বাকশাল প্রতিষ্ঠার সেই ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি ১১ মিনিটে চতুর্থ সংশোধনী পাস হয়েছিল। কন্যার কত মিনিট লাগবে !!!

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ০১ মে, ২০১৬, ০৮:২৩:৩৮ রাত



১৯৭৫ সালের ২৫শে জানুয়ারী এই তারিখে এদেশের রাজনীতির ইতিহাসে রচিত হয়েছিল এক কালো অধ্যায়ের।

সংসদে পেশকৃত চতুর্থ সংশোধনী বিল পাস হয়। এর মাধ্যমে দেশের সব রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে একদলীয় শাসন তথা বাকশাল গঠনের পথ উন্মুক্ত শেখ মুজিবরুর রহমান ।

এক নজিরবিহীন ন্যূনতম সময়ের মধ্যে (মাত্র ১১ মিনিট) চতুর্থ সংশোধনী বিলটি সংসদে গৃহীত হয় এবং তা আইনে পরিণত হয়। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও বিলটি নিয়ে সংসদে কোনো আলোচনা বা বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়নি। এই বিলের মাধ্যমে প্রশাসন ব্যবস্থায় এক নজিরবিহীন পরিবর্তন সাধন করে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান দেশের নির্বাহী, আইন ও বিচার বিভাগের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণাধিকারী হন। আওয়ামী লীগ প্রধান হিসেবে তিনি এবং তার আত্মীয়স্বজনরা রাষ্ট্রের সবরকম ক্ষমতা কুক্ষিগত করেন।

এ পদক্ষেপকে শেখ মুজিব তার ‘দ্বিতীয় বিপ্লবে’র সূচনা হিসেবে উল্লেখ করেন। বিপ্লবকে ত্বরান্বিত করতে শেখ মুজিব এদেশের মানুষের মৌলিক রাজনৈতিক অধিকার হরণ করেন। অবরুদ্ধ করেন মানুষের বাক ও চিন্তার স্বাধীনতা। যদিও এই নেতা ’৭১-এ ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে উদাত্ত কণ্ঠে বলেছিলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না, আমি এদেশের মানুষের অধিকার চাই।’

যেমনটি তার কন্যা হাসিনা বলেছিল ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারীর পুর্বে। আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাইনা ক্ষমতা চাইনা । আমি চাই শান্তি । সংবিধান রক্ষার জন্য দশম সংসদ নির্বাচন দিলাম এর পরে এগারোতম সংসদ নির্বাচন দিব যাতে মানুষের আশাআকাংখার প্রতিফলন ঘটে।

কিন্তু এখন ১০০ ভাগ মিথ্যাবাদিতার প্রমান দিল তার বাবার মতো ।

১৯৭৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মুজিব এদেশের মানুষের সব মৌলিক ও রাজনৈতিক অধিকার হরণ করেন।

এদিন তিনি সব রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে ‘বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ’ (বাকশাল) নামে একটি জাতীয় রাজনৈতিক দল গঠন করেন।

শেখ মুজিব বাকশালের দর্শন বাস্তবায়নের জন্য ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন দেশের সবক’টি সংবাদপত্র বিলুপ্ত করেন। শুধু সরকারি ব্যবস্থাপনায় দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক বাংলা, বাংলাদেশ অবজারভার এবং বাংলাদেশ টাইমস—এ চারটি পত্রিকা সাময়িকভাবে প্রকাশনার সুযোগ দেয়া হয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মুজিবের মৃত্যুর পর পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে আবার বহুদলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা চালু হয়।

আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত এবং তারা সেই বাকশালি কায়দায় রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। একতরফাভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা পরিবর্তনের পথকে করেছে রুদ্ধ।



কৌশলের ধরনে বুঝা যাচ্ছে হাচিনা মচকাবেনা এটাকে ভাঙ্গতে হবে। দামাল ছেলেরা প্রস্তুত আছে ভাঙ্গতে ইনশাআল্লা ওর স্বপ্নের ফানুষ চীরতরে নিভে যাবে পরিবারের সদস্যদের মতো

বিষয়: বিবিধ

১৩৬১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

367697
০১ মে ২০১৬ রাত ০৯:০৪
শেখের পোলা লিখেছেন : যতদিন ভোগান্তি আছে তা সইতেই হবে।
০১ মে ২০১৬ রাত ০৯:১৮
305069
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : হ ভাই

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File