গৃহপালিত পশুরা জানে, স্বাধীনভাবে চলাফিরার সুযোগ তাদের নেই। প্রভুর অধীনেই তাকে জীবন কাটাতে হবে।ঠিক তেমন গৃহপালিত বিরোধী দলের নাটক
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১০:০৩:৪৮ রাত
গৃহপালিত পশুগুলো প্রভুভক্ত হওয়া ছাড়া আর কোনো ভূমিকাই পালন করতে পারে না।
প্রতিটি গৃহপালিত পশু ভালো করেই জানে, স্বাধীনভাবে থাকার কোনো সুযোগ তার নেই। প্রভুর অধীনে থেকেই তাকে জীবন কাটাতে হবে।
প্রভুভক্তি যত বেশি মাত্রায় দেখিয়ে প্রভুর কাছ থেকে খুদ-কুঁড়ো যত বেশি আদায় করা যায়, ততই মঙ্গল।
আর বুদ্ধিমান গৃহপালিতেরা প্রভুভক্তি দেখানোর জন্য প্রভু কাছে এলেই লেজ নাড়ানো শুরু করে। আর এই লেজ নাড়ানোয় সারমেয়রা সবচেয়ে বেশি পটু। এমনটি সবচেয়ে সুস্পষ্টভাবে দেখা যায় পশুর বেলায়।
কিন্তু মানুষের বেলায়ও আছে নানা কিসিমের গৃহপালিত মানুষ।
মানুষ গৃহপালিতরাও প্রভুতুষ্টি অর্জনের জন্য লেজ নাড়ানোর তত্ত্বে বিশ্বাসী। একটু ভিন্নভাবে হলেও এরাও কার্যত লেজ নাড়িয়েই এদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চায়। এরা প্রভুর কথায় ওঠে-বসে।
প্রভু যদি বলেন নদী কাত হয়ে গেছে, তখন এসব গৃহপালিতেরাও বলে নদী কাত হয়ে আছে। কারণ, এসব গৃহপালিতের উপলব্ধি হচ্ছে, গৃহপালিত হয়েই আমাদের চলতে হবে। অতএব প্রভুকে কিছুতেই চটানো যাবে না।
আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনের ‘গৃহপালিত বিরোধী দল’ বলে খ্যাত জাতীয় পার্টির সাম্প্রতিক লেজ নাড়ানোর নাটকে দলটির ক্রিয়াকাণ্ড দেখে আপনি গৃহপালিত পশু এবং গ্রহপালিত বিরোধীদলের মধ্যে কোন পার্থক্য পাবেন না।
প্রভু ভক্তির যত রকম কাজ আছে করতে পিছপা হচ্ছেনা এই শতাব্দির নিকৃষ্ট গৃহপালিত এরশাদ ও রওশন।
অথ্যের যোগানের একটু ঘাটতি হলে নতুন নাটক হাজির করে মিডিয়ায় প্রচার করতে থাকে আর ওমনি হাসিনা ঘমক দিয়ে বলে কত লাগবে নিয়ে যাও । যদি না বলো শিকের ঘর তৈরী আছে মুহুর্তে সেখানে নিক্ষেপ করব।
সবমস্ত নাটকের ইতি চাই দেড় হাতের বাশের লাঠি রেডি আছে যখনই নাটকের বিরতি হবে ওমনি মাইর শুরু হবে
সংগ্রহিত
বিষয়: বিবিধ
১০৭৭ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন