যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দিয়ে সরকার দুর্বল হয়ে পড়ছে ! ভারতের প্রভাবশালী হিন্দু পত্রিকায় বলা হয়েছে, যাহা কিনা একশত ভাগ বাস্তব কথা !!কিন্তু হাসু দি নাখোস !!!!!!

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ২৫ নভেম্বর, ২০১৫, ০৬:৪৪:৫৮ সন্ধ্যা



ভারতের প্রভাবশালী হিন্দু পত্রিকার এক সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসি কার্যকর করে আওয়ামী লীগ সরকার আরো দুর্বল হয়ে পড়ছে। সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ওই বিয়োগান্তক ঘটনায় সরকার ফাঁসি না দিয়ে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়ে এ অধ্যায়ের সমাপ্তি টানতে পারে।

জামায়াতে ইসলামী নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এবং বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর নিয়ে বুধবার ‘ক্রাইম অ্যান্ড পেনাল্টি ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে সম্পাদকীয়টি ছাপা হয়।

এতে বলা হয়, ‘যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি দিতে আওয়ামী লীগ সরকার যা সম্ভব করার ব্যাপারে যে অঙ্গীকারবদ্ধ তাতে তেমন কোনো সন্দেহ নেই। তবে বিচারে মৃত্যুদ- দিয়ে এ অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়েছে। নৈতিক দিক থেকে দেখলে মুত্যুদ- দিয়ে বাংলাদেশ সরকার চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে তার লড়াইয়ে প্রকৃতপক্ষে দুর্বল হয়ে পড়ছে।

বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ন্যায়বিচারের পরিবর্তে প্রতিশোধ নেয়ার রঙ ছড়াচ্ছে, যা (ন্যায়বিচার) হওয়া উচিত রাষ্ট্রীয় আইনি কাঠামোর ভিত্তি।

অন্যদিকে এমন সময় এসব ফাঁসি কার্যকরের ঘটনা ঘটছে যখন বাংলাদেশ ইসলামী মৌলবাদের সমস্যায় জর্জরিত। শেখ হাসিনার সরকার যদি মনে করে যে এসব ফাঁসির মাধ্যমে বাংলাদেশে ইসলামী রাজনীতি দুর্বল হয়ে পড়বে, ভবিষ্যতে তা ভুলই প্রমাণিত হতে পারে।

সরকার বিরোধীদের ব্যাপারে যে কঠোর অবস্থান নিয়েছে তাতে বিরোধীদের প্রতি সহানুভূতিশীলদের মধ্য থেকে উগ্রপন্থীরা সদস্য নিয়োগ দিতে পারে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে মনে হচ্ছে এটা ইতোমধ্যেই ঘটছে।

সরকারের কঠোর অবস্থান এবং নেতাদের ফাঁসির ঝোলানো সত্ত্বেও দেশের বৃহত্তম ইসলামপন্থী দল জামায়াতে ইসলামী এখনো সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী এবং বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠাকে তাদের ‘প্রতিশোধ’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।

অধিকন্তু যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি কার্যকর আরম্ভ হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশে যে সেক্যুলার লেখক ও তাদের প্রকাশকদের ওপর হামলা বেড়েছে, তা কাকতালীয় নাও হতে পারে। অন্যকথায় সরকার যে বর্তমানের পরিবর্তে অতীতের বিচারের ব্যাপারে মনোযোগী সেই বৈপরীত্যও প্রকট হয়ে উঠেছে।

ঢাকার সামনে এখন বিরাট চ্যালেঞ্জ। তাকে নিশ্চিত করতে হবে যে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার যেমন করতে হবে, পাশাপাশি ইসলামী শক্তি যেন এই প্রক্রিয়ার সুযোগ নিয়ে লাভবান হতে না পারে তা তাও রোধ করতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়ে তারা এই বিয়োগান্তক ঘটনার সমাপ্তি টনাতে পারে। মুত্যদ-ের ওপর নির্ভরশীলতা কাম্য নয়।’

বিষয়: বিবিধ

১২৭৮ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

351490
২৫ নভেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৫
শেখের পোলা লিখেছেন : শাক দিয়ে মাছ ঢাঁকার একটা চেষ্টা এই পত্রিকা করেছে৷ ইসলামকে ভয় পায়৷ তাই সে শক্তিকে দমানো যাচ্ছেনা তাই বর্তমানে সেটার প্রতি বিশেষ হুঁশিয়ারী দিয়েছে৷
২৫ নভেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৭
291791
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : ঠিক বলেছেন
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
351502
২৫ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:৪৩
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : নিজের দেশের অবস্থা দেখেই এরা শংকিত!
২৫ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:৫৩
291808
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : ঠিক বলেছেন
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
351530
২৬ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১২:০৩
রোজবাড লিখেছেন : এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখার স্বার্থে ভারতের দ্বায়িত্বশীল ভূমিকা অনেক বেশী কাম্য। অন্ধের মতো বর্তমান সরকারকে সমর্থন দিয়ে ভারত বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে একেবারে ভঙ্গুর করে দিয়েছে। সরকার এখন ছুটছে পাগলা ঘোড়া রূপে। নিজেকে ছাড়া আর সবকিছুকেই যেন খেয়ে ফেলবে। মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ, আনসারুল্লাহ, যুদ্ধপরাধী, নাশকতাকার পরিকল্পনাকারী, জামাত-শিবির, প্রভৃতি শব্দগুলো পরিণত হয়েছে ভিন্নমত দলনের কার্যকরী হাতিয়ার। যেটা দিয়ে সরকার প্রায় প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছে একচ্ছত্র আধিপত্য। আর সেটাকে দীর্ঘমেয়াদী টেকশয় করতে ভারত যুগাচ্ছে বুদ্ধিবৃত্তিক পরামর্শ। যেটা ভারতের নিজেদের প্রাতিষ্ঠানিক গণতন্ত্রের বিচারে ঠিক উলটো।
২৬ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:৪২
291864
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : সহমত
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File