ফ্রান্সে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ১৫৩, জরুরি অবস্থা জারি । ইহুদিরা আবার মুসলমানদেরকে কোন ঠাসা করতে দেশে দেশে আইএসের নামে শাখা খুলে হামলা চালাচ্ছে

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১৪ নভেম্বর, ২০১৫, ১১:২৪:৪০ সকাল



ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে সিরিজ বোমা হামলায় কমপক্ষে ১৫৩ জন নিহত হয়েছে। এ অবস্থার পর দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। প্যারিসে লোকজনকে ঘর থেকে বের হতে বারণ করা হয়েছে। পুরো প্যারিস ঘিরে রেখেছে পুলিশ। বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে এ হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস। বিবিসি জানায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবার পুরো দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে এবং বন্ধ করা হয়েছে সীমান্ত। সংঘর্ষে কয়েকজন হামলাকারীও নিহত হয়েছে। শহরের একটি কনসার্ট হলে ১০০ জনকে জিম্মি করে রাখা হলে সেখানে পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশকে সহায়তা করতে প্যারিসে অন্তত পনেরো শত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। শহরের কয়েকটি এলাকা এবং স্টেডিয়ামে প্রায় একই সময় হামলাগুলো করা হয়। হামলাগুলো আত্মঘাতী ছিল বলে বলা হচ্ছে। জার্মানির বিপক্ষে ফ্রান্সের ফুটবল টিমের খেলা চলার সময় স্টেড দ্য ফ্রান্স নামের স্টেডিয়ামটিতে বিস্ফোরণের শব্দও পাওয়া গেছে। সে সময় ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্র্রাঁসোয়া ওঁলাদ স্টেডিয়ামে খেলা দেখছিলেন বলে জানা গেছে। শহরের একটি এশিয়ান রেস্তোরার সামনে অন্তত দশজনকে পড়ে থাকতে দেখেছেন বিবিসির এক সংবাদদাতা। একজন বন্দুকধারীকে আধা স্বয়ংক্রিয় বন্দুক দিয়ে গুলি চালাতে দেখা গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এই হামলা ছিল সংঘবদ্ধ। তবে এই হামলা সংঘবদ্ধ এবং পরিকল্পিত কিনা, তা এখনি বলা সম্ভব নয় বলে প্যারিসের পুলিশ জানিয়েছে।

বিষয়: বিবিধ

১৩৬২ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

349656
১৪ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:৩১
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : ধন্যবাদ জনাব..

এই হলো আসল রূপ আইএসের..
১৪ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:৩৪
290211
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : চমতকার
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
349662
১৪ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া লিখেছেন : জার্মানির এক টিভি লাইভশোতে একজন জার্মান মুসলিম স্কলারকে যখন উপস্থাপক প্রশ্ন করেছিলেন, মুসলমানরা কেন সন্ত্রাস করে ? তখন তিনি উক্ত প্রশ্নের জবাব এভাবে উল্টো প্রশ্ন করে দেন :- ☑ ১. যারা প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল ? ☑ ২. যারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল? ☑ ৩.যারা অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কারের পর নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য ২০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান আদিবাসীকে হত্যা করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল? ☑ ৪.যারা হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল? ☑ ৫.যারা আমেরিকা আবিষ্কারের পর নিজেদের প্রভাব বিস্তারের জন্য উত্তর আমেরিকা বর্তমান যুক্তরাষ্ট ১০০ মিলিয়ন এবং দক্ষিন আমেরিকাতে ৫০ মিলিয়ন রেড- ইন্ডিয়ানকে হত্যা করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল? ☑ ৬. যারা ১৮০ মিলিয়ন আফ্রিকান কালো মানুষকে কৃতদাস বানিয়ে আমেরিকা নিয়ে গিয়েছিল। যাদের ৮৮ ভাগ সমুদ্রেই মারা গিয়েছিল এবং তাদের মৃতদেহকে আটলান্টিক মহাসাগরে নিক্ষেপ করা হয়েছিল, তারা কি মুসলিম ? উত্তর হবে, এসব মহাসন্ত্রাসী ও অমানবিক কার্যকলাপের সাথে মুসলিমরা কখনো জড়িত ছিলনা। ☑ ইরাক , আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার নাম তেল , গ্যাস লুন্ঠন কি মুসলমানরা করেছিল ? আপনাকে সন্ত্রাসের সংজ্ঞা সঠিকভাবে করতে হবে। যখন কোন অমুসলিম কোন খারাপ কাজ করে,খুন খারাপি করে তখন এটাকে বলা হয় আত্মরক্ষা আর যখন কোন মুসলিম আত্মরক্ষার্থে কিছু করে , তখন এটাকে বলা হয় জঙ্গীবাদ ! ☑ ইসরাইলি ইহুদিরা অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে ফিলিস্তিনের নিরীহ নারী , পুরুষদের উপর হামলা করলে হয় আত্মরক্ষা এবং ফিলিস্তিনের জনগণ উহ: আহ : শব্দ করলে হয় মৌলবাদী বা জঙ্গি ! মুসলমানের শত্রুরা এখন মুসলমানদের নাম ও চিহ্ন ব্যবহার করে সন্ত্রাস করছে , নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করছে , নিজেরা ( ইউরোপ-আমেরিকানরা ) নিজেদের দেশের জনগনের কাছে সাধু সেজে মুসলমানদের উপর তথাকথিত জঙ্গি - সন্ত্রাস দমনের নামে মূলত মুসলমানদের তেল, গ্যাস , ভূমি , দেশ লুটপাট করছে ... আল-কায়েদা , বোকো হারাম , ইসলামী এস্টেট বা ‪#‎ISI‬ শুনতে ইসলামী নাম হলেও এগুলোর কার্যক্রম থেকে পরিস্কার বোঝা যায় এগুলো ইউরোপ - আমেরিকানদের তৈরী , ঐসব কপাল-পোড়া সংগঠনের সাথে ইসলাম - মুসলমানদের দূরতম সম্পর্ক নেই ইনশা আল্লাহ I একটা সময় ছিল যখন ক্ষমতা লোভী , সাম্রাজ্যবাদীরা অন্য দেশ ,অন্য ধর্মের জনগনের উপর - সরাসরি আক্রমন ও তাদের সম্পদ লুট করত I এখন আধুনিক যুগ , যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে I কেউ কোনো অন্যায় করলে তা ছবি ও ভিডিও সহ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে , এছাড়া দেশে দেশে গনত্রান্তিক ব্যবস্থা বিরাজমান | কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্ট মারাত্মক ভুল করলে তাকে বা তাদেরকে অনেক বেগ পোহাতে হয় , এখন আর ‪#‎কেউই_জবাবদিহিতার_উর্ধে_নয়‬ , তাই কেউ রাস্ট ক্ষমতাকে ব্যবহার করে অন্য দেশের উপর সরাসরি আক্রমন করে না বরঞ্চ ‪#‎অন্য_নামে_করে_থাকে‬ | " তাতে সাপও মরে আর লাঠিও ভাঙ্গে না " আর এরা এ থেকে ফায়দা লুটার ফন্দি করে | "ইসলামী জঙ্গি " নামে কেউ সন্ত্রাস করলে বুঝতে হবে এসব ইসরাইলি - আমেরিকানদের ষড়যন্ত্রের পরিকল্পন

সংকলীত;
১৪ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:৫৪
290214
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : সুন্দর মন্তব্য উপস্থাপন করেছেন
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
349663
১৪ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া লিখেছেন : “ইসলাম জঙ্গীবাদরে ধর্ম নয় এবং জঙ্গীবাদকে সমর্থনও করে না,বর্তমানে জঙ্গিবাদ এটা একটা আলাদা একটি ধর্ম-বা কালসার,যেমন বর্তমানে নাস্তিক্যবাদ একটি কালসার্ আজকে আমরা বিভিন্ন গবেষনায় জানতে পারি বিশ্বে যত গুলো সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে তন্মধ্যে ৯৪% ই অমুসলিমরাই ঘটিয়েছে। কিন্তু আপসোস এর বিষয় হল আজকে মুসলিমদের হাতে মিডিয়ার কতৃত্ব না থাকার কারনে , এ সত্যটা প্রকাশ পাচ্ছেনা বরং উল্টো মুসলমানদের সন্ত্রাসী বানানো হচ্ছে ।এই জন্য আজকে মুসলিমদের জন্য অপরিহার্য কাজ , যেটা তাহল বস্তু নিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের জন্য মিডিয়া প্রতিষ্ঠা করতে হবে, মিডিয়ার নিয়ন্ত্রন নিতে হবে । নতুবা এ ঘানী আরও কতকাল সইতে হবে আল্লাহই ভাল জানেন ।

দেখুন নীচে আমি এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন সংযোজন করলাম ।

মুসলিম সন্ত্রাসী'- এই শব্দযুগল ব্যবহার করে কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই যে কাউকে অভিযুক্ত করতে নিয়মিতই নিজেদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম। কোথাও কালে ভদ্রে দুয়েকটি হামলা/সন্ত্রাসের ঘটনা কোনো বিপথগামী মুসলমানের দ্বারা হলেই আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে হায় হায় রব উঠে।

যদিও প্রকৃত তথ্য এবং পরিসংখ্যান বলে ভিন্ন কথা। ২০‌১৩ সালে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এর একটি রিপোর্ট থেকে জানা যায়, সেদেশের মাটিতে গড়ে যত সংখ্যক হামলা হয় তার ৯০ শতাংশই ঘটিয়ে থাকে অমুসলমি সন্ত্রাসীরা।

এফবিআইয়ের ওই প্রতিবেদনে দেখানো হয়, ১৯৮০ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত মোট হামলার ৯০ শতাংশই ঘটায় অমুসলিম সন্ত্রাসীরা।

সবচেয়ে বেশি হামলার ঘটনা ঘটিয়ে থাকে ল্যাটিন আমেরিকান সন্ত্রাসীরা। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হার শতকরা ৪২ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা চরম বামপন্থী সন্ত্রাসীরা ২৪ শতাংশ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটায়। ৭ শতাংশ সন্ত্রাসী কার্যক্রমের জন্য দায়ী ইহুদীবাদী সন্ত্রাসীরা। মুসলিম নামধারী সন্ত্রাসীরা দায়ী মাত্র ৬ শতাংশ ঘটনার জন্য। কমিউনিস্ট ৫ শতাংশ এবং অন্যান্যরা ঘটিয়ে থাকে ১৬ শতাংশ সন্ত্রাসী ঘটনা। সূত্র: ওয়াশিংটন ব্লগ -http://amarbangladesh-online.com
349664
১৪ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫
349672
১৪ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:৩৬
এটোম বোম লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১৪ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:৩২
290225
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck
349723
১৪ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১০:০৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ এরা আসলে তারাই।
১৪ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১০:২১
290246
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : সহমত
আপনাকে ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File