‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বনাম ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল সংখ্যালঘু নির্যাতন ও বিবেক
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ০৪ এপ্রিল, ২০১৬, ১১:৪২:২৫ রাত
যেসব্ নাস্তিকেরা ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ না রাখার জন্য রিট করেছিলো, তাদের মূল কথাই ছিলো এদেশে সংখ্যালঘু তথা হিন্দু জনগোষ্ঠীর জন্য ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ রাখা যাবে না। এমনকি এই মামলায় ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ এর বিরুদ্ধে উকিলও ছিলো হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা সুব্রত চৌধুরী।
বাংলাদেশে মুসলমানরা জনসংখ্যার প্রায় ৯৫ শতাংশ তথা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ার পরও বাংলাদেশের মুসলমানদের চাওয়া-পাওয়াকে কোনই গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না মাত্র ২-৩ শতাংশ হিন্দু জনগোষ্ঠীর জন্য।
হিন্দুরা এদেশে হয়ে উঠেছে ‘সুপার মাইনোরিটি’ বা ‘অতি-সংখ্যালঘু’।
পাশ্চাত্যে এই ‘সুপার-মাইনোরিটি’ বা অতি-সংখ্যালঘু হলো ইহুদীরা, বিশেষ করে আমেরিকায়। সেখানে সবাইকে ইহুদীদের ভয়ে তটস্থ হয়ে চলতে হয়, কারণ ইহুদীদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে মুখ ফসকে কিছু বলে ফেললেই সর্বনাশ।
বহিষ্কৃত ক্রিকেটার রকিবুল ইসলামের কথা মনে আছে পাঠকের,
এই রকিবুল ইসলাম ছিলেন বঙ্গবন্ধুর পুত্র শেখ কামালের বন্ধু। পাকিস্তান ক্রিকেট টীমের একমাত্র বাঙালি প্লেয়ার হিসেবে ব্যাটে ‘জয়বাংলা’ স্টীকার লাগিয়ে মাঠে নেমে তিনি তখন আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। এই কিংবদন্তী ক্রিকেটার রকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাত্তর টিভির এক হিন্দু সাংবাদিক টস জালিয়াতির অভিযোগ এনেছিলো।
তখন রকিবুল ইসলাম বলতে বাধ্য হন যে, এই হিন্দুরা ভারতীয় হাইকমিশনের সাথে যোগাযোগ রাখে। সবজায়গা থেকে এরা সুবিধা নেয়। তখন হিন্দুরা পরিকল্পনা করে রকিবুল ইসলামকে উত্তেজিত করে এবং অনেক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে তার বক্তব্য গোপন ক্যামেরায় রেকর্ড করিয়ে নেয়। সেই রেকর্ড একাত্তর টিভিতে প্রচারিত হলে রকিবুল ইসলামকে সমস্ত প্রকারের ক্রিকেট থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
পশ্চিমের ‘সুপার মাইনোরিটি’ ইহুদী, আর বাংলাদেশের ‘সুপার মাইনোরিটি’ হলো হিন্দু সম্প্রদায়, যাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললেই তার ক্যারিয়ারের খবর হয়ে যায়।
বাংলাদেশের হিন্দুরা বর্তমানে চাইলে এদেশের যে কোন মুসলমানকে হেনস্থা করতে পারে, তা সে যতোই ক্ষমতাধর কিংবা সম্পদশালী হোক না কেন। কারণ ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’ নামে একটি বুলি বারবার আওড়ানো হয়। আপনি তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলবেন, আপনি হয়ে যাবেন ‘সংখ্যালঘু নির্যাতনকারী’।
অর্থাৎ এখানে হিন্দু আর ইহুদীদের মূল অস্ত্র হলো ‘ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল’, যাকে বাংলাদেশে বলা হয় সংখ্যালঘু নির্যাতন, আর আমেরিকায় বলা হয় এন্টি সেমিটিজম। মূলত এই ‘ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল’ করেই এরা আজ ‘সুপার মাইনোরিটি’ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে এরা।
সত্যি বলতে- এই ‘সুপার মাইনোরিটি’কে ঠেকানো কোন একক ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব নয়, তবে যদি গণমানুষ একত্রিত হয়, তখনই এটা করা সম্ভব।
সংগ্রহিত
বিষয়: বিবিধ
১৬৬৭ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
প্রতিদান তাদের দোষররা সহ পাবে
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
এত সংখ্যালঘুম্যানিয়া হয়ত একসময় বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠদের হাহাকারের কারণ হবে । কারণ ইকোনমি এবং এডমিনিস্ট্রেশন অলরেডি তাদের হাতে চলে গেছে।
বর্তমানের আমাদের শাষকরাও নিজেদের দেশ মাটি ও জনগন বলে মনে করেনা
মন্তব্য করতে লগইন করুন