যুদ্ধাপরাধের আওয়ামী সংজ্ঞা অনুযায়ী নিম্মোক্ত ব্যাক্তিরা যুদ্ধাপরাধী কিনা? তবে কি একপেশে সিদ্ধান্তের আসল চেহারা যুদ্ধাপরাধী না ইসলাম নির্মুল না অন্য কারোর এজেন্ডা বাস্তবায়ন !!!

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১৮ নভেম্বর, ২০১৫, ০৩:৩৪:৩৭ দুপুর



১-আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিমের বেয়াই মুসা-বিন শমসের,



২-যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মীর্জা আজমের বাবা মীর্জা কাশেম,

৩-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে পুতুলের শ্বশুর বর্তমান সরকারের মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন



৪-ও উনার পিতা ফরিদপুরে রাজাকারদের তালিকায় ১৪ নম্বরে থাকা খন্দকার নুরুল হোসেন নুরু মিয়া,

৫-আওয়ামী লীগ নেতা ১৯৭১ সালে মালেক মন্ত্রিসভার সদস্য ওবায়দুল্লাহ মজুমদার,

৬-ও শামসুল হক,

৭-১৯৭২ সালে দালাল আইনে গ্রেপ্তার হওয়া ও ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী এ কে ফায়জুল হক,

৮-রাজাকার কমান্ডার ও ১৯৯৬ সালে আওয়ামী সরকারের ধর্মমন্ত্রী মাওলানা নুরুল ইসলাম

৯-ও মামুদ-উস সামাদ প্রমূখ।

কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফরিদপুর আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে এক বৈঠকে উনার মেয়ের দাদা শশুড় ফরিদপুরের রাজাকারদের তালিকায় ১৪ নম্বরে থাকা খন্দকার নুরুল হোসেন নুরু মিয়াকে যুদ্ধাপরাধী না বলার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। শেখ হাসিনা বলেছেন, "রাজাকার মানেই যুদ্ধাপরাধী নয়।" আমাদেরও একই কথা... পাকিস্থানের অখন্ডতাকে সমর্থন করা যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধ কোনটাই নয়।

পাঠকদের জানার সুবিধার্থে বিস্তারিত ভাবে আমরা তৎকালীন পাকিস্থানী বাহিনীকে সহযোগীতাকারী আওয়ামী লীগ নেতাদের কিছু নাম দিচ্ছি। ভবিষ্যতে আরো নাম আসবে।

ক) যেমন নোয়াখালী থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের ‘এমএনএ’ (জাতীয় পরিষদ) মো. ওবায়দুল্লাহ মজুমদার

খ) ও চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত ‘এমপিএ’ (প্রাদেশিক পরিষদ) অধ্যাপক শামসুল হক দু’জনই ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর তৈরি এমএ মালেকের নেতৃত্বে গঠিত মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন।

এরপর নিম্মোক্ত আওয়ামী লীগ নেতারা সরাসরি পাকিস্থানের পক্ষে ১৯৭১ সালে কাজ করেছেন।

গ) চট্টগ্রামের প্রাদেশিক আসন ২৪ থেকে নির্বাচিত ‘এমপিএ’ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী,

ঘ) পটুয়াখালী থেকে নির্বাচিত ‘এমপিএ’ মুজিবুর রহমান তালুকদার,

ঙ) যশোর থেকে নির্বাচিত ‘এমপিএ’ মো. মঈনুদ্দীন মিয়াজী,

চ) খুলনার ‘এমপিএ’ হাবিবুর রহমান খান,

ছ) বগুড়া থেকে নির্বাচিত গণপরিষদ সদস্য মো. হাবিবুর রহমান,

জ) ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে নির্বাচিত ‘এমএনএ’ জহির উদ্দিন,

ঝ) লে. কর্নেল একেএম মাহবুবুল ইসলাম (পাবনা),

।ঙ) সৈয়দ হোসেইন মনসুর (পাবনা),

ট) মো. আবদুল গাফফার (খুলনা),

ঠ) মো. সাঈদ (খুলনা),

ড) মোশাররফ হোসেন শাহজাহান,

ঢ) একে ফায়জুল হক (বরিশাল),

ণ) এবিএম নুরুল ইসলাম (ফরিদপুর),

ত) আমজাদ হোসেন খান (ফরিদপুর),

থ) মো. নুরুল ইসলাম (ঢাকা),

দ) আখতারুজ্জামান (ময়মনসিংহ),

ধ) সৈয়দ বদরুজ্জামান ওরফে এসবি জামান (ময়মনসিংহ),

ন) ডা. আবুল হাসেম (সিলেট)।

বিষয়: বিবিধ

১৭২৯ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

350206
১৮ নভেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ছিঃ! ছিঃ!
সত্য কথা বলতে নাই!
১৮ নভেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৭
290675
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : লজ্জার কথা হাহাহাহাহাাহাহ
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
350236
১৮ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:২৭
শেখের পোলা লিখেছেন : মুজিব কোট থাকলেই মুক্তিযোদ্ধা৷ না থাকলেই রাজাকার-অপরাধী৷
১৮ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:৩৮
290690
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : সহমত
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File