মাজার অতি লাভজনক এক ব্যবসার নাম "দয়াল বাবা-কেবলা কাবা আয়নার কারিগর ,আয়না বসাইয়া দে মোর কলবের ভিতর...বাবা.."

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৪:২৩:২৭ বিকাল



মাইজভান্ডারে যা হয়:-

*****************

"দয়াল বাবা-কেবলা কাবা আয়নার কারিগর

আয়না বসাইয়া দে মোর কলবের ভিতর...বাবা.."

বাবা নাকি আয়নার কারিগর। কলবের ভিতর আয়না বসানোর এই আকূল আবেদন তাই । তো কলবের সে আয়নাতে কি দেখা যায় ?

গাঁজার নৌকা পাহাড় দিয়া যায়...

*************************

কলবের আয়নাতে বোধহয় গাঁজা সাজানো কল্কিটা ভাল দেখা যায় ! ভোম বাবা ভোম...বলে ভুরভুর করে গঞ্জিকা টেনে নাও। দু'চক্ষু টকটকে লাল করে হালকায়ে জিকিরে( বা ভান্ডারী নৃত্যে) অংশগ্রণ করো ! জটবদ্ধ লম্বাচুল নাচাও,নাচো । সাথে নাচা মহিলাদের বুকের কাপড় সরে যাওয়া উন্নত বুকে চাপ দিতে দিতে নাচো ! গায়ের সাথে গা ঘষে নাচো ! নাইলে নাচাতে জোশ আসবে কেন ? নর্তন জমবে কেন ? কেবল উদ্দাম ভান্ডারী নৃত্যে জোশ আসার জন্য তাবত্ত গঞ্জিকা সেবীরা এক হও....!

বড্ড অশ্লীল ঠেকতে পারে (কারো কারো কাছে) উপরে বর্ণনা । কৈফিয়ত হিসেবে বলতে চায়,নিজে গিয়ে দেখবেন না যেন (যদি সাহসের অভাব থাকে ),নিজ চোখে অনেক বেশী অশ্লীল ঠেকবে সে দৃশ্য !

ভান্ডার শরীফে একজন রহিমনের কৃপা প্রাপ্তি-

***********************************

রহিমনের স্বামী প‌্যারালাইজড হয়েছে বহুদিন । ঘরের ভেতরই তার সমস্থ জীবন যাপন। বাথরুমও সারতে হয় তাকে একমাত্র ঠিকানা চেয়ারটাতে ! বৈদ্য-ওজার ঝারফুক কম হলোনা ! রহিমনরা গরীব,বড় ডাক্তার দেখানোর অত পয়সা তাদের কোথায় । তার স্বামীইতো ছিল আয়ের উত্স । একমাত্র সন্তান জব্বার কে নিয়ে তাদের সংসারতো চলেই যাচ্ছিল স্বামীর আয়ে ! হঠাত্ত একদিন হাই ব্লাড প্রেসারের আকস্মিক আক্রমণে প‌্যারালাইজড হয় রহিমনের স্বামী ! বাধ্য হয়ে বাড়ি-বাড়ি ঝি-এর কাজ করতে শুরু করে যুবতী রহিমন । কে যেন তাকে বুদ্ধি দেয়,-

'মাইজ ভান্ডার শরীফ গিয়া কিছু মানত করো,করুণা ভিক্ষা চাও...!'

করুণা প্রার্থী রহিমন মইজ ভান্ডার শরীফ যায় । স্বামীর দায়িত্ব দিয়ে যায়,স্বামীর দূর সম্পর্কের এক বোনকে । মৃত পীর (শফিউল হক মাইজ ভান্ডারী)-'র কবরে মাথা ঠুকে কাঁদে রহিমন,-তার প্রতি যেন কৃপা করা হয় । তার স্বামী যেন সুস্থ হয়ে উঠে ! অনেক নর-নারীর সাথে রহিমনও রাতে মাইজভান্ডারে থেকে যায় ।

গভীর রাতে তার ঘুম ভাঙ্গে,-তার বুকে কেউ স্পর্শ করছে !

দিনের পর দিন যায়,রহিমনের মাইজভান্ডারী নেশা আর কাটেনা ! নেশা না কাটা নেশায় সে ডুবে যায় ! স্বামী-সন্তান-সংসার উচ্ছনে ! খুঁজতে যায় আত্মীয়রা ! রহিমনকে পেয়ে তারা একরকম ধরে-বেঁধে নিয়ে আসে এলাকায় ! আবিস্কৃত হয়, রহিমন গর্ভবতী !

সংগ্রহিত

বিষয়: বিবিধ

৩৯৮২ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

354049
১৪ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:১৮
শেখের পোলা লিখেছেন : দয়াল বাবার খাদেমরা রহিমনের কলবে বেলজিয়াম আয়না বসাইয়া দিয়েছে৷ধন্যবাদ
১৪ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:৩৫
293923
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : সহমত
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
354066
১৪ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১০:২০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এমন ঘটনা অনেক গুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানি। এই মাইজভান্ডারি পরিবারের এক সহপাঠিনির পোষাক দেখে বিদেশি মনে করেছিলাম প্রথম দিন!!
১৪ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১০:৩৬
293928
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : হাহাহা
ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File