এক স্বেচ্ছাচারী নরপতির কাহিনী। বাইবেলের তথ্য অনুসারে নমরুদ ছিলেন কুশের পুত্র, হামের পৌত্র এবং নূহের প্রপৌত্র -১
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ০৭ নভেম্বর, ২০১৫, ০৫:৩৩:২৮ বিকাল
বাইবেলের তথ্য অনুসারে নমরুদ ছিলেন কুশের পুত্র, হামের পৌত্র এবং নূহের প্রপৌত্র। শিকারী হিসেবে তিনি ছিলেন প্রবাদ পুরুষ তুল্য। শিনার ভূ-খন্ডের বাবিল , উরুক , আক্কাড ও চালনা এবং শিনারের বাইরে অশুর, নিনেভ, রজেন, কা্লাহ এবং রিহোবৎ নিয়ে তার সাম্রাজ্য গঠিত ছিল।
তবে সত্যিকার অর্থে এই নমরুদ কে ছিলেন তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ আছে। প্রকৃতপক্ষে, তার ব্যাক্তি পরিচয় নিয়ে দু'টি সুপ্রতিষ্ঠিত মতামত রয়েছে। প্রথমটির অবতারণা করেছেন জি. স্মিথ ও জেরেমিয়া প্রমুখ। তাদের মতে নমরুদ ব্যাবিলনীয় বীর বা (Gilgamesh) ব্যাতিত অপর কেউ নন।
রাব্বানিক সাহিত্য অনুসারে নমরুদ খোদাদ্রোহীদের জনক। তার নাম এভাবেই উচ্চারিত হয়- “যিনি মানুষকে খোদাদ্রোহীতে পরিণত করেছিলেন।”
তিনি কেবল প্রথম শিকারীই নন, বরং তিনি প্রথম মাংস ভোজীও বটে। আর তিনিই প্রথম যুদ্ধের সূচনা করেছিলেন মানব জাতির মধ্যে।
শিকারে নমরুদের মহাসাফল্যের- কারণ ছিল চামড়ার তৈরী অাদমের সেই কোট। শয়তানের প্ররোচনায় গন্ধম ফল ভক্ষণের ফলে আদম-হাওয়া যখন উলঙ্গ হয়ে পড়েন, তখন খোদা তাদের জন্যে এই কোট তৈরী করে দিয়েছিলেন।-(Gen.3:21) এই কোট বংশ পরস্পরায় নূহ এবং নূহ থেকে হাম-কুশ হয়ে নমরুদের হাতে পৌঁছে। নানা রঙে রঙিন এই কোটে কিছু চিহ্ন খোঁদিত ছিল। যখনই কোন পশু খোঁদিত ঐ চিহ্ন দেখতে পেত, তখনই সে গুড়ি মেরে নত হয়ে যেত। ফলে ঐ সব পশু শিকারে নমরুদকে কোন বেগ পেতে হত না। লোকেরা তার এই ক্ষমতাকে আলৌকিক বলে ভাবত। এ কারণে তারা তাকে তাদের নরপতি বানিয়ে নেয়।
বিষয়: বিবিধ
২৭৭৯ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন