তুর্কী সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ‘ইসলাম’ তুলে দেয়ার পর কি কি ঘটেছিলো অনেকগুলোই ইতিমধ্যে বাংলাদেশে ঘটতে শুরু করেছে

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১২ মার্চ, ২০১৬, ০৩:০১:২৯ দুপুর

১) শিশুদের ইসলামী শিক্ষা নিষিদ্ধ করা হয়।

২) ধর্ম মন্ত্রণালয়, মাদরাসা-মসজিদ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং হজ্জ-ওমরা যাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়।

৩) বড় বড় মসজিদগুলোতে নামায বন্ধ করে দিয়ে সেগুলোকে জাদুঘর হিসেবে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। তুরস্কের সর্ববৃহৎ মসজিদ ‘আয়া ছুফিয়া’কে রূপান্তরিত করেছিলেন সরকারি জাদুঘরে।

৪) নারীদের জন্য হিজাব পরিধান বন্ধ করে দেওয়া হয়। সরকারি নির্দেশে তুর্কী পুলিশ রাস্তায় বের হওয়া মুসলিম মহিলাদের ওড়না কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলত।

৫) আরবী অক্ষরের ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়। আরবীতে কুরআন পড়া, নামাজ পড়া ও আজান দেওয়া নিষিদ্ধ হয়।

৬) তুর্কী ভাষা আরবী হরফে না লিখে ল্যাটিন হরফে লিখতে হতো।

৭) সাপ্তাহিক ছুটি হিসেবে রবিবারকে নির্ধারণ করা হয়।

৮) তুরস্কবাসীকে ভিন্ন ধরণের পোষাক পরতে বাধ্য করা হয়।

৮) মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদকে বর্জনীয় ঘোষনা করা হয়।

৯) তুরস্কের অধীন আজারবাইজানকে রাশিয়ার কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়।

১০) বক্তৃতা এবং বিবৃতিতে নিয়মিত ইসলাম ও ইসলামী পরিভাষাসমূহ নিয়ে মিথ্যাচার ও কুৎসা রটনা করে সেগুলো বর্জনের প্রতি সবাইকে আদেশ-নিষেধ করা হয়।

১১) সরকারী লোকদের জামাতে নামায পড়া নিষিদ্ধ হয়।

১২) ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী সালাম দেওয়াও নিষিদ্ধ করা হয় । এর পরিবর্তে সুপ্রভাত (Good Morning) বিদায় (Good Bye) ও হ্যান্ডশেক রেওয়াজ প্রবর্তিত হয়।

১৩) ইমাম-মুফতীদের পাগড়ি ও জুব্বা পরা নিষিদ্ধ করা হয়।

১৪) হিজরী সন উঠিয়ে দিয়ে ইংরেজী সন চালু করা হয়

১৬) আরবী ভাষায় নাম রাখা নিষিদ্ধ হয়। এর বদলে তুর্কী ভাষায় বাধ্যতামূলক নাম রাখতে হয়।

১৭) আলেমদের প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙ্গে দেয়া হয় এবং আলেমদেরকে প্রজতন্ত্রে শত্রু হিসিবে চিহ্নিত করা হয়। কোন আলেম তার বিরুদ্ধাচরণ করলে তাকে সাথে হত্যা করা হয়। এছাড়া ওয়াকফ সম্পত্তি কেড়ে নিয়ে আলেমদের অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত করা হয়।

এখানে লক্ষণীয় যে, এ ঘটনাগুলো হচ্ছে আজ থেকে প্রায় ৯০ বছর আগে এবং তা করা হয়েছিলো উছমানিয় খেলাফত বন্ধ করার পর। বলাবাহুল্য সে সময় মানুষের মধ্যে জোর ইসলামী চেতনা দৃঢ় থাকার পরও এতটা এগ্রেসিভ হতে পেরেছিলো কামাল আতার্তুক। কিন্তু এখন তো বাংলাদেশের মানুষের ধর্মীয় চেতনা অনেকটাই দুর্বল। তার উপর কামাল আতার্তুক সে সময় যা যা করেছে তার অনেকগুলোই ইতিমধ্যে বাংলাদেশে জারি করা হয়েছে বা চেষ্টা চলছে।

৯০ বছর পর হলেও তুর্কী তার মূলের দিকে ফিরছে আর বাংলাদেশ আগাইয়া যাচ্ছে তুর্কীর অন্ধকার যুগের দিকে। এটাই বুঝি ইতিহাসের নির্মম পরিহাস।

সৌজন্যে : কমাশিসা -সংগ্রহিত

বিষয়: বিবিধ

১২৩৮ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

362250
১২ মার্চ ২০১৬ বিকাল ০৪:১৮
কুয়েত থেকে লিখেছেন : বাংলাদেশের মানুষের ধর্মীয় চেতনা অনেকটাই দুর্বল। তার উপর কামাল আতার্তুক সে সময় যা যা করেছে তার অনেকগুলোই ইতিমধ্যে বাংলাদেশে জারি করা হয়েছে। আলেম সমাজ তখন বুঝবে যখন সব হারাবে। আপনাকে ধন্যবাদ
১২ মার্চ ২০১৬ বিকাল ০৪:৪৪
300192
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : এখনও আলেম সমাজের যারা পীর ভক্ত মাজার ভক্ত ওরা বলছে জামায়াত নেতাদেরকে বিচারের মাধ্যমে সরকারের ওয়াদা পুর্ন করে দেশকে কলংকমুক্ত করছে কিন্তু সরকার যে প্রহসনের বিচার করছে সেই জিনিস বুঝবে কামাল আতাতুর্কএর অবস্থায় পতিত হলে
ধন্যবাদ
362272
১২ মার্চ ২০১৬ রাত ০৮:২৯
শেখের পোলা লিখেছেন : চেতনা অভিধানে হয়ত এমনটাই আছে, যা আমাদের মানতে বাধ্য হতে হবে৷ ধন্যবাদ৷
১৩ মার্চ ২০১৬ দুপুর ০১:১২
300239
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : অবস্থাদৃষ্টে সেই রকম লক্ষন প্রায় সন্নিকটে আমরা আল্লাহর কাছে পানাহ চাইব আমাদের ভবিষ্যত বংশধরদেরকে হেফাযত করতে আমিন
362307
১৩ মার্চ ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬
হতভাগা লিখেছেন : আল্লাহ তায়ালা হয়ত বাংলাদেশে সঠিক ইসলাম আনার জন্য একটা ব্যবস্থাই করে রেখেছেন এর মধ্যে যদিও প্রাথমিকভাবে এরকম কিছুই আমাদের ধারণাতে আসছে না ।

আর এরকম কিছু করলে সরকারী দল মূল থেকেই বিনাশ হয়ে যাবে যা তাদেরকে আর কখনই ফিরে আসতে দেবে না । গুটি কয়েকলোকের মনোবান্চনা পূরণ করতে গিয়ে কোটি মানুষের রোষে কি সরকার পড়তে চাইবে ?
১৩ মার্চ ২০১৬ দুপুর ০৩:১২
300248
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : ভাই জান সরকার তো এখন আর জনগনকে তোয়াক্কা করছেনা তাই জনগন সরকারের কোন কিছুই করতে পারবেনাৎ
আল্লাহর রহমত যদি নাযিল হয় তবে কিছু হলে হতেও পারে কিন্তু আল্লাহর রহমত তখন নাযিল হবে যখন আমরা আত্মসমর্পন করতে শিখব
ধন্যবাদ
362328
১৩ মার্চ ২০১৬ দুপুর ০৩:৫৩
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহামাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু। বাংলাদেশের জন্য আল্লাহ কি রেখেছেন তিনিই ভালো জানেন।
১৩ মার্চ ২০১৬ বিকাল ০৫:৫০
300265
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাদের মাতৃভুমিকে হেফাযত করুন
আমিন
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File