জীবনে যাদের হররোজ রোযা ক্ষুধায় আসে না নীদ,আধমরা সেই গরিবের ঘরে এসেছে কি আজ ঈদ!!!!১
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০১:১৬:৪৭ রাত
ঈদের দিনে আমাদের ভাই বোন অথবা সন্তানেরা যখন পেট ভরে খেয়ে নুতন জামা পরে উল্লাস করে ঘুরে বেড়ায়, তখন ঐ ছেলে মেয়েগুলো, যাদের পেটে খাবার ঝুটেনি, যাদের শরীরে নুতন জামা উঠেনি, যাদের অসহায় বাবার পক্ষে সম্ভব হয়নি ঐ অবুঝ ছেলে- মেয়েগুলো মুখে খাবার তুলে দেবার, নুতন জামা খরিদ কওে দেয়ার, আমাদের সমাজের ঐ দুর্বল অংশ, ঐ অসহায় পরিবারের সন্তানগুলো একবুক কষ্ট চেপে রেখে দূরে দাঁড়িয়ে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে তাদের পাড়ার তাদেরই খেলার সাথীরা নুতন জামা পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
চাপা কান্নার তীব্র গতি অই ছোট্র ছেলেমেয়েগুলোর কোমল মনকে তখন দারুণভাবে নাড়া দেয় । এই পৃথিবীর নিষ্টুরতা তাদের অবুঝ মনে ভয়ংকরভাবে আঘাত হানে।
যারা একটু বড় হয়ে গেছে, তারা তাদের বাবার অপারগতার বুঝে নিয়ে বাস্তবতাকে মেনে নেয়। তারা ভাবে, এই পৃথিবীর সব আনন্দ সকলের জন্য নয়। যারা খুব ছোট্ট, তারা ঘুরঘুর করতে থাকে বাবা-মা’র আসে পাশে। লোভাতুর দৃষ্টিতে তাকায় বাবার দিকে।
আবদারের সুরে জিজ্ঞেস করে,‘‘বাবা, সবাই নুতন কাপড় পরেছে। আমাদের কি নুতন জামা পরা হবেনা ? সবার ঘরে ফিন্নি সেমাই রান্না হয়েছে, গোশত রান্না হয়েছে, আমরা কি আজ সেমাই খাবনা? আমাদের ঘরে কি গোশত রান্না হবে না...?
এই অবস্থায় অই অসহায় ‘‘বাবা’ লোকটির পক্ষে আর স্বভাবিক থাকা সম্ভব হয় না। দু’চোখ বেয়ে নেমে আসে অসহায়ত্বের কান্না।
বিষয়: বিবিধ
৫৬৬৭ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যাকাত ঠিকমত স্টাবলিশ হলে তথা ইসলামী ব্যবস্থা কায়েম হলে এসব (ধনী গরীব এর মারাত্মক বৈষম্য)অনেক কমে আসতো ।
আল্লাহ আমাদের হেদায়েত করুন - আমিন।
(এতবার পড়েও কেউ কোন কমেন্ট করলো না !!)
মন্তব্য করতে লগইন করুন