স্যার, আপনাকে স্যালুট :-সন্তানের লাশ দেখার পর প্রবীণ অধ্যাপক বলেন, আমি কোনো বিচার চাই না।

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ০১ নভেম্বর, ২০১৫, ০৮:৫৮:৫৬ রাত



পৃথিবীতে সবচেয়ে ভারী পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ। সে লাশ কাঁধে নিয়ে স্যার আপনি যা বললেন তা অবিশ্বাস্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের ছেলে জাগৃতি প্রকাশনীর মালিক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে দৃর্বৃত্তরা হত্যা করে শনিবার। সন্তানের লাশ দেখার পর প্রবীণ এই অধ্যাপক বলেন, আমি কোনো বিচার চাই না। আমি চাই শুভবুদ্ধির উদয় হোক। যাঁরা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ নিয়ে রাজনীতি করছেন, যাঁরা রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছেন উভয় পক্ষ দেশের সর্বনাশ করছেন। উভয় পক্ষের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। এটুকুই আমার কামনা। জেল-ফাঁসি দিয়ে কী হবে।

নিজ সন্তানের লাশ দেখার পরও আবুল কাসেম ফজলুল হক চিন্তা করেছেন এ দেশের লাখ লাখ সন্তানের কথা। জেল-ফাঁসি দিয়ে যে সংকটের সমাধান হবে না ইংগিত করেছেন সে দিকে। আমি বিচার চাই না- এই বক্তব্যে চলমান রাষ্ট্র, সমাজ আর বিচার ব্যবস্থার ওপর এক ধরনের অনাস্থাই ফুটে উঠে। আমাদের দেশের সরকার এবং বিরোধীপক্ষ কিভাবে নিজ নিজ স্বার্থ সিদ্ধির জন্য ভয়ঙ্কর খেলায় মত্ত আবুল কাসেম ফজলুল হক সেদিকে আবারও আমাদের সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। ধর্মনিরপেক্ষতা আর ধর্মের নামে এ দেশে কিভাবে অনাচার চলছে তা এখন দিনে দিনে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এ রাষ্ট্রের ভবিষ্যত নয়, ক্ষমতাবান এবং যারা ক্ষমতায় যেতে চান তাদের একমাত্র চিন্তায় রয়েছে ক্ষমতা। বাংলাদেশ যে এক ভয়ঙ্কর বিপদের সম্মুখীন তা হয়তো বুঝেও না বুঝার ভান করছেন তারা। স্যার- আপনি উভয়পক্ষের শুভবুদ্ধি কামনা করেছেন। আমরা সবাই চাই তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। তবে তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে সে আশা এখন আর মানুষ করে না। হতাশাই এখন আমাদের একমাত্র আশা।পৃথিবীতে সবচেয়ে ভারী পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ। সে লাশ কাঁধে নিয়ে স্যার আপনি যা বললেন তা অবিশ্বাস্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের ছেলে জাগৃতি প্রকাশনীর মালিক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে দৃর্বৃত্তরা হত্যা করে শনিবার। সন্তানের লাশ দেখার পর প্রবীণ এই অধ্যাপক বলেন, আমি কোনো বিচার চাই না। আমি চাই শুভবুদ্ধির উদয় হোক। যাঁরা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ নিয়ে রাজনীতি করছেন, যাঁরা রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছেন উভয় পক্ষ দেশের সর্বনাশ করছেন। উভয় পক্ষের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। এটুকুই আমার কামনা। জেল-ফাঁসি দিয়ে কী হবে।

নিজ সন্তানের লাশ দেখার পরও আবুল কাসেম ফজলুল হক চিন্তা করেছেন এ দেশের লাখ লাখ সন্তানের কথা। জেল-ফাঁসি দিয়ে যে সংকটের সমাধান হবে না ইংগিত করেছেন সে দিকে। আমি বিচার চাই না- এই বক্তব্যে চলমান রাষ্ট্র, সমাজ আর বিচার ব্যবস্থার ওপর এক ধরনের অনাস্থাই ফুটে উঠে। আমাদের দেশের সরকার এবং বিরোধীপক্ষ কিভাবে নিজ নিজ স্বার্থ সিদ্ধির জন্য ভয়ঙ্কর খেলায় মত্ত আবুল কাসেম ফজলুল হক সেদিকে আবারও আমাদের সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। ধর্মনিরপেক্ষতা আর ধর্মের নামে এ দেশে কিভাবে অনাচার চলছে তা এখন দিনে দিনে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এ রাষ্ট্রের ভবিষ্যত নয়, ক্ষমতাবান এবং যারা ক্ষমতায় যেতে চান তাদের একমাত্র চিন্তায় রয়েছে ক্ষমতা। বাংলাদেশ যে এক ভয়ঙ্কর বিপদের সম্মুখীন তা হয়তো বুঝেও না বুঝার ভান করছেন তারা। স্যার- আপনি উভয়পক্ষের শুভবুদ্ধি কামনা করেছেন। আমরা সবাই চাই তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। তবে তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে সে আশা এখন আর মানুষ করে না। হতাশাই এখন আমাদের একমাত্র আশা।

বিষয়: বিবিধ

১২৮১ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

348131
০১ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:২১
হতভাগা লিখেছেন : একটা ঘটনা ঘটলে সেটা নিয়ে মানুষ মজে থাকতে না থাকতে আরেকটা এসে হাজির হ.

সরকারও নন্দঘোষকে দোষ দিয়ে/বিচারের নামে তদন্ত কমিটি করে ব্যাপারটাকে ধামা চাপা দিয়ে দেয় । দিন কয়েক হাউ কাউ করে একসময় সবাই ব্যাপারটা ভুলে যায় । সরকার এটাই চায় ।

এভাবেই চলে আসছে গত ৭-৮ বছর । খুন হচ্ছে , গুম হচ্ছে - একটারও কোন সুষ্ঠু বিচার হয় নি ।

সেভেন মার্ডারের নুর হোসেন ভারতে ধরা পড়ার দেড় বছর পার হয়ে গেলেও তাকে দেশে আনা হচ্ছে না । এ ব্যাপারে সরকারের গরজও নেই । নেই প্রায় সাড়ে ৩ বছর আগে খুন হওয়া সাগর-রুনির ব্যাপারেও ।

মুক্তমনা শিরোমনি অভিজিতের খুনের ঘটনা ৮ মাস পার হয়ে গেছে , কোন কিছুই জানা যায় নি ।

ট্রাভেলা ও হোশিওর খুনী হিসেবে সরকারবিরোধী দলের লোকজনকে ধরা হয়েছে - সেটা জনগন এখন বিশ্বাস করতে চাচ্ছে না । কারণ জনগন কিছুটা হলেও বুঝে গেছে যে এসব ঘটনায় কার লাভ হচ্ছে । যে দলের বড় বড় নেতারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে তাদের পাতি নেতারা এরকম বড় কাজ করবে - এটা এখন মানুষকে বিশ্বাস করানো কঠিন হয়ে গেছে ।

তাই দীপনের বাবাও বুঝে গেছেন যে বিচার চেয়ে আসলেই কোন লাভ হবে না । একই কথা গতকাল বলেছেন অভিজিতের স্ত্রীও।
348141
০২ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১২:১৪
শেখের পোলা লিখেছেন : মনের আগুন দ্বিগুন হইছে জ্বলিয়া পুড়িয়া, কি হবে বিচার চাহিয়া৷
কার কাছে বিচার চাইবেন৷ চাইলেই তো জামাত শিবির বলীর পাঁঠা আছে৷নির্দোষ কারও প্রাণ যাবে, তাই না চাওয়াই ভাল৷
লেখাটি ডবল হয়েছে৷ধন্যবাদ৷
348166
০২ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ০৯:০৩
রক্তলাল লিখেছেন : অনেক দিন পর একজন অধ্যাপকের মুখে শিক্ষকসুলভ কথা যিনি নিজের ছেলের প্রানকে আলো হিসাবে ব্যাবহার করে বলেছেন।

এখানে যা-ফর একবাল এর মত উন্মাদ আর প্রকৃত অধ্যাপক এর পার্থক্য নির্ধারন করা যায়।

তিনি যা বলেছেন তার জন্য শ্রদ্ধা এমনিতেই আসে।
সমাজ যখন অন্ধকারাচ্ছন্ন, তখন একটি বিচার একটি সুতার ধ্বংস অনিবার্য তালি। চাই সমাজের আমূল পরিবর্তন।

চাই আমার নাগরিক অধিকার।
চাই আমার বাক-স্বাধীনতা। let ME choose what is better for me. Do NOT impose Mujib, Zia, or Golam Azom.

চাই সকলে বেচে থাকার সমান অধিকার।


348181
০২ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:৩৬
আব্দুল মান্নান মুন্সী লিখেছেন : বর্তমান সময়ের বিচারের মাহত্ত্ব্য এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের অজানা নয়...তাই হয়তো অভিমানে বিচার চাননি...চাঁন মিয়া করিলো খুন কালা মিয়ারা খাবে কানমলা এটাই হয়তো তিনি চাননি.... অনেক ধন্যবাদ নিয়া ভাই।
০২ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:৩৮
289049
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : সহমত
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
আপনি আমার মিয়া ভাই
348198
০২ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:৪০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বামপন্থি হলেও ভারতিয় লবির লোক নন। জাগৃতি প্রকাশনিও শুধু নাস্তিকদের বই ই প্রকাশ করেনা। টার্গেট নির্ধারনে বোধহয় ভুল করে ফেলেছে তারা!!
০২ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:৩৩
289076
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : এমনও তো হতে পারে এই কান্ডটা আওয়ামিলীগদের দালালরা করেছে ?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File