মসজিদে যারা যায় ওরা কি জঙ্গি ? অবৈধ সরকারের দৃষ্টি এখন আল্লাহর ঘর মসজিদের দিকে সেখানে নাকি জঙ্গি পাওয়া যাবে: গজব কি আসন্ন?
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৫, ১২:৪৭:৩৪ দুপুর
আল্লাহ তায়ালা বলেন, “আর কাফিররা বলে, ‘তোমরা এ কুরআনের নির্দেশ শুন না এবং এর তেলাওয়াতকালে শোরগোল সৃষ্টি কর, যেন তোমরা জয়ী হতে পার’।
এ কথাগুলো মক্কার কাফিররা লোকদেরকে বলত। আজ সেই আবূ জেহেল, ওতবা, শায়বা নেই কিন্তু তাদের অনুসারী মুসলমান নামধারী কিছু লোক আজ একই ভাবে আবূ জেহেলদের সেই ইসলাম ও কোরআন বিরোধী এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে।
তারা কখনো ইসলামী আইন কানুনের বিরোধিতা করছে, কখনো ইসলামী ঐতিহ্যের নিদর্শনগুলোকেও মুছে ফেলার পায়তারা করছে। আবার কখনো ধর্মবিরোধী নাস্তিকদের উস্কে দিয়ে খ্যাতনামা আলেম ইসলামী চিন্তাবিদ ও ইসলামী নেতৃত্বকে ধ্বংস করার ছক তৈরি করছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলামী পোশাক পরিচ্ছদ হিজাব নিষিদ্ধ করছে। কুরআন, হাদীস ও ইসলামী সাহিত্যকে জিহাদী বই আখ্যা দিয়ে ইসলামী জ্ঞানার্জনের পথ থেকে লোকজনকে সরাতে চাচ্ছে। নানা রকম সমাজবিধ্বংসী অশ্লীল দেশী বিদেশী টিভি চ্যানেল অবাধে চললেও বন্ধ করা হচ্ছে ইসলামী ধাঁচের চ্যানেলগুলো। কখনো চামচামির মাত্রা ছাড়িয়ে আলেমের লেবাসধারী কিছু ব্যক্তি ইসলামী অর্থনীতি ও ইসলামী ব্যাংকিং বন্ধের জন্য কান্নাকাটি করছে।
সর্বশেষ পুলিশ গোয়েন্দা, ও দলীয় ক্যাডারের মাধ্যমে মসজিদে মসজিদে পাহাড়া ও জুমআর খুতবা বন্ধ করারও চক্রান্ত করা হচ্ছে। মানুষকে নৈতিকতা অশ্লীলতা ও অন্যায় থেকে দূরে রাখার এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করার শেষ রাস্তাটুকুও বন্ধ করে দেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
সমাজে অশ্লীলতা অনাচার এমনকি সরকারদলীয় লোকদের ধর্ষণ, খুন, গোলাগুলি, মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে, এবং জনগণের নিরাপত্তা দিতে চরমভাবে ব্যর্থ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অকারণে ফতোয়া নিষিদ্ধ করতে মরিয়া হয়ে উঠছে।
জঙ্গিবাদের ধুয়া তুলে গণহারে গ্রেফতার করা হচ্ছে ধর্মপ্রাণ ও নিরীহ মানুষদেরকে।
৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে চারদিক থেকে ইসলামপন্থীদেরকে কোনঠাসা করার কার্যক্রম আজ চরমে পৌঁছেছে।
ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে পৃথিবীর কুখ্যাত প্রতাপশালী ফেরআউন, নমরুদ, বখতে নসর, আবরাহা রা যেমন আল্লাহর সাথে যুদ্ধের মত ধৃষ্টতা দেখিয়েছিল, ঠিক তেমনি এক অবস্থা হয়ত আমরা দেথতে যাচ্ছি অদূর ভবিষ্যতে।
কোনোদিক দিয়ে পেরে উঠতে ব্যর্থ হয়ে যেমন আবরাহা বাদশা হস্তিবাহিনী দিয়ে আল্লাহর ঘর ধ্বংসের দুঃসাহস দেখিয়েছিল। আবু জেহেলরা যেমন ইসলামকে মুছে ফেলতে সব রকম প্রচেষ্টা চালিয়েছিল ঠিক তেমনিভাবে ইসলামের কথা বলার সবগুলি দরজা বন্ধ করে দিয়ে এক ধর্মবিরোধি ধর্মনিরপেক্ষ ও প্রগতিশীলতার নামে নোংরামির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
আবরাহা যেমন আল্লাহর ঘরে হাত দিয়ে নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে, আমরা বিশ্বাস করি যুগে যুগে তার উত্তরসূরীদেরও আল্লাহ চর্বিত ঘাসে পরিণত করবেন ইনশা-আল্লাহ।
সংগ্রহিত
বিষয়: বিবিধ
২০৪৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন