আওয়ামীলীগ ষ্টাইল !বর্তমানে জামাতকে নিষিদ্ধও করা না করা বিএনপির সাথে জোট নিয়ে কটাক্ষঃ মোনাফেকী আওয়ামীলীগ ষ্টাইল!! ! !
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ২৪ জানুয়ারি, ২০১৬, ০৪:৪৯:৪৯ বিকাল
১৯৭৪ সালে যখন তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী হেনরী কিসিঞ্জার আসেন তখন তিনি মুজিবকে জিজ্ঞাসা করেন “পাকিস্তান নিয়ে কি ভাবছেন?”। জবাবে মুজিব বলেন “আমি ইচ্ছাকৃত ভাবে যুদ্ধাপরাধী সমেত সকল পাকিস্তানী সৈন্যদের ছেড়ে দিয়েছি, যাতে সেখানে সামরিক শাসন না আসে”।(মার্কিন দলিলের অনুবাদক স্বদেশ রায়, ১৪ই আগষ্ট ২০০৮ দৈনিক সমকাল)
এই দিকে ১৯৭৩ সালে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিল শাহ আজিজুর রহমান, যিনি ১৯৭১ সালে জাতিসংঘে বাংলাদেশের গণহত্যা অস্বীকার করেন। তারপর পাক হানাদার বাহিনীর বিভিন্ন খুন, নৃশংসতার সহযোগী খান এ সবুরও বন্দী ছিলেন। মুজিব শাহ আজিজকে জেল হতে ছাড়িয়ে তার সরকারের কূটনীতিক বানান। তাকে ঐ আমলে ২২০০০ টাকা দিয়ে একটি গাড়ী কিনে দেন এবং তার পরিবারকে মাসিক ৩০০০ টাকা ভাতা দেন(সুত্র প্রআলো ২৬শে মার্চ ২০০৮)।
আর খান এ সবুরের মুক্তির বিষয়ে অনেক আগে পত্রিকায় পড়েছি যা সঠিক মনে নেই কোন পত্রিকা। তবে যে ভাবে ছাড়া পান তা বড়ই ইন্টারেষ্টিং। বন্দী খান এ সবুর মুজিবকে চিঠি লিখেন;
স্নেহের মুজিব! তুমি আমি অনেক আগে দীর্ঘ সময়ে এক সাথে রাজনীতি করেছি। কত সুখ ও দুঃখের স্মৃতি! আজকে তুমি দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং আমি জেলে আছি। এটা তোমার কাছে কেমন লাগে?
এই চিঠি যেদিন মুজিব পান তার পরের দিন উনি খান এ সবুরকে জেল হতে মুক্তি দেন।
তারপর ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট এবং ৭ই নভেম্বর পরিবর্তনের ঘটনাক্রমে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা পান। উনি দেশের ঐক্য এবং মধ্যপ্রাচ্যের চাপে দালাল আইন, ১১ হাজার বিচারধীন অপরাধীদের ছেড়ে দেওয়া, এবং ধর্মীয় রাজনীতি করার সুযোগ দেন।
এই বিষয়ে একটি কথা উল্লেখ করতেই হয় মুজিব আমলেই মধ্যপ্রাচ্য বিশেষ করে সৌদি হতে চাপ ছিল। কিন্তু তাজউদ্দিনের অনড় অবস্থানের জন্য মুজিব তা করেননি (আগাচৌ ৩রা নভেম্বর ২০০৭ইং দৈনিক সমকাল)।
ফলশ্রুতিতে সেই ১৯৭৬ সাল হতে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশীদের কর্মসংস্থানের দারুণ সুযোগ হয়;
বিষয়: বিবিধ
১০৫৩ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন