কামারুজ্জামান কাদের মোল্লা এবং মুজাহিদরাই শুধু নয় , এই পথ কণ্ঠকাকির্ন তাই সবাইকে পরিক্ষা দিতে হয়
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১২ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:২৪:৪৭ রাত
ফাঁসিরকাষ্ঠে ঝুলন্ত কে এই মহান ব্যক্তি?
তিনি হচ্ছেন আদনান মেন্ডারিস, তুরস্কের লাগাতার তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ... ১৯৫০—১৯৬০ সাল পর্যন্ত তিনি তিনবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। বলতে পারবেন, কোন অপরাধে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল? তার অপরাধ ?
তিনি তুরস্কে আরবিতে আযান দেওয়া বৈধ বলে ডিক্রি জারি করেছিলেন যা কুলাঙ্গার কামাল আতাতুর্ক কর্তৃক সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ ছিল ... এতেই
সেদেশের ধর্মনিরপেক্ষ সেনাবাহিনী সংবিধান লঙ্ঘনের দোহাই দিয়ে এই মহান ব্যক্তিকে এভাবেই ফাঁসিতে ঝুলিয়ে ছিল ... তাই বলে কি তুরস্কে ইসলাম
বিলুপ্ত হয়ে গেছে?
দেখেন না, আজ এই তুরস্কই মধ্যপ্রাচ্যে মুসলিম রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করছে! এ
থেকে আমাদের দেশে কোনো শিক্ষা নিবেন কি? সবাই দেখবেন এবং আশা করি শেয়ার করবেন !
বিষয়: বিবিধ
১৪৮৯ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
প্রকৃত মুসলীমদের পরীক্ষা দিতেই হবে৷ অতীতে হয়েছে, এখন হচ্ছে, ভবিষ্যতেও হবে৷
আপনাকে ধন্যবাদ৷
আমাদের দেশে যারা বর্তমানে ওটা নিয়েই রাসুলের দ্বিনকে তাজা রাখতে চায়
মিয়াভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
এটা কোন ধর্মীয় যুদ্ধ ছিল না বাংলাদেশের জন্য। এটা ছিল অন্যায় , বৈষম্য ও শাসকের শোষনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম/যুদ্ধ।
কোন মানুষকে বিনা কারণে হত্যা করা মানে পুরো মানবজাতিকে হত্যা করা । অথচ আপনাদের নিজামী , সাঈদী সাহেবেরা সেই কাজটিই করেছিল ৭১ এ। তখন কি তারা ইসলামকে ফলো করেছিল ?
জামায়াতের এই ভন্ডামী দেশবাসী ভালই জানে এবং জানে বলেই এরা ২/৩ টার বেশী আসন পায় না কঠিন সময়ে ।
৭১ এর শুরুর দিকে জামায়াতীরা ব্যাটিং করেছিল আর এখন ব্যাট করছেন হাসুবু । এমন ব্যাটিং যে জামায়াতীদের পিঠের ছাল না তুলে ছাড়ছেন না ।
https://www.facebook.com/btpnews247/videos/705993436167810/
ব্লগে আপনি বিভিন্ন সময় মন্তব্য করেন খুব ভাল লাগে তখন আপনার মন্তব্য পড়লে মনে হয় আপনি একজন সত্যনিষ্ট লোক
কিন্তু মাঝে মাঝে এমন সব মন্তব্য করেন যাহা নিরপেক্ষতার দৃষ্টিতে তো দুরে সাধারন দৃষ্টিতেও সেটা ঘৃনা লাগে
আপনার দৃষ্টিতে বর্তমানের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারটা স্বচ্ছ হচ্ছে বলে মনে করেন কি ? মাত্র একটি প্রশ্ন।
বাংলাদেশে বহু বিচার দেখেছেন কিন্তু এমন কোন বিচার দেখেছেন কি যেই বিচারটার ক্ষেত্রে আসামী পক্ষকে তাদের ডিফেন্চদেরকে হুমকি ধামকি , আদালত প্রাঙ্গন থেকে কিডন্যাপ করা , দুই আইনজিবিীর মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে ষঢ়যন্ত্রর রহস্য ফাস হওয়া ! এতকিছু হওয়ার পরেও সেই বিচারকে যদি আপনি স্বচ্ছ বলেন তবে বুঝলাম আপনি নিরেপক্ষ শব্দটার প্রতি জুলুম করেছেন
নিজেকে নিজে প্রশ্ন করুন দয়া করে তবে উত্তর পাবেন
তারপরেও মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ
এসব ক্ষেত্রে যে কোন ক্ষতিগর্স্ত ব্যক্তি তো স্বাভাবিকভাবেই (আপনি/আমি/যে কেউ) চাইবে এদেরকে নিজের হাতে মাইর দিতে ।
সরকার আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলেই একটা বিচারিক প্রক্রিয়ায় এদের বিচার করা হচ্ছে । এসবের কি আদৈ কোন দরকার ছিল ? এরা তো বিচার করে আমাদের পুর্ব পুরুষদের মারে নি ? কোন বিচার প্রক্রিয়ায় না গিয়ে এদেরকে সোজা সর্বোচ্চ সাজা দিয়ে দেওয়া উচিত ছিল and they really deserve it.
হাসুবু কেন যে এতটা কালক্ষেপন করছেন এদেরকে নিয়ে ?
স্বাধীনতাউত্তর মুজিবের বিচার প্রক্রিয়াতে গোলাম আযম ছাড়া বর্তমানে বিচার করা ব্যাক্তিদের কারোর বিরুদে্ধ মামলা ও হয়নি বা কোন অভিযোগ ছিল না
তা হলে আপনি বা আপনার বোন কি ভাবে জানলো এরা যুদ্ধঅপরাধী ?
একটা মিথ্যাকে যদি সত্যয় রুপান্তর করতে হয় তবে সেখানে আরো বিশটা মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয় সেটা জানেন ?
যেই জিনিসের কোন ভিক্তিই নাই কোন প্রমান নাই সেটাকে বাস্তব রুপ দিতে কত মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়েছে একবার চিন্তা করেন
ঢালাও ভাবে আশা করি আর এমন মন্তব্য করবেন না যে এরা ৭১ সালে হত্যা করেছে
১৯৭১ সালে তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগই উথ্থাপন হয়নি তাই উদ্ভট কথা না বলাই সমিচিন
সত্যকে সত্য বলুন এবাদত কবুল হবে নিরপেক্ষভাবে কথাটা বললাম একবার চিন্তা করুন
০ ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল ?
০ পি.এইচ.ডি. ডিগ্রী নিতে আমেরিকায় অবস্থান করছিল ?
০ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে গেরিলা ট্রেনিংয়ের জন্য আগরতলা চলে গিয়েছিল ?
০ নাকি সাধারণ মানুষ হিসেবে ঘরে বসে '' কবে দুঃসময় কাটবে '' সে দিনানিপাত করছিল ?
@ জাতির ভায়া :
সে সময়ে এক মুসলমান (পশ্চিম পাকিস্তানী সেনারা) আরেক মুসলমানের ( পূর্ব পাকিস্তানের নিরীহ) উপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ছিল ধর্মের নামে , নাকি শাসক শোষিতের উপর তার পালিত বাহিনী লেলিয়ে দিয়েছিল ?
@ আনিস ভায়া :
Who is the political counter part of Awami league ? is it Jamayat ?
০ In 1991-1996 and 2001-2006 who was in the power while Awami League was in the opposition? Was it jamayat?
০ Who gave the formula of the Caretaker Govt to awami league , was it from their political counter part jamayat ?
০ Who did join Awami league in 1995-96 for Care taker Govt movement - is that party was the political rival of awami league?
You must have born after 2009/2010
মুরগী কবির কোথায় যুদ্ধ করেছিলেন ? মুনতাসির মামুন কোথায় যুদ্ধ করেছিলেন ? শেখ মুজিব স্বইচ্ছায় আত্মসর্ম্পন করে পাকিস্তানের জেলে জামাই আদরে ছিলেন কেন ? মহিউদ্দিন খান আলমগীর তো রাজাকার কোন সেক্টরে সে যুদ্ধ করেছিলো ?
কবির চৌধুরী- এক নামে পরিচিত ব্যাক্তি। আওয়ামীদের অন্যতম থিংকট্যাংক। গত আওয়ামী সরকার কবির চৌধুরীকে জাতীয় অধ্যাপক বানিয়েছিল। তিনি ঘাদানিকের সভাপতি ছিলেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী অধ্যাপক কবীর চৌধুরী এখন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা।
অথচ এই কবির চৌধুরীর পুরো পরিবার ছিল রাজাকার, স্বাধীনতা বিরোধী ও পাকিস্তানপন্থী। কিছু তথ্য দেখুন-
কবির চৌধুরী-
১৯৬৯-৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময় কবীর চৌধুরী পাক হানাদার সরকারের বিশ্বস্ত অনুচর হিসেবে বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছিল।
পাকিস্তানের সংহতি রক্ষার কথা বলে মহান মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতীয় দালাল আখ্যায়িত করে ১৯৭১ সালের ১৭ মে দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকায় বিবৃতি দিয়েছিলো কবীর চৌধুরী।
অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর বড় ভাই কাইয়ুম চৌধুরী-
কাইয়ুম চৌধুরী পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর একজন কর্নেল হিসেবে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ করেছেন। পাকিস্তানের প্রতি তার আনুগত্য এত বেশী ছিল যে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও পাকিস্তানেই তিনি থেকে গেছেন। পরে ব্রিগেডিয়ার হিসেবে অবসর নিয়ে এখনও পাকিস্তানেই অবস্থান করছেন।
মুনির চৌধুরী-
কবির চৌধুরীর আরেক ভাই মুনির চৌধুরী যাকে শহীদ বুদ্ধিজীবি হিসেবে অভিহিত করা হয়। তার ব্যাপারে কাদের সিদ্দীকি বলেছেন এভাবে, পাকিস্তানের পক্ষে ১৯৭১ সালে ঢাকার ৩১জন বুদ্ধিজীবি বিবৃতি দিয়েছিল। তাতে একনম্বরে স্বাক্ষর করেছিল মুনির চৌধুরী। মুনির চৌধুরী পুরো যুদ্ধের সময় একদিনের জন্যও নিজের কর্মস্থলে যাওয়া বন্ধ করেনি। এমনকি নভেম্বর মাসের বেতনও তিনি তুলেছিলেন। ১৩ তারিখ পর্যন্ত যারা অবলীলায় ঢাকায় থেকে পাকিস্তানিদের সব হুকুম হাকাম পালন করেছে, ১৪ তারিখ সুবেহ সাদেকে সেই পাকিস্তানিদের হাতে নিহত হয়ে সবাই পূতঃপবিত্র হয়ে গেল? আর যারা বেঁচে ছিল তাদের কেউ কেউ দালাল হলো? এটা কেমন বিচার?
৩১ জন বিবৃতিদান কারীদের মধ্যে থেকে কবি তালিম হোসেনকে যখন স্বাধীনতার পরপর দালাল আইনে গ্রেফতার করা হয় তখন তিনি বলেছিলেন এভাবে, “…বেশ কিছুদিন ধরে কষ্ট হচ্ছে আমরা একসঙ্গে যারা পাকিস্তানের গোলামি করলাম, বেতন নিলাম তাদের কেউ কেউ মরে গিয়ে শহীদ হলো আমরা বেঁচে থেকে দালাল হলাম। এতে কেমন যেন স্বস্তি পাচ্ছি না। বাবা, অপরাধ যা কিছু করার আমরা একসঙ্গে করেছি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করিনি। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের চাইতে পাকিস্তান আমলে আমি মাত্র এক বা দু’দিন বেশি বেঁচেছি, চাকরি করেছি। শহীদরা ১৩ তারিখ রাতে মারা গেছে। ১৪ আর ১৫ বলতে গেলে এই দু’দিন তো পাকিস্তানিদের দৌড়াদৌড়িই সার। ওই এক-দেড় দিন আমাদের কারোরই কিছু করার ছিল না। এখন মৃত্যু ভাগ্যে জোটে নাই তার জন্য কিইবা করতে পারি?”
হায় আফসোস ১৯৭১ এর ঘাতক দালাল কবীর চৌধুরী স্বাধীন বাংলাদেশের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা। সত্যি সেলুকাস বিচিত্র এদেশ। যে পরিবারের প্রতিটি সদস্য পাকিস্তানের পক্ষে দালালি করেছিল তারা আজ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের? এর নামই কি আওয়ামী ভন্ডামি?
ইসলামী আন্দলন করে তাই কি এদের দোষ নয় ? নিজেকে বক ধার্মিক ভাবার আগে একবার চিন্তা করুন মরতে হবে সত্য চিন্তা নিয়ে এবং লেখনী নিয়ে যাবেন বলে বিশ্বাস করি
মন্তব্য করতে লগইন করুন