অনেকের ঘুম হারাম :-নূর হোসেনের অন্যতম শেল্টারদাতা মুন্সীগঞ্জ জেলার এমপি মৃণাল কান্তি দাস, জনৈক ‘গৌর দা’কে নিয়ে নতুন করে তর্কের জন্ম দিচ্ছে।
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১৪ নভেম্বর, ২০১৫, ০৩:৫০:০৮ দুপুর
সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন মুখ খুললে কে ফাঁসবেন আর কে হাসবেন তা নিয়ে বিভিন্ন মহলেই চলছে এখন সরগরম আলোচনা। আশংকা করা হচ্ছে, অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বিষয়ে চাঞ্চল্যকর নানা তথ্যও বেরিয়ে আসতে পারে। আর যারা নূর হোসেনকে আজকের এ অবস্থায় উপনীত করেছেন তাদের চেহারাও উন্মোচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মামলার বাদীপক্ষসহ নারায়ণগঞ্জবাসীর দাবি, এ জন্য সবার আগে রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। তা না হলে অনেক সত্য আড়াল হয়ে যেতে পারে।
জানা গেছে, এক শ্রেণীর নেতার আশ্রয়-প্রশ্রয়েই মহাজোট সরকারের বিগত আমলে নূর হোসেন হয়ে উঠেছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জের মুকুটহীন সম্রাট। শুধু সিদ্ধিরগঞ্জ নয়, পাশের জেলা মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া, চর কিশোরগঞ্জ, বলাখিসহ আশপাশের লোকজনের কাছেও নূর হোসেন ছিলেন এক মূর্তমান আতংক। তাই ভারত কিংবা মেক্সিকোর আন্ডারওয়ার্ল্ড ডনদের মতো হাফ ডজন গাড়ি আর এক ডজন আগ্নেয়াস্ত্রধারী বডিগার্ড নিয়ে চলাফেরাকারী নূর হোসেনের সেই প্রভাব আর ক্ষমতার পেছনের কুশীলবরা নূরকে নিয়ে এখন বেশ চিন্তিত।
আলোচনায় নেই মুন্সীগঞ্জের সেই এমপি : সাত খুনের পর নূর হোসেনের অন্যতম শেল্টারদাতা হিসেবে উঠে এসেছিল মুন্সীগঞ্জ জেলার প্রভাবশালী এমপি মৃণাল কান্তি দাসের নাম।
অভিযোগ রয়েছে, ওই এমপির কারণেই দলের সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে নূর হোসেনের ছিল অবাধ প্রবেশাধিকার। চাঞ্চল্যকর সাত অপহরণের পর লাশ উদ্ধার হওয়ার আগের দু’দিন সেখানে নিজের লোকজন নিয়ে আড্ডা দেন নূর হোসেন। ওই এমপি অবশ্য মিডিয়ার কাছে এসব অভিযোগ তখন অস্বীকার করেন। কিন্তু ২০১৪ সালে ওই এমপির নিজ নির্বাচনী এলাকা গজারিয়া উপজেলা নির্বাচনে নূর হোসেনের ক্যাডার বাহিনী তাণ্ডব চালিয়েছিল। ওই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খুনাখুনির ঘটনাও ঘটে। মূলত অভিযোগ রয়েছে, মুন্সীগঞ্জে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নূর হোসেনকে মাসলম্যান হিসেবে ব্যবহার করতেন ওই এমপি।
সেই ফোনালাপ : অপরদিকে নূরের সঙ্গে শামীম ওসমানের সেই ফোনালাপ আর জনৈক ‘গৌর দা’কে নিয়ে নতুন করে তর্কের জন্ম দিচ্ছে। গত বছরের মে মাসে নূর হোসেনের সঙ্গে শামীম ওসমানের ওই কথোপকথনের একটি অডিও প্রকাশিত হয়। অপহরণের দু’দিন পর ২৯ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে শামীম ওসমানকে ফোন করেন নূর হোসেন। ১০৩ সেকেন্ড কথা হয় তাদের মধ্যে। শামীম ওসমানকে ফোন করার সময় ধানমণ্ডি ৪ নম্বর সড়কের আশপাশে ছিল নূর হোসেনের অবস্থান। অভিযোগ ওঠে শামীম ওসমান কাউন্সিলর নূর হোসেনকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছেন। এ ঘটনায় শামীম ওসমান তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন, ‘আমার সঙ্গে ফোনে নূর হোসেন কথা বলছেন, গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা জানতেন ওই সময় নূর হোসেন ধানমণ্ডি-৪ নম্বর রোডে আছেন। কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা যদি জানতেন নূর হোসেন ধানমণ্ডিতে আছেন, তাহলে তারা তাকে ধরলেন না কেন?’
নূর ছিলেন উচ্ছেদ ও বিচার কমিটির সভাপতি : নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) উচ্ছেদবিষয়ক স্থায়ী কমিটি ও বিচার সালিশবিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন নূর হোসেন। এমন তথ্য অনেকের কাছে অজানা থাকলেও সাত খুনের পর বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় তোলপাড়। যার বিরুদ্ধে শীতলক্ষ্যা নদী দখল, ভূমি দখল, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাসের পাহাড়সম অভিযোগ ছিল তেমন একজন লোককে সিটি
বিষয়: বিবিধ
১২১৯ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দেখা যাক
মন্তব্য করতে লগইন করুন