স্বামী পেটানোয় তালিকায় বিশ্বের এক নম্বর মিশর আর দুই নম্বর স্থান অর্জন করেছে ভারতীয় নারীরা ।
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:২৫:৫২ রাত
স্বামী পেটানোয় বিশ্বে দুই নম্বর স্থানে রয়েছে ভারত এবং তৃতীয় নম্বরে ব্রিটেন নারীরা। তবে এই তালিকায় নিজেদের দখলে রাখল মিশরের মহিলারা। তারা স্বামী পেটানোর ক্ষেত্রে এক নম্বরে আছে।
সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের অপরাধ পরিসংখ্যানে এমন এক চিত্র ওঠে এসেছে। মিশরীয় ফ্যামিলি কোর্টের তথ্য অনুযায়ী, স্বামীকে নির্যাতন ও মারধর করেন
এমন স্ত্রীদের ৬৬ ভাগই আবার ফ্যামিলি কোর্টের মাধ্যমে ডিভোর্সের আবেদন করে থাকেন।
এক্ষেত্রে স্ত্রীকে বিচারের মুখোমুখি করা ছাড়া কিছুই করার থাকে না বেচারা নির্যাতনের শিকার স্বামীদের। এ ধরনের মামলা প্রায় ৬০০০ বলে জানিয়েছে ফ্যামিলি কোর্ট।
তথ্য অনুযায়ী, স্বামীকে পেটানোর ক্ষেত্রে কেবল হাত ব্যবহার করেই ক্ষ্যান্ত দেন না স্ত্রীরা! এক্ষেত্রে তারা বেল্ট, রান্নায় ব্যবহৃত জিনিসপত্র, জুতো এবং কোনও কোনো ক্ষেত্রে অস্ত্রও ব্যবহার করেন বলে তথ্যে উঠে এসেছে।
এর থেকেও বেশি চাঞ্চল্যকর তথ্য এই যে স্বামীকে পেটানো এবং গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার কাজ নির্বিঘ্নে করতে অনেক সময় তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেন স্ত্রীরা। কিছুটা আচ্ছন্ন হয়ে আসলে স্বামীর উপর চলে অকথ্য অত্যাচার
সংগ্রহিত
বিষয়: বিবিধ
১১৪২ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শরিয়ত মোতাবেক একটা বিশেষ পর্যায়ে গিয়ে স্ত্রীকে প্রহারের অধিকার দেওয়া হয়েছে স্বামীকে । কিন্তু সেটার বিপক্ষে মনুষ্য আইন বানিয়ে ফেলায় এখন পুরুষদের হাত পা বেধে ফেলা হয়েছে আক্ষরিক অর্থেই ।
ফলে , শরিয়ত সন্মতভাবে স্ত্রীর কাছ থেকে তার প্রাপ্য চাইতে গেলে মনুষ্য আইনের ফাঁপড়ে পড়তে হয় ।
এই মনুষ্য আইনের ফলে স্ত্রীরা স্বামীর কাছ থেকে ৩২ আনা উসূল করতে পারে , না পেলে মামলা ঠুকে দিতে পারে । স্বামী তার কাছ থেকে ৪ আনাও চাইতে গেলে মামলায় ফেঁসে যেতে পারে ।
অথচ নারীদেরকে বলা হয়েছে পুরুষদের অনুগত থাকতে । পুরুষদেরকে দেওয়া হয়েছে কর্তৃত্ব।
কিন্তু আমাদের মুসলিম সমাজে হচ্ছে এর বিপরীতটা । সমাজের একেবারে মূলে যে দাম্পত্য জীবন , যে পরিবার সেখানেই শরিয়তকে অনুসরণ না করে মনুষ্য আইনকে অনুসরণ করায় মুসলমানেরা সঙ্গত কারণেই পিছিয়ে রয়েছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন