গায়েবি ভোট, ফার্স্ট হয়ে গেলেন হাসিনা । লুট পাটে হত্যা সন্ত্রাসে ও উনিই ফাস্ট । কার বাবার সাদ্ধ আছে সেকেন্ড করার !!

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ০৭ এপ্রিল, ২০১৬, ০৮:৫০:৪০ রাত

১০ম সংসদ নির্বাচনে স্পীকার , ডিপুটি স্পীকার ও প্রেসিডেন্ট একটি ভোটও পায়নি। তারপর ও সেই নির্বাচন গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছে এবং সরকারের প্রধান হিসেবে হাসিনা তৃপ্তির ঢেকুর তুলছে।



গায়েবি ভোট। শব্দটা পুরনো। ৫ই জানুয়ারি ভোটে আবার শোনা গেল, ভোটের ইতিহাসে এটা নয়া এক অধ্যায়।

নির্বাচন কমিশন লজ্জা পায়নি। শাসকরা উল্লসিত। তবুও তো ভোট হয়েছে। কলঙ্কিত হোক, তাতে কি যায় আসে। ভোটাররা ভোট না দিলেও যখন ভোট হয় তখন এত কসরত কেন?

গায়েবি ভোটে বোঝাই হয়ে গেল বাক্স। সকালে শূন্য, দুপুরে সামান্য, বিকালে একদম বোঝাই। এমন বোঝাই হয়ে গেল- নৌকা ডুবে ডুবে ভাব। কোনমতে তীরে পৌঁছালো বটে, তবে নৌকার হাল নেই। আর চলবে না। নয়া নৌকা বানাতে হবে।

শেখ হাসিনা হয়তো বলবেন, ভাল লোক নৌকায় ওঠেনি। তাই বলে তো খালি নৌকা চালিয়ে আনা যায় না। ভেজাল তো থাকবেই। খালি মাঠে গোল দেয়ার মতো আর কি?

গোলপোস্ট যেখানে নেই সেখানে চারদিকেই মনে হয় গোলপোস্ট। একজন সহকর্মী বললেন, নির্বাচন কমিশন নাকি দিনভর তটস্থ ছিল। কারণ, তারা নাকি ভাল কিছু আশা করেছিল। সেটা আবার কি?

কত ভাগ মানুষ ভোট দিলেন- আওয়ামী ইচ্ছা সেটা যেন ৪০-এর উপরে হয়। সে রকম চেষ্টা চলছে রোববার দুপুর থেকে। ৎ

রাতেও কমিশন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। কেন পারেনি? মিডিয়া সর্বনাশ করে দিয়েছে।

সরকার বিরোধী কোন মিডিয়া নয়। হাল জমানায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত টিভিগুলো ভোটের চিত্র যা দেখিয়েছে তাতে দেশবাসী জেনে ফেলেছে ভোটের গোপন রহস্য। বিশ্ববাসীও ধরে ফেলেছে ভোটের যত সব চালাকি। নিরপেক্ষ ভাষ্যকাররা বলছেন, ১০ থেকে ১৫ পার্সেন্ট ভোটারের উপস্থিতি দেখালেও বেশি বলা হবে। রাজধানীর বস্তিবাসীদের কি যে আনন্দ!

আসনে ভোট দিয়ে একেকজন হাজার টাকা কামিয়েছে। লাইনে দাঁড়ালেই পয়সা পেয়েছে। আসল কাজটা সেরে ফেলেছে ভোটের কারিগররা। আগে যেমনটা ঘটেনি এবার ঘটেছে।

প্রিসাইডিং অফিসার নিজেই যেখানে সিল দিয়েছেন সেখানে ভোটের হিসাব মেলানো কঠিন নয়।

পত্রিকায় ছবি দেখে প্রিজাইডিং অফিসার সাময়িক লজ্জা পেলেও তার জন্য প্রমোশন অপেক্ষা করছে।

গণতন্ত্র রক্ষা করার জন্য এবার অমোচনীয় কালিরও দরকার হয়নি। প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং এজেন্টরা নিখুঁতভাবে কাজটা সম্পন্ন করেছেন। কোন কোন অঞ্চলে রাতেই ভোটরঙ্গ মঞ্চস্থ হয়ে যায়।

উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম খাঁটি কথা বলেছেন। এবারের ভোট নাকি উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। উদাহরণ তো বটেই। ভোটে না দাঁড়িয়েও জেতা যায়। হাসপাতালে বসে এরশাদ হাসছেন।

এটাও সম্ভব। সব সম্ভবের দেশে ১৫৩ জন যেখানে বিনা লড়াইয়ে জিতে যান সেখানে ভোটের হিসাব নিয়ে মন্তব্য না করাই ভাল।

ভোটের ইতিহাসে নয়া ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন ৪১টি কেন্দ্রের সম্মানিত ভোটারেরা। তারা ভোট দিতে যাননি। এমন প্রতিবাদ থেকে শাসকরা বুঝতে পারছেন না তারা কি বার্তা দিয়েছেন। স্যালুট জানাই তাদের।

সংগ্রহিত

বিষয়: বিবিধ

৯১৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File