হযরত খুবাইব (রাঃ) শহীদ হতে হতে বলিষ্ঠ উচ্চারনে বললেন.....'আমার কাছে মুনাফিকী জীবনের চেয়ে শহীদি মৃত্যু অনেক অনেক উত্তম !'
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ২৪ জানুয়ারি, ২০১৬, ১০:৫২:৪১ রাত
মক্কার যুবকদের একত্রিত করা হয়েছিল খুবাইব (রাঃ) এর ফাঁসি উপভোগ করার জন্য .. !
খুবাইব (রাঃ) এর হাতে পায়ে শিকল বেঁধে ফাঁসির মঞ্চের দিকে যখন মক্কার
মুশরিকরা ধাক্কাতে ধাক্কাতে নিয়ে যেতে লাগলো....
তখন কেউ কেউ হাত তালি দিয়ে এ আনন্দ উপভোগে মাতোয়ারা হয়েছিল।।
খুবাইব (রাঃ) কে মুশরিকরা খুব করে বলেছিল....
হে খুবাইব ! 'তুমি কি রাজি আছ, তোমাকে ছেড়ে মুহাম্মদ (সাঃ) কে হত্যা করি?'
সেই প্রস্তাব শুনে খুবাইব (রাঃ) বলেছিলেন...
আমার পরিবার পরিজন নিরাপদে থাকবে আর মুহাম্মদ (সাঃ) এর গায়ে একটা কাঁটা'র আঁচড় লাগবে, এটা কখনো হতে পারেনা !!
ফাঁসির মঞ্চে উঠার আগে খুবাইব (রাঃ) দু'রাকায়াত নামায পড়তে চাইলেন।
দু'রাকায়াত নামাজ তাড়াতাড়ি পড়েই তিনি প্রচ্ছন্ন উচ্চারনে মুশরিকদেরকে
উদ্দেশ্য করে বললেন....
'আমি দু'রাকায়াত নামাজ আরো দীর্ঘায়িত করতাম, কিন্তু তোমরা মনে করবে আমি মৃত্যুর ভয়ে নামাজ দীর্ঘায়িত করছি, এইজন্য নামাজ দীর্ঘায়িত করলাম না!!
এরপর তাঁকে ফাঁসিতে ঝুলানো হলো।
ফাঁসির মধ্যে জীবিত অবস্থা রেখেই মানুষরূপী জালেমরা খুবাইব (রাঃ) এর
শরীর থেকে তার অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলি কেটে কেটে বিচ্ছিন্ন করতে লাগলো।
তারা রাসুল(সাঃ) বিরূদ্ধে স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য ব্যার্থ চেষ্টা করতে থাকলো।
কিন্তু খুবাইব (রাঃ) শহীদ হতে হতে বলিষ্ঠ উচ্চারনে বললেন.....
'আমার কাছে মুনাফিকী জীবনের চেয়ে শহীদি মৃত্যু অনেক অনেক উত্তম!'
হযরত খুবাইব (রাঃ) এর শরীর থেকে তখন প্রচন্ড রক্তপাত হচ্ছিল। শত পৈশাচিক নির্যাতন নিপীড়ন সত্ত্বেও আল্লাহর নির্ভীক সৈনিক খুবাইব (রাঃ)
বলিষ্ট ঈমানী চেতনায় অনড় এবং অটল ছিলেন।
আল্লাহু আকবার !!
আল্লাহ আমাদের সবাইকে এমন ঈমানী চেতনায় উজ্জীবিত করুন। আমীন।
সংগ্রহিত
বিষয়: বিবিধ
১৪৪৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন