ইসলামের দৃষ্টিতে বাসর রাতে স্ত্রীর সাথে এই ১০ টি কাজ করতেই হবে, যা অনেকেই জানেনা

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ০৯ এপ্রিল, ২০১৬, ১০:১৯:০২ রাত



বাসর রাত মুমিন জীবনের অন্যতম রাত।

বাসর রাতে অবশ্য পালনীয় কিছু টিপ্স নিয়ে আলোচনা করার দরকার।

০১. গোলাপ ফুল দিয়ে দুজন দুজনাকে বরণ করে নিতে হবে।

০২. উভয়ই মহান আল্লাহকে যে ভালবাসবেন তা পরিষ্কার ভাবে দুজনা বোঝা পড়া করবেন।

০৩. হানিমুনে কোথায় যাবেন তা বাসর রাতেই ঠিক করবেন, সে ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রীকে এটা ঠিক করতে হবে যে, সবচেয়ে পৃথিবীর মূল্যবান যায়গা মক্কা মদীনায় যাওয়া এবং ওমরা করার পরিকল্পনা করা।

০৪. ছোট খাট ভুলের জন্য কাউকে তিরষ্কার না করা। কাউকে ছোট না করা।

০৫. কোন পক্ষের আত্নীয় স্বজনকে ছোট না করা, গালি না দেওয়া, অপমান না করা।

০৬. জীবনের প্রথম ভালবাসার রাত, তাই ভালবাসা অক্ষুন্ন রাখা।

০৭. দুজনাতে একটু খোশ গল্প করা, জীবন থেকে কোন গল্প বলা।

০৮. ভবিষ্যত জেনারেশনের ব্যাপারে আলাপ সেরে নেওয়া। তবে বেশী দূর অগ্রসর না হওয়াই ভাল।

০৯. মোহরানা যদি বাকি থাকে সেটা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া, অল্প দিনের মধ্যেই মোহরানা পরিশোধ করা। স্ত্রী যদি চাকুরি করে তবে টাইম টেবিলটা নিয়ে একটু পরিষ্কার করা। চাকুরি না করলে ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা বলা।

১০. এ রাতই হল উত্তম ভালবাসার রাত। দুজনার সব আকুতি মেশানো ভালবাসা দিয়ে দুজনাকে জয় করা। কোন ভাবেই যেন ফজরের নামাজ কাজা না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা ।

ইসলামে নারী-পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য বিয়েই হচ্ছে একমাত্র বৈধ উপায়। বিয়েতে মোহরানা ধার্য করা এবং তা যথারীতি আদায় করার জন্য ইসলামে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। স্বামীর পক্ষ থেকে স্ত্রীকে মোহরানা প্রদান করা ফরজ।

মোহরানা সম্পর্কে কোরআনের বানী :

আল্লাহ তায়ালা বলেন,‘তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের নিকট যে যৌন স্বাধ গ্রহন কর, তার বিনিময়ে তাদের মোহরানা ফরজ মনে করে আদায় কর।’

(সূরা নিসা-২৪)

আল্লাহ তায়ালা বলেন,‘অতঃপর নারীদের অভিভাবকের অনুমুতি নিয়ে তাদের বিয়ে কর এবং তাদের মোহর যথাযথভাবে আদায় করে দাও।’

(সূরা নিসা-২৫)

আল্লাহ তায়ালা বলেন,“স্ত্রীদের প্রাপ্য মোহরানা আদায় করে দাও, খূশী হয়ে ও তাদের প্রাপ্য অধিকার মনে করে।’ (সূরা নিসা-৪)

অত্র আয়াত সমুহ প্রমাণ করে যে, মোহরানা ফরজ বা আদায় করা অপরিহার্য।

মোহরানা সম্পর্কে রাসুল (সাঃ) এর বানী :

উক্ববা ইবনু আমের (রাঃ) বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “অবশ্যই পূরণীয় শর্ত হচ্ছে, যার বিনিময়ে তোমরা স্ত্রীর যৌনাঙ্গ নিজেদের জন্য হালাল মনে কর।’ (বুখারী,মুসলিম)

মহানবী (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোন মেয়েকে মোহরানা দেয়ার ওয়াদায় বিয়ে করেছে, কিন্তু সে মোহরানা আদায় করার তার ইচ্ছে নেই, সে কেয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে অপরাধী হিসেবে দাঁড়াতে বাধ্য হবে।’ (মুসনাদে আহমেদ)।

সুতরাং মোহরানা স্ত্রীর এমন একটি প্রাপ্য যা তিনি স্বামীর সঙ্গে মিলিত হওয়ার আগে পাওনা হন, তবে স্ত্রী (স্বেচ্ছায় ও স্বত:স্ফূর্তভাবে) সময় দিলে বাকি রাখা যাবে। কিন্তু মোহরানার অর্থ আবশ্যিকভাবে পরিশোধ করতে হবে। বিবাহিত স্ত্রীকে অসহায় মনে করে ছলে-বলে-কৌশলে বা অজ্ঞতার সুযোগে মাফ করিয়ে নিলে মাফ না হয়ে তা হবে জুলুম-প্রতারণা। এ জুলুম প্রতিরোধকল্পে মহান আল্লাহপাক ঘোষণা করেন – ‘যদি স্ত্রী নিজের পক্ষ থেকে স্বত:প্রবৃত্ত হয়ে মোহরের কিছু অংশ ক্ষমা করে দেয়, তবে তোমরা তা হৃষ্টচিত্তে গ্রহণ করতে পার।’ (সূরা নিসা, আয়াত-৪)।

বিষয়: বিবিধ

৩১৭৪ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

365129
০৯ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১১:১৬
আফরা লিখেছেন : ছবিটা যেমন গর্জিয়াস লিখাটা তেমন গর্জিয়াস হয়নি ভাইয়া ।তবু ও একটা ধন্যবাদ দিলাম ভাইয়া কষ্ট করে লিখেছেন ।
০৯ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১১:২৭
302942
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : হুম
হয়না যে সব এক রকম
যাই হউক একটা ধন্যবাদ তো দিলেন
আপু স্বাগতম আপনার ধন্যবাদকে
365138
০৯ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১১:৪৮
আবু জান্নাত লিখেছেন :
ইসলামের দৃষ্টিতে বাসর রাতে স্ত্রীর সাথে এই ১০ টি কাজ করতেই হবে, যা অনেকেই জানেনা


গোলাফ ফুল, হানিমুন, ভবিষ্যত জেনারেশনের ব্যাপারে আলাপ সেরে নেওয়া,


এগুলো কি ইসলামের দৃষ্টিতে করতেই হবে? Surprised Surprised Surprised Surprised Surprised Surprised Surprised

কিছু বুঝে আসে নাই। ধন্যবাদ

365146
১০ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১২:৫৪
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : আফরা লিখেছেন : ছবিটা যেমন গর্জিয়াস লিখাটা তেমন গর্জিয়াস হয়নি ভাইয়া ।তবু ও একটা ধন্যবাদ দিলাম ভাইয়া কষ্ট করে লিখেছেন ।
365148
১০ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০১:০১
কুয়েত থেকে লিখেছেন : লেখাটি খুবই ভালো লাগলো বাসর রাতেই কি এসব জরুরী যে গোলাফ ফুল, হানিমুন, ভবিষ্যত জেনারেশনের ব্যাপারে আলাপ সেরে নেওয়া..? ধন্যবাদ আপনাকে
365167
১০ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ০৭:৫৪
মহিউদ্দিন মাহী লিখেছেন : সব বিষয়গুলো ইসলামের দৃষ্টিতে জরুরী না হলেও নিষেধ তো নাই।
দরকারি বিষয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ।
365199
১০ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০১:১০
মু নূরনবী লিখেছেন : আসসলামু আলাইকুম...

কাম ব্যাক..
365212
১০ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০১:৫৮
শফিউর রহমান লিখেছেন : ৯ নম্বরের ব্যাপারে - আংশিক কেন বললেন? মহরানা তাৎক্ষণিকভাবে আদায় করে দেয়াটাই সঠিক আক্বিদা; নয় কি?

নাম দিয়েছেন ইসলামের দৃষ্টিতে। কিন্তু লেখাতে তা ফুটে উঠে নি পুরো-পুরি। কোন বিষয়ে নিজে শিওর না হলে "ইসলামের" নাম নিয়ে বলা উচিত নয়।
365353
১১ এপ্রিল ২০১৬ বিকাল ০৪:১৪
হতভাগা লিখেছেন : হানিমুনে যাওয়া কি ম্যান্ডেটরি ? এর ব্যয়ভার কি স্ত্রী বহন করবে ? স্বামী বেচারা সবে মাত্র বিরাট একটা খরচ সামাল দিয়েছে , তারপরেও তাকে আবারও আরেকটা খরচের ব্যবস্থা করাতে হবে ?

আমাদের দেশে দেনমোহরের কিছুটা উসূল করে বাকিটা পরে সুবিধাজনক সময়ে আদায় করবে - এরকমভাবেই নিকাহনামা তৈরি করা হয় । কারণ মেয়েরা তাদের জন্য যে দেনমোহর ধার্য্য করে তা ২-৩ বছর চাকুরী করা ছেলের পক্ষে ষ্পর্শ করার পূর্বে শোধ করা একেবারেই কঠিন ।

এখন কথা হল - যদি মেয়েটি বিয়ের ২ মাস যেতে না যেতেই তাং ঝাং করা শুরু করে দেয় এবং এর ফলে স্বামী বাধ্য হয়েই তাকে তালাক দেয় বা মেয়েটিই তালাক নিয়ে নেয় বেটার লাইফের মওকা পেয়ে ----- তখন দেন মোহরের কি হবে ?

সূরা বাকারা এর ২২৮-২২৯ নং আয়াত যদি একটু ব্যাখ্যা করতেন ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File