পহেলা বৈশাখ বাংলা শুভ নববর্ষ কি ও কেন জানুন সঠিক ইতিহাস ।

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১২ এপ্রিল, ২০১৬, ০২:৩৭:৪৭ দুপুর



বাংলা পঞ্জিকার শুরু হত ইংরেজী পঞ্জিকায় এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় হতে। বাংলা বছরের প্রথম দিন আসাম, বঙ্গ, কেরালা, মনিপুর, নেপাল, উড়িষ্যা, পাঞ্জাব, তামিল নাড়ু এবং ত্রিপুরার সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে অনেক আগে থেকেই পালিত হত।

এখন যেমন নববর্ষ নতুন বছরের সূচনার নিমিত্তে পালিত একটি সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে, এক সময় এমনটি ছিল না। তখন বাংলা শুভ নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ আর্তব উৎসব তথা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে পালিত হত। তখন এর মূল তাৎপর্য ছিল কৃষিকাজ। প্রাযুক্তিক প্রয়োগের যুগ শুরু না হওয়ায় কৃষকদের ঋতুর উপরই নির্ভর করতে হত।

ভারতবর্ষে মুঘল সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর সম্রাটরা হিজরী পঞ্জিকা অনুসারে কৃষি পণ্যের খাজনা আদায় করত।

কিন্তু হিজরি সন চাঁদের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় তা কৃষি ফলনের সাথে মিলত না। এতে অসময়ে কৃষকদেরকে খজনা পরিশোধ করতে বাধ্য করতেহত।

খাজনা আদায়ে সুষ্ঠুতা প্রণয়নের লক্ষ্যে মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। তিনি মূলত প্রাচীন বর্ষপঞ্জতে সংস্কার আনার আদেশ দেন। সম্রাটের আদেশ মতে তৎকালীন বাংলার বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদ ফতেহউল্লাহ সিরাজি সৌর সন এবং আরবি হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম বিনির্মাণ করেন। ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ১১ই মার্চ থেকে বাংলা সন গণনা শুরু হয়।

সে হিসেবে পেছন দিকে গুনতে থাকলে বাংলা ৯৬৩ সনের আগে আর কোন সন পাওয়া সম্ভব নয়।

তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় । প্রথমে এই সনের নাম ছিল ফসলি সন, পরে বঙ্গাব্দ বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত হয়।

আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন শুরু হয়। তখন প্রত্যেককে চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে হত। এর পর দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখে ভূমির মালিকরা নিজ নিজ অঞ্চলের অধিবাসীদেরকে মিষ্টান্ন দ্বারা আপ্যায়ন করতেন। এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করা হত। এই উৎসবটি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয় যার রুপ পরিবর্তন হয়ে বর্তমানে এই পর্যায়ে এসেছে।

তখনকার সময় এই দিনের প্রধান ঘটনা ছিল একটি হালখাতা তৈরি করা। হালখাতা বলতে একটি নতুন হিসাব বই বোঝানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে হালখাতা হল বাংলা সনের প্রথম দিনে দোকানপাঠের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া। গ্রাম, শহর বা বাণিজ্যিক এলাকা, সকল স্থানেই পুরনো বছরের হিসাব বই বন্ধ করে নতুন হিসাব বই খোলা হয়। হালখাতার দিনে দোকনদাররা তাদের ক্রেতাদের মিষ্টান্ন আপ্যায়ন করে থাকতো।

সংগ্রহিত

বিষয়: বিবিধ

১৭৮৪ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

365480
১২ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০২:৪৩
বিবেক নাই লিখেছেন : ‘ইসলাম কাউকে ঘৃণা করতে শেখায় না, সবাইকে ভালোবাসতে শেখায়, বিধর্মীরা তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালুন করুক। তাতে ইসলাম বাধা দেয়না কিন্তু কোন মুসলমান যদি তাদের সে অনুষ্ঠানে যায়, শুভেচ্ছা যানায় তাহলে সে মারাত্বক অপরাদ করলো।
ইমাম ইবনে কায়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ) এর বক্তব্য শুনুন,
“কাফেরদের তাদের উৎসবে সম্ভাষণ জানানো আলিমদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে নিষিদ্ধ। এটা কাউকে মদ খাওয়া বা খুন করা বা ব্যভিচার করায় সাধুবাদ জানানোর মতো। যাদের নিজের দ্বীনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নেই, তারাই কেবল এ ধরনের ভুল করতে পারে। যে অন্যকে আল্লাহ্‌র অবাধ্যতা, বিদ’আত, অথবা কুফরীতে জড়ানোর কারণে শুভেচ্ছা জানাবে সে আল্লাহ্‌র ক্রোধ ও শাস্তির সামনে নিজেকে উন্মুক্ত করল”।হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
১২ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০২:৫৩
303192
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : সেই চর্চাটা যারা করার কথা ছিল আজকে ওনারা ! মাশাআল্লাহ !!
কালকে ইনু ফতোয়া দিয়েছেন পহেলা বৈশাখ উযযাপন করাতে কোন ক্ষতি নাই এক রকম সবা্ইর কর্তব্য
যাই হউক আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে
আমিন
365490
১২ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০৩:১৫
হতভাগা লিখেছেন :


মাদ্রাসায় লেখাপড়া করা পোলাপান যদি এরকম হয় তাহলে কেমনে কি ?
১২ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০৩:৩৯
303200
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : এটা একটা বাচ্চা পোলা । এ কি বুঝে মন্দির আর কি বুঝে মসজিদ
সে শিখতেছে মাত্র
১৩ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ০৮:৪৫
303291
হতভাগা লিখেছেন : মানুষের বেসিক গড়ে ওঠে এই বয়সেই
১৩ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০১:১০
303321
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : যাদের গড়ে উঠেছে ওরা আজও ব্যাকা চলে আর যারা মাত্র শিশু তাদের ব্যাপারে মন্তব্য Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File