নিজামী সরাসরি জড়িত না হলে ফাঁসি দেওয়া যাবে কি, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে প্রশ্ন করেন প্রধান বিচারপতি
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৫, ১১:৪৬:৫৬ রাত
মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর আজ সোমবার যুক্তিতর্ক হয়েছে। এতে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে জিজ্ঞেস করেন, নিজামীর সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়ে আপনাদের কাছে তো কোনো প্রমাণ নেই। এতে তাঁকে ফাঁসি দেওয়া যাবে কি?
জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ১৯৭১ সালে জামায়াতের নেতা মওদুদী যেভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিতেন, মতিউর রহমান নিজামীও একই ধরনের বক্তব্য দিতেন।
এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, দেশে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং হত্যাও সংঘটিত হয়েছে কিন্তু নিজামী সরাসরি হত্যা, ধর্ষণে জড়িত ছিলেন এমন কোনো প্রমাণ আপনাদের কাছে আছে?
জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এ ট্রাইব্যুনাল আইনে সরাসরি হত্যায় জড়িত থাকতে হবে এমন কোনো বিধান নেই। এ আইনে হত্যায় কাউকে উৎসাহিত করলে বা উসকানি দিলে তাও অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
প্রধান বিচারপতি আবারও বলেন, আল-বদর বাহিনী হিসেবে নিজামী বক্তব্য দিয়েছেন এটা ঠিক আছে। কিন্তু তাঁর সরাসরি অংশগ্রহণ কোথায়?
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘জামায়াতের নেতা মওদুদী, গোলাম আজম যেভাবে বক্তব্য দিতেন ঠিক সেভাবে নিজামী চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় সভা সমাবেশে বলেছেন, ‘বদর বাহিনীর মতো হিন্দুদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়।’ ‘বদর বাহিনীর বিজয় হবে ইনশাআল্লাহ। এভাবে তিনি হত্যাকাণ্ডে উসকানি দিয়েছেন।’
প্রধান বিচারপতি আবার প্রশ্ন করেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে সরাসরি অংশ গ্রহণ না থাকলে তাঁকে ফাঁসি দেওয়া যাবে কি?
জবাবে অ্যাটর্নি জোনারেল বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ আইনে সরাসরি জড়িত থাকলে ফাঁসি দিতে হবে এমন কোনো বিধান নেই। অপরাধের ধরন বিবেচনা করে হত্যার পরিকল্পনা, উসকানি দিলে তাঁকে সবোচ্চ দণ্ড দেওয়া যায়।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, ‘৭১-এ শহীদ ডা. আলীম চৌধুরী’ নামক বইয়ে নিজামীর নাম উল্লেখ করেননি। কিন্তু সাক্ষ্য দেওয়ার সময় তিনি ট্রাইব্যুনালে বলেছেন, বুদ্ধিজীবী হত্যায় মতিউর রহমান নিজামী উসকানি দিয়েছেন।’ একই ব্যক্তির দুই রকম বক্তব্য হওয়ায় এতে করে নিজামীর জড়িত থাকার বিষয়ে সন্দেহ থেকে যায়। তখন কি বইয়ে নিজামীর নাম বলা যেত না?
অ্যাটর্নি জেনোরেল মাহবুবে আলম বলেন, দীর্ঘদিন এঁদের বিচার না হওয়ায় এঁরা এই দেশে অনেক ক্ষমতা প্রয়োগ করেছেন। হয়তো ভয়ে বইয়ে নাম উল্লেখ করেননি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, নিজামীর ৭১ সালের ঘটনা অস্বীকার করছেন না। কিন্তু সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়ে উল্লেখ করতে পারলেন না।
অ্যাটর্নি জেনারেল আবারও বলেন, ‘‘ট্রাইব্যুনাল আইনে সরাসরি হত্যায় জড়িত থাকার প্রয়োজন নেই—এ ব্যাপারে শুধু বুদ্ধিজীবীর পরিবাররাই নয়, সারা দেশের মানুষ বিচারপ্রার্থী। মানুষ ন্যায়বিচার চায়। এ অপরাধের সাজা একটাই হতে পারে, তা হচ্ছে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল থাকা।’
বিষয়: বিবিধ
১৩৪২ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
লোক দেখানো কিছু কথা মাঝে-মধ্যে বলে নিরপেক্ষতা প্রমাণ করতে চায়!
আর সরকারের কবর রচনা হলে শাহবাগীরা দুনিয়ার কোথাও পলিয়ে থাকতে পারবেনা জিবিত দাফন করা হবে ইনশাআলাহ লীগের লেজগুলাকে জলন্ত আগুনে ভষ্ম করা হবে ওয়েট এন্ডসি
সেবার তো বঙ্গপসাগরে ফেলতে বলেছিল এবার কিন্তু জাতী ভষ্ম করে সেটা বঙ্গপসাগরে নিক্ষেপ করবে
জনগণকে এতো বোকা ভাবার কোনই কারণ নেই। সত্য মিথ্যা তাঁরা ঠিকই জানে।
তাইতো এসব লোক দেখানো নাটক।
সহমত
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন