পৌরসভা নির্বাচন-জামায়াত থেকে সতন্ত্র ৪৪ প্রার্থী। ফলাফল নির্ভর করবে বিএনপির সমর্থনের উপর
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ০৪ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৫:১৭:৪১ বিকাল
অবশেষে ৪৪ পৌরসভায় মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন স্থগিত থাকা জামায়াতে ইসলামী।
ইতোমধ্যে স্ব-স্ব স্থানে নির্বাচন কমিশনে তারা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এই ৪৪টি স্থানের মধ্যে বিএনপি জোটের কাছে অন্তত ২২ টি পৌরসভায় সমর্থন চায় জামায়াত। পাশাপাশি বর্তমান মেয়র পদে আছে এমন ৫টি পৌরসভায় কোনও ধরনের ছাড় না দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে দলটির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারকরা।
জামায়াত সূত্র জানায়, প্রথম দিকে ধারণা করা হচ্ছিল, নির্বাচন কমিশনের আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে মার্কা হিসেবে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নেওয়া হবে। পরবর্তীতে দলটির নির্বাচনি সমন্বয় কমিটি ও আইনবিদরা নির্বাচন কমিশনের আইন পর্যালোচনা করেন। ফলশ্রুতিতে মার্কা হিসেবে বিএনপির ধানের শীষ নেওয়ার কোনও সুযোগ থাকেনি। এ কারণে বিএনপি প্রার্থীদের তালিকা জমা দেওয়ার পরই পরিকল্পনা পরিবর্তন করে জামায়াত। প্রার্থীদের স্বতন্ত্র মার্কা নিয়েই নির্বাচনের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়।
বর্তমান পৌরসভাগুলো না ছাড়ার সিদ্ধান্ত
বর্তমানে ৪টি স্থানে মেয়র পদে এবং ১টি স্থানে প্যানেল মেয়র পদে রয়েছে জামায়াতের নেতাকর্মীরা। এই ৫টি স্থানে কোনও ছাড়ের পক্ষে নয় দলটির নীতিনির্ধারকরা। এলাকাগুলো হচ্ছে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ (মেয়র মাওলানা মোহাম্মদ হানিফ), রাজশাহী বিভাগে গোদাগাড়ি (মেয়র আমিনুল ইসলাম), পবার কাটাখালী (মেয়র মাজেদুর রহমান ), রায়গঞ্জ মেয়র মোশাররফ হোসেন আকন্দ) এবং যশোর জেলার চৌগাছায় প্যানেল মেয়র হিসেবে রয়েছেন আবদুল মজিদ গাজী।
চূড়ান্ত ৪৪ জন প্রার্থী
রংপুর বিভাগ
পঞ্চগড়-আবদুল খালেক
ঠাকুরগাঁও, রানীশৈংকল: মোকাররম হোসেন
নীলফামারী-জলঢাকা: মকবুল হোসাইন
সৈয়দপুর: গোলাম মোস্তাকিম
দিনাজপুর-বীরগঞ্জ: ড. এনামুল হক। তবে এই স্থানে বিকল্প হিসেবে শাহিনুর রহমানের নাম রয়েছে।
ফুলবাড়ি: জয়নাল আবেদিন
গাইবান্ধা: ফেরদৌস আলম
গোবিন্দগঞ্জ: আবুল কালাম আযাদ
রাজশাহী বিভাগ
পুঠিয়া: আহাদ আলী
গোদাগাড়ি: আমিনুল ইসলাম
চারঘাট: সাইফুল ইসলাম
তানোর-মুন্ডুমালা: আনিসুর রহমান
পবা-কাটাখালী: মাজেদুর রহমান
নওহাটা:মশিউর রহমান
নাটোর-সিংড়া:জয়নাল আবেদিন
নলডাঙ্গা:নজরুল ইসলাম
নওগা-নজিপুর: রমজান আলী
চাপাইনবাবগঞ্জ:নজরুল ইসলাম
শিবগঞ্জ: জাফর আলী
নাচোল: ডা. রফিকুল ইসলাম। তিনি কারাগারে আছেন।
রহনপুর: মিজানুর রহমান। তিনি কারাগারে আছেন।
বগুড়া-কাহালু: জহিরুল ইসলাম বাদশা, বর্তমানে কারাগারে।
জয়পুরহাট: হাসিবুল ইসলাম
সিরাজগঞ্জ-বেলকুচি: আবদুর রাজ্জাক মিয়া
রায়গঞ্জ: মোশাররফ হোসেন আকন্দ
খুলনা বিভাগ
খুলনা-পাইকগাছা: আবদুল মজিদ গাজী
যশোর-চৌগাছা: মাস্টার কামাল আহমেদ
কেশবপুর: ওজিহুর রহমান
ঝিনাইদহ-মহেশপুর: শহিদুল হক বিশ্বাস
কোটচাঁদপুর: শরিফুল ইসলাম
মিরপুর: আবুল হাশেম চৌধুরী
চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর: সাজিদুর রহমান
দর্শনা: আশকার আলী
সাতক্ষীরা: শেখ নুরুল হুদা
কলারোয়া: শেখ ইমান আলী
সিলেট বিভাগ
কাটাইঘাট: একে এম ওলিউল্লাহ
মৌলভীবাজার-বড়লেখা: খিজির আহমেদ
কমলগঞ্জ: মাশুক আহমেদ। এর মধ্যে সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জেও প্রার্থী দেওয়ার চিন্তা ছিল দলের। তবে খেলাফত মজলিসের শক্ত র্থীর কারণে সরে দাঁড়িয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগ
কুমিল্লা-চৌদ্দগ্রাম: ভিপি সাহাবউদ্দিন
নোয়াখালী-কোম্পানিগঞ্জ-বসুরহাট: মাওলানা মোশাররফ হোসেন
চাটখিল: মাওলানা সাইফুল্লাহ
সীতাকুন্ড: তৌহিদুল হক চৌধুরী
ঢাকা বিভাগ
ফরিদপুর-বোয়ালমারী: নেয়াজুল হাসান
বিষয়: বিবিধ
১৭০০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
ধন্যবাদ, ভাল লাগল। আশা করি নিয়মিত লিখবেন।
আপনাকেও ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন