ভবিষ্যতের আওয়ামী লীগ কার হাতে। ভোটাররা এখন ক্ষমতাশুন্য তাদের ভোট এখন আর তাদের হাতে নেই।
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০১:৩৯:৩০ দুপুর
বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের সংস্কৃতি চালু হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত কোনো দলই এভাবে একের পর এক নির্বাচনে অব্যাহতভাবে এত বড় বিজয়ের মুখ দেখেনি। আওয়ামী লীগের বৃহস্পতি এখন শুধু তুঙ্গেই নয়, বৃহস্পতির সব নিয়ন্ত্রণই যেন দলটির হাতে। সুতরাং ভোটের রাজনীতিতে এখন আওয়ামী লীগ মানেই মহাবিজয়। ভোটার বাদে সকলেই আশা করেন আগামীর সকল নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এরুপ বিজয় অব্যাহত থাকবে। ভোটাররা কিছুই আশা করতে পারে না কারণ তাদের ভোট এখন আর তাদের হাতে নেই।
জনগণ আর ভোট কিংবা তার ফলাফল নিয়ে কোনো আলোচনা করে না। কারণ সেই ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়া কারো পক্ষে বিজয়ী হওয়ার সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগ জিতেই চলেছে।
এ মুহুর্তের ভোটশুন্য জনগণের সামনে এখন দুটো আওয়ামী লীগ রয়েছে। একটি বর্তমানের । অন্যটি আগামীর। বর্তমান আওয়ামীলীগের কাছে জনগণ এখন এতটাই ‘অনুগত’ যে তাদের ভোট দেওয়ার ক্ষমতাও যেন আওয়ামী লীগের হাতে অর্পণ করেছে। আওয়ামী লীগ এটাই এখন মনে প্রাণে বিশ্বাস করে। আর এই ‘অর্পিত’ ভোটের ফলে আওয়ামী লীগ এখন সরকারে, সংসদে, উপজেলায় এবং পৌরসভায়। অপেক্ষায় রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের। আওয়ামী লীগের বর্তমান শক্তি সামর্থ সে নির্বাচনের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে বিস্তৃত হবে এটা নিশ্চিত। কারণ তৃণমুলের শক্তিই একটা দলের মুল শক্তি।
তবে বর্তমানের এই অস্বাভাবিক শক্তিধর প্রতাপশালী আওয়ামী লীগ এবং জনগণের শক্তি বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে রাজনীতির স্বাভাবিক অবস্থায় ভবিষ্যৎ আওয়ামী লীগের শক্তিমত্তা কেমন হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিজের অজান্তেই এক অশুভ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে। এই যুদ্ধটি সরাসরি জনগণের সাংবিধানিক, গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকারের বিপক্ষে। বাংলাদেশে এখন শুধু সতেরো কোটি মানুষই বসবাস করেনা, সেই সাথে ১০ কোটি ভোটারও বাস করে ন্যাশনাল আইডিসহ। সেই দশ কোটি ভোটারের ভোট ’ইনভ্যালিড’ করে রাখার ভেতরেই এখন আওয়ামী লীগের রাজনীতি সীমাবদ্ধ। অস্তিত্বও এখানে ভবিষ্যতে বিলিন হওয়ার পথে ।
সংগ্রহিত
বিষয়: বিবিধ
২২৭১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ডাহা মিথ্যার ফুলঝুড়ি এই পোস্টারে
ধন্যবাদ মিয়া ভাই
মন্তব্য করতে লগইন করুন