লীগের বাচ্ছাদেরকে পুলিশ বানানোতে কি করছে দেখেন:হাজতে ঢুকিয়ে পাঁচ লাখ টাকার চেক ও নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সই নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৯:৪৬:৪৮ রাত
হাজতে ঢুকিয়ে চেকে সই মৌলভীবাজারের বড়লেখায় পুলিশের এক উপপরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে এক প্রবাসীকে আটকের পর থানা হাজতে ঢুকিয়ে পাঁচ লাখ টাকার চেক ও নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সই নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
====================================
কাতার প্রবাসী শামসুজ্জামান ওরফে কামরুল ইসলাম বক্স তাঁর সই করা চেক ও স্ট্যাম্প উদ্ধারের জন্য ২১ ডিসেম্বর বড়লেখা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এসআই জাহাঙ্গীর ও তাঁর চার সহযোগীকে আসামি করে পিটিশন মামলা করেছেন।
এই চার আসামি হলেন কামাল হোসেন, আজিম উদ্দিন, মকবুল হোসেন ও ফজলুল হক। তাঁরা পুলিশের তথ্যদাতা হিসেবে কাজ করেন বলে জানা গেছে।
পিটিশন মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের কামরুল ইসলাম গত ১২ ডিসেম্বর জরুরি প্রয়োজনে মোটরসাইকেলে বাড়ি থেকে বড়লেখা শহরে যাচ্ছিলেন। পথে উপজেলা কমপ্লেক্সের সামনে কাগজপত্র চেকিংয়ের নামে এসআই জাহাঙ্গীর তাঁকে আটক করেন। মেটরসাইকেলে তাঁর ও অপর পুলিশ সদস্যের মাঝখানে বসিয়ে তাঁকে থানায় নিয়ে হাজতে ঢুকিয়ে দেন। খবর পেয়ে আত্মীয়স্বজনরা ছাড়িয়ে আনতে গেলে এসআই কামরুল ইসলামকে তাঁর ব্যাংক হিসাবের একটি চেকের পাতায় ও একটি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সই করতে বলেন। পুলিশের মারমুখী আচরণ ও ক্রস ফায়ারের ভয়ভীতি দেখানোর কারণে জাহাঙ্গীর তাতে সই দিতে রাজি হন। তিনি চেকের পাতার বেয়ারার স্থান খালি রেখে নিজ হাতে পাঁচ লাখ টাকা লিখে দেন। তারপরও তাঁকে ছাড়তে রাজি হয়নি পুলিশ। আরো ১০ হাজার টাকা দাবি করলে তিনি পাঁচ হাজার ৭০০ টাকা দিয়ে থানা থেকে মুক্তি পান।এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, এসআই জাহাঙ্গীরের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন।আর জাহাঙ্গীর গতকাল বুধবার বিকেলে বলেন, তিনি যা করেছেন তা আইন অনুযায়ীই করেছেন।এর আগে বিয়ানীবাজার থানা ও মৌলভীবাজার মডেল থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় এসআই জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও প্রবাসীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করার অভিযোগ রয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
১০২২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন