স্বৈর শাসকের ভূমিকায় শেখ মুজিব এবং আবির্ভুত হয়েছে স্বৈরশাসনের পথে শেখ হাসিনা ও
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১৯ জানুয়ারি, ২০১৬, ০৭:৫৪:৩৫ সন্ধ্যা
৭০ সালের নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের একচ্ছত্র নেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা ছিল তারই। সেটা তার আইনগত অধিকার ছিল। পাকিস্তানের দূর্ভাগ্য তখন সামরিক জান্তা ও জুলফিকার আলী ভূট্টোর প্ররোচনায় পূর্ব পাকিস্তানের নিরীহ মানুষের ওপর সামরিক আক্রমণ চালানো হয়।
এই জনপ্রিয় গণতান্ত্রিক নেতাই শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করে। সরকারী মালিকানা ছাড়া সকল খবরের কাগজ বন্ধ করে দেন। এমনি ভাবেই তিনি একজন সিভিল ডিক্টেটরে পরিণত হয়েছেন। সকল সরকারী কর্মচারীকে একদলের সদস্য ঘোষনা করলেন। দেশের সেনাবাহিনীকেও একদলের সদস্য করা হলো। তিনি আমরণ রাষ্ট্রপতি থাকার ব্যবস্থা করলেন।
যার পরিণতিতে ১৫ আগষ্ট ১৯৭৫ সালে তাকে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনার মাধ্যমে জীবন দিতে হল।
স্বৈরশাসনের পথে শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর পুনরায় ক্ষমতায় টিকে থাকার বাসনায় পাগলপারা।
কেউ কেউ মনে করেন শেখ হাসিনার আসে-পাশে যারা আছেন তারা তাকে ঘিরে রেখেছেন, তৈলমর্দন করছেন ও ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে বাধ্য করছেন।
স্বাধীনতা পরবর্তীতে আইন-শৃংখলা বাহিনীর নির্বিচারে গুলিতে এত লোকের হানাহানির ঘটনা কখনো ঘটেনি। হাসিনা সরকারের এহেন আচরণের বিরুদ্ধে কোন ধরণের প্রতিবাদও করার সুযোগ নেই। বিরোধী দলীয় অফিসগুলো বন্ধ করে রেখেছে মাসের পর মাস। সব বক্তব্য শুধু ওনাদের, শুধু ওনারাই বলবেন; বিরোধী দলগুলোর কিছুই বলার বা মতপ্রকাশের সুযোগ নেই। সভা-সমাবেশে গুলি, টিয়ার শেল, রাবার বুলেট, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ এখন আইন শৃংখলা বাহিনীর নিয়মিত দায়িত্বে পরিণত হয়েছে।
বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করে নির্মম নির্যাতন এখন ভয়াবহ পর্যায়ে পৌছেছে। গুম-হত্যা এখন বিরোধী শিবিরের সকল নেতাকর্মী তাড়িয়ে বেড়ায়। রিমান্ডের নামে যে নির্যাতনের খড়গহস্ত চাপিয়ে দেয়া হয়েছে তাতে অনেক নিরপরাধ মানুষকে জীবনের তরে পঙ্গু বানিয়ে দেয়া হয়েছে। যা সভ্যসমাজে কখনো চিন্তাও করা যায়না। দেশের সকল বিরোধী মতকে দমনের জন্য হাজার হাজার সাজানো মামলায় জড়িয়ে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে ফাঁসি, যাবজ্জীবন কারাদন্ডের ফ্রেমে পিষ্ট করছে। অতীতের যে কোন স্বৈরশাসককে হার মানিয়েছেন শেখ হাসিনা।
দেশের দশভাগ লোকের নেতারা ৯০ ভাগ মানুষের ধর্ম নিয়ে তামাশা শুরু করেছেন। একসময় মরহুম শেখমুজিব বলেছিলেন বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ। তিনিই ভারতের আপত্তিকে অগ্রাহ্য করে পাকিস্তানের লাহোরে ওআইসি সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা থাকলেও শেখমুজিব সেটা আমলে নেননি। তিনি নিজেকে একজন মুসলমানই মনে করতেন।
মুজিবকন্যা এখন যাদের দলে তুলে নিয়ে ক্ষমতায় এককভাবে টিকে আছেন তারা সবাই তার মেকি শুভাকাঙ্খী । তিনি কি ভুলে গেছেন? তার পিতার খুনের পর তার লাশ সিঁড়িতে ফেলে রেখে বিদেশ পালিয়ে তাকে ফেরাউন বলে গালি দিয়েছে।
স্বৈরাচারী কোন শাসক যখন একটি জনবসতির উপর কর্তৃত্ব লাভ করে তখন তারা সেই জনপদের মানুষদের ধ্বংস করে ফেলে। তারা সবচেয়ে বেশী অপমানিত ও লাঞ্ছিত করে জনপদের সম্মানিত ব্যক্তিদের। আমরা আমাদের এই জনপদে অনেক স্বৈরশাসককে দেখেছি। আমাদের আশেপাশের দেশেও বহু অত্যাচারী স্বৈরশাসক ছিল। তারা কেউই আজ আর নেই। ইতিহাসের পাতা থেকেও আমরা বহু অত্যাচারী ধ্বংসপ্রাপ্ত স্বৈরশাসকের কথা জেনেছি। ইসলাম ও মুসলমানদের ধ্বংস করার জন্য এখনও বহুদেশের শাসকরা যুদ্ধে নেমেছে। তারা কখনই সফল হবেনা। বাংলাদেশেও কোন শাসকের এই অপচেষ্টা সফল হবেনা। মহান আল্লাহ এই জনপদকে ইসলাম ও মুসলমানের জন্য তৈরী করেছেন। তিনিই মুসলমানদের কল্যাণে বাংলাদেশকে রক্ষা করবেন।
সংগ্রহিত
বিষয়: বিবিধ
১০৬৭ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন