একমেয়ে কিডন্যাপের পরে লম্পটকে বলেছিল আজকে আমি অসহায় জিম্মি হয়েছি ঠিক কিন্তু তুই আমার মনকে জিম্মি করতে পারিস নাই । হাসিনার জন্যও আমাদের অনুরুপ ম্যাসেজ
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১২ নভেম্বর, ২০১৫, ০৯:২৯:২৭ রাত
লোকের ভালবাসা আদায় করার জন্য তো জোর করার দরকার নাই যদি লোকজন আপনাকে পছন্দ করে তবে তারা এমনিতেই আপনাকে ভালবাসবে।
একমেয়ে কিডন্যাপ হওয়ার পরে লম্পটকে বলেছিল দেখ ! আজকে আমি অসহায় তোর কাছে জিম্মি হয়েছি ঠিক কিন্তু তুই আমার মনকে জিম্মি করতে পারিস নাই এবং পারবিও না। তুই আমাকে জোর করে যেটা ইচ্ছা করতে পারবি ঠিকই কিন্তু আমার ভালবাস পাবি না।
লম্পট জবাব দিল তুই কি পাগলরে ! আমি তোকে কিডন্যাপ করেছি কি ভালবাসার জন্য !! ভালবাসার পাত্রকে কখনো জোর করা লাগে না।
মেয়েটি জবাব দিল তাহাহলে বল তুই আমাকে কিডন্যাপ করেছিস কি কারনে ! নষ্ট করবি তারজন্য !!!
লম্পট জবাব দিল পাগলি দুনিয়াতে তো মেয়ের অভাব পড়েনি যে তোকেই ভোগ করতে হবে তাই জীবনের ঝুকি নিয়ে কিডন্যাপ করতে হবে !
মেয়েটি বলল তবে কেন কিডন্যাপ করেছিস !
লম্পট বলছে সুই দিয়ে কাটা খুলতে তোকে এনেছি। আমি ভালকরে জানি তোকে কিডন্যাপ করে তো আর তোর পরিবারের মন পাবনা বা তোর মনও পাব না জোর করে বেশির থেকে বেশি তোর শরীর ভোগ করতে পারবো।
তুই হয়তো ভাবছিস তোদের মতো প্রভাবশালি লোকের সামনে আমাদের এই অপারেশন অতি তুচ্ছ কিন্তু বাস্তবতা হলো ভিন্ন ।
মেয়েটি বলছে ভিন্ন কেন !
ভিন্ন হলো এই ভাবে প্রতিদিন তোর বাবা গুন্ডাপান্ডা দিয়ে যেই ভাবে নিরিহ লোকদের জীবন হানী করছে সন্পদ তছরুফ করছে বাড়ঘর ভেঙ্গে ফেলছে এতে ভুক্তভুগিদের ব্যাথা সে কখনো অনুভব করেনি কারন সে কখনো কোন প্রিয় জীনিস হারায়নি !
তোকে সাময়িক হারানোর পরে একটু হলেও তোর বাবা অনুশোচনা করবে ।
মেয়েটি এতক্ষন ছেলেটির মুখে মুখে তর্ক করছিল এখন গম্ভির হয়ে গুন্ডাটার কথা শুনছে আর চোখের কোনা দিয়ে বেয়ে বেয়ে পানি পড়ছে।
ছেলেটি তাকিয়ে দেখে একি কি তুই কাদছিস কেন ! আমি কি তোকে মেরেছি না কোন গালি দিয়েছি !! খারাপ কোন কথা ও তো বলিনি !!!
তোরা বড় লোকের আদরের দুলারী , বড় নেতার কন্যা জোর জুলুমের বাদশা তোদের চোখে দুখের কথা শুনে পানি আসা মানায় না । এই কাজ শুধু সমাজের মধ্য এব নিন্মবৃত্ত লোকদের শোভে।
মেয়েটি বলছে ভাইজান আর বলবেন না আমি সৈহ্য করতে পারছি না , আমি আপনাকে ভুল বুঝেছিলাম গুন্ডা ভেবেছিলাম কিন্তু এখন দেখছি আপনি যে মহত লোকদের সর্দার । আপনাকে এতক্ষন তুই তুই বলেছিলাম আমাকে মাফ করে দেন ।
আমার বাবাকে ভুল পথ থেকে ফিরাতে আপনাদের যতরকম চেষ্টাপ্রচেষ্টা আছে তা প্রয়োগ করুন আমি আপনাদেরকে সহযুগিতা করবো প্রতিজ্ঞা করলাম।
অবশেষে মেয়ের ক্ষনিকের শেখা আদর্শর সামনে বাবা মাথা নত করেছিল ততদিন দেশের মেধাবী লোকগুলিকে পঙ্গুত্ব বা মৃত্য অথবা জেলে ঢুকেছিল ।
অনেক দেরি হয়েছিল
আল্লাহ আমাদের দেশকে অবৈধ প্রধানমন্ত্রীকে বুঝদিল দিক নতুবা ঢংশ করুন
বিষয়: বিবিধ
১৭৯৪ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন