নিজের শক্তিতে চলার মতো যোগ্যতাহীন সিলেকশন কমিশন এবার কি প্রমান করতে পারবে তার মেরুদন্ড আছে ? অবৈধ হাসুর খরিদা গোলাম তা কখনো পারবেনা

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ০৩ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০১:৫৭:৪৬ দুপুর



ইলেকশন কমিশন/সিলেকশন কমিশন?ইলেকশন কমিশন এখন সিলেকশন কমিশনে পরিণত হয়েছে। সিলেকশন কমিশন নামটি এখন বেশ জনপ্রিয়। কারন বিতর্কিত এই নির্বাচন কমিশনারদের আমলে যত নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছে তার প্রায় সব গুলিতেই বিনাপ্রতিদন্ধিতায় নৌকা মার্কার প্রার্থীরা সিলেক্টেড হয়েছেন।

৫ জানুয়ারির ইলেকশন নামক মঞ্চস্থ নাটকে ১৫৪ জন নৌকা মার্কার প্রার্থীকে সিলেক্টেড করে সংসদ সদস্য করা হয়েছে। যে সকল স্থানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিলেক্টেড হয়নি যেমন বিগত সংসদ নির্বাচনে বাকি আসন, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন, সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন গুলো সকাল ১১ টার আগেই শেষ হয়ে গেছে।

সধারন মানুষ ভোট কেন্দ্রে যায়নি, ভোট কেন্দ্রের বারান্দায় নির্বিঘ্নে কুকুর ঘুমাতে দেখা গেছে !আগত পৌর নির্বাচনে ইলেকশন কমিশন নির্বিঘ্নে সিলেকশন করার মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।

পৌরসভা নির্বাচনে ৫০ লাখ নতুন ভোটার ভোট দিতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশনের তড়িঘড়ি নির্বাচন আয়োজনের কারনে এরা ভোট বঞ্চিত হল।নির্বাচন কমিশনের তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের আয়োজনের কারন হলো বিগত ৫ জানুয়ারীর মত করে নামকাওয়াস্তেএকটা নির্বাচনের আয়োজন করে নৌকা মার্কার পৌর মেয়র দের বিজয়ী ঘোষণা করে অবৈধ এই সরকারকে উপহার দেওয়া।

বিএনপির তরফ থেকে নির্বাচন পেছানোর দাবি করা হয়েছিল, কিন্ত তা কর্নপাত করা হয়নি। বিএনপি সমর্থিতমেয়র প্রার্থীদের গ্রেফতার বন্ধের দাবী করা হয়েছে তাও আমলে নেওয়া হচ্ছে না।

নির্বাচন কমিশন আসলে৫০ লাখ ভোটারের ভোটের অধিকার রুদ্ধ করে এবং নির্বিচারে গন গ্রেফতার করে মাঠ ফাকা করতে চাচ্ছে। তার কারন তারা জানে ভোটগ্রহন মোটামোটি সুস্থ হলে, আওয়ামীলীগের তৃনমূলের শেকড়বাকড় শহ উপড়ে যাবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। তাই ফাকা মাঠে গোল দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের এত তৎপরতা। আসলে সাংবিধানিক পদাধিকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধান যদি দলীয় আনুগত্য থেকে সরে না আসেন নিজের মেরুদণ্ড সোজা করে দাড়ানোর চেষ্টা না করেন তবে বলার কিছু থাকেনা।

নিয়োগ দানকারী প্রভুর আনুগত্যের যে নমুনা নির্বাচন কমিশন স্থাপন করছেন তা ভবিষ্যৎ উদাহারন হয়ে থাকবে।আমরা জানি বর্তমান সংসদের ১৫৪ জন সংসদ সদস্য অনির্বাচিত, বাকিরাও মাত্র ৫% ভোটের এমপি। বিগত ৫জানুয়ারির ইলেকশনকে কেউ কেউ ইলেকশন বলেনা বরং সিলেকশনের মাধ্যমে সরকার গঠন হয়েছে এটাই সত্য এবং প্রতিষ্ঠিত। নির্বাচন কমিশন পরম যতনে নির্বাচন প্রক্রিয়া কে বাছাই প্রক্রিয়ার উন্নীত করেছেন। এটাকে এখন আর কেউ নির্বাচন কমিশন বলেনা। সিলেকশন বা বাছাই কমিশন নামটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। আগত পৌরসভা নির্বাচনে ও নৌকা মার্কার প্রার্থীগন সিলেক্টেড হবেন

বিষয়: বিবিধ

১৩১৮ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

352547
০৩ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:৪১
০৩ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:৪৮
292729
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : what
352589
০৩ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:২৯
শেখের পোলা লিখেছেন : মাঝ খানে এলাকা গুলিতে কারা বি এন পি আর জামাত করে তদের চিনে রাখবে৷ যাতে ধর পাকড়ে সহজ হয়৷
০৩ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:১১
292755
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : ভাই
গ্রেফতাদের পর্ব তো বন্ধ নাই তাই ভয় পেলে কোন লাভ নাই ময়দান একবারে ছাড়া ঠিক হবে না

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File