তাছলিমা বানুর অতীত , আমাদের বর্তমান ও আমাদের ভবিষ্যত বংশধরদের ভবিষ্যত কি সাদ্দাম ও গাদ্দাফির পথে হাটছে ???

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ০২ নভেম্বর, ২০১৫, ১১:০০:২৪ রাত



সেই দিন যেই ভাবে পড়েছিলাম যদি আপনি হাত ধরে উপরে না তুলতেন তবে নিশ্চিত আমার পরিনতি খুব খারাপ হতো তাছলিমা বানু এমন অভিমত ব্যাক্ত করে নিজের অতিতকে স্মরন করছিলেন।

ইতিহাস যে কখনো কোন কিছু গোপন করেনা তা যুগে যুগে প্রমানিত হয়েছে। অনেক রাজা বাদশারা তাদের কুতৃত্তিকে ইতিহাসের পাতা থেকে ঢাকতে গিয়ে কত না কৌশল অবলম্বন করেছিলেন কিন্তু কালে কালে সেই সকল কুকৃত্তিগুলি দুনিয়ার সামনে জ্বলজ্বল করে জলে উঠেছে।

সেই রাজাবাদশারা বা তাদের বংশের কোন জীবিত উত্তরাধিকার নাই বা আছে কিন্তু সেই কালো ইতিহাস পড়ে দুনিয়ার লোকজন তাদের প্রতি ঘুনা প্রদর্শন করে।

লেখনির কলেরব না বাড়ানোর উদ্দেশ্যে শুধু একটি দুটি উদাহরন দিলে আশা করি সবাইর সামনে পুরা ঘটনাগুলি পরিস্কার হবে।

বিংশ শতাব্দিতে দুনিয়াতে কমিউনিজমের দাপটে মানুষের নাভিষ্ষাস প্রায় তখনো এক দল লোক সেই কমিউনিজনের নিষ্পেষনের থেকে বাচার জন্য ব্যার্থ চেষ্টা করেছিলেন তাদের মধ্যে অনেকে ফাসির কাষ্ঠে ঝুলে স্বাধীনতাকামীদের পরবর্তি প্রজন্মকে বেগবান করতে অনুপ্রেরনা যুগিয়েছিলেন আবার অনেককে অন্ধকার জেলের ভিতর বছরকে বছর জুলুম নির্যাতন সৈয্য করে কিছুকাল বেচে ছিলেন ।

কিন্তু আজকে !!

কোথায় কালমার্কস !!! হেগেল !!! লেনিন !!!!

হ্যা মাওসেতুংয়ের স্মৃতি এখনো আছে তবে হয়তো সেই দিনটারও কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে।

বর্তমা্ন সময়ে অত্যাচারিত বাদশারা অস্রের বাহাদুরি করতে পারে জানি কিন্তু জনরোষের মুখে যেই সময় পড়ে , তার বংশ পরনপরা আর দুনিয়াতে কেউ জীবিত থাকতে পারেনা। এবং পারেনি।

ইতিহাস !!

সাদ্দামের বংশের কেউ কি ইরাকে আছে ?

গাদ্দাফির কেউ কি লিবিয়াতে ?

এমনকি দুনিয়াতে থাকার অধিকারটাও এরা হারিয়েছে

মেজর জিয়াউর রহমান বহুদলিয় গনতন্ত্র প্রতিষ্টার জন্য শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে আসার রাস্তা তৈরী করেছিলেন যার কারনে হাসিনা আজকে জিয়া পরিবারকে নিশ্চিন্ন করার সকল কুলকৌশল পাকা করেছে ।

জামায়াত তাদের এলার্জি নয় তাদের এলার্জি হলো বিপএনপি থেকে যদি জামায়াত কে আলাদা করা যায় তবে বর্তমান নৈরাজ্য অবস্থা সৃষ্টিকারী আওয়ামিলীগের সামনে কোন শক্তি আর থাকবে না। তাইতো নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে বারবার মানবতাবিরোধী অবরাধ যুদ্ধঅপরাধ ইত্যাদি ইত্যাদি বলে মুখে ফেনা তুলছে।

কিন্তু তারা সামান্য অতিতের কথাটাও ভুলেছে , ১৯৭৫ সালের ১৪ই আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামিলীগের বিরুদ্ধে টুশব্দ করার লোক ছিল না ১৫ই আগস্ট তাদের পক্ষে কথা বলার একজন লোকও ছিল না।

আমরা বর্তমানে ১৪ই আগস্ট এ উপনিত হয়েছেছি বাকী সময়ের অপেক্ষায় থাকলাম

বিষয়: বিবিধ

১১৯৪ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

348287
০৩ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০১:৪২
রফিক ফয়েজী লিখেছেন : অপেক্ষায় থাকুন হলেও হতে পারে।
০৩ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:২৬
289141
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : চন্দ্রসুর্য যেমন দৃষ্টিগোচর হয় সেটা যেমন সত্য তেমন সত্য
সেবার কিন্তু ১৫ই আগস্ট তৃনমুল নেতাদের উপর কোন হস্তক্ষেপ হয়নি এবার কিন্তু ...........রক্ষা হবে না
348296
০৩ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ০৬:৪৯
শেখের পোলা লিখেছেন : আল্লাহই ভাল জানেন৷
০৩ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:২৭
289142
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : সত্যর বিজয় হবেই ভাই
348302
০৩ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:৩৯
হতভাগা লিখেছেন :
আমরা বর্তমানে ১৪ই আগস্ট এ উপনিত হয়েছেছি বাকী সময়ের অপেক্ষায় থাকলাম


১৯৭৫ আর ২০১৫ --- ৪০ বছরের ব্যবধান । আওয়ামী লীগ এখন অনেক বেশী পরিপক্ক ।
০৩ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:২৯
289144
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : এখন লোকজনও অনেক পক্ক , ১৫ই আস্ট শুধু হাসিনার পরিবারকে হত্যা করেছিল তার নেতারা গা ঢাকা দেওয়াতে তাদের উপর কোন পতিশোধ নেওয়া হয়নি
তাইতো লোকজনও জানে ৪০ বছরে এখন কি করলে আন্ডাবাচ্ছা মাটির তলা থেকে টেনে বের করা যায়
আর মুখবাজ এবং কলমবাজ দের পরিনতি কঠিন থেকে কঠিন হবে ইনশাআল্লাহ
০৩ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:১৭
289150
হতভাগা লিখেছেন : বাংলাদেশের জনগনই আবারও ৭৫ এর মত ঘটনা ঘটানো ঠেকিয়ে দেবে
০৩ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:৪০
289158
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : ১০% সমর্থন যাদের নাই তাদের কাছে এমন ভাবাটা স্বাভাবিক কারন তাদের আছে বন্দুকের ট্রিগার
৯০% লোক অপেক্ষা করতেছে বিজয় মিছিল বের করার জন্য কখন সকাল বেলা জনতা শুনতে পাবে ডাইনির অপমৃত্য অথবা ১৫ই আগস্ট ঘটেছে
348303
০৩ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:৪১
হতভাগা লিখেছেন :
আমরা বর্তমানে ১৪ই আগস্ট এ উপনিত হয়েছেছি বাকী সময়ের অপেক্ষায় থাকলাম


১৯৭৫ আর ২০১৫ --- ৪০ বছরের ব্যবধান । আওয়ামী লীগ এখন অনেক বেশী পরিপক্ক ।


০৩ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:৩০
289145
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : অপেক্ষা করুন

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File