালবির পরামর্শে জনপ্রিয়তা পুনরুদ্ধারের জন্য মিলাদুন্নবি অনুষ্ঠান চালু করে।
এজন্য আজ বাংলায়ও হাসিনা ইসলামের আইন বাস্তবায়নে উদ্যোগী না হলেও জশনে-জুলুস পালনে ব্যাপক রাষ্ট্রীয় সহায়তা দেয়।
কট্টর নাস্তিকবাদী হাসিনাও মিলাদুন্নবিকে তার ইসলাম বিরোধী মানসিকতা লুকাতে ব্যবহার করে। ইনু-আসিফ মহিউদ্দিন-জাফর ইকবালরাও এমন আমল বিহীন অনুষ্ঠান খুবই পছন্দ করে।
থাবা বাবার মত নাস্তিক ঈদ-কুরবানি থেকে নিয়ে ইসলামের সব অনুষ্ঠান নিয়ে কটাক্ষ করলেও কথিত সকল ঈদের সেরা ঈদ মিলাদুন্নবি নামক অনুষ্ঠান নিয়ে কিছুই বলেনি।
কারণ এই অনুষ্ঠানের দ্বারা ইসলামের কোন লাভ হচ্ছেনা। ২ ঈদে নামাজের নিয়ম থাকলেও সেরা ঈদে নামাজের কোন অন্তর্ভুক্তি নাই। শুধু রঙ-চঙে কাপড় পড়ে রাস্তায় ঘুরে গান-বাদ্যর মাধ্যমেই এই অনুষ্ঠান পালন হয়ে যায়।
যারা এই মিছিলে শরীক হয় তাদের নামাজের কোন ব্যবস্থা বা ঠিকানা কিংবা পড়ারও কোন ইচ্ছা দেখা যায়না।বাইকে চড়ে,মোড়ে-মোড়ে শরবত খেয়ে দিনভর আনান্দর মাধ্যমেই এই দিবস পালন করা যায়।
যার কারণে নাস্তিক-বিধর্মীদেরও প্রিয় অনুষ্ঠান ঈদে মিলাদুন্নবি! মুসলমান এরকম আমলহীন,আনান্দ ফুর্তিভরা অনুষ্ঠানেই ইসলাম খুজুক-পালন করুক এটাই নাস্তিক-বিধর্মীদের চাওয়া।
সংগ্রহিত
বিষয়: বিবিধ
১১৩০ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
নবীজীর জন্ম বার্ষিকী পালন যদি শরিয়ত সন্মত হয় তাহলে রাসূল (সাঃ) যেহেতু সৌদিতে জন্মগ্রহণ করেছেন সেহেতু তাদেরই তো নবীজীর আগমনের দিনটিকে তুমুলভাবে পালন করা উচিত !?!?
ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন