মুসা(আঃ) এর সময়কার একটি ঘটনা!
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১৯ অক্টোবর, ২০১৫, ১২:৩১:৩৮ দুপুর
হযরত মুসা (আ একবার আল্লাহ তা'আলার কাছে আরজ করলেন,হে-দয়াময় প্রভু! আমার উম্মতের মধ্যে কে সবচেয়ে'খারাপ ব্যক্তি আমাকে দেখিয়ে দাও। অদৃশ্য থেকে আওয়াজ এলো,ঠিক আছে আগামীকাল সকালে তুমি পথের ধারে বসে থেকো। যে ব্যক্তি সর্বপ্রথম এই পথ অতিক্রম করবে, সে ব্যক্তি-ই হলো তোমার উম্মতের সবচেয়ে' খারাপ।
হযরত মুসা (আ ঠিক সময়মত নির্দিষ্টস্থানে বসলেন। কিছুক্ষণ পর দেখলেন এক ব্যাক্তি একটি ছোট ছেলে কোলে করে তাঁকে অতিক্রম করলো। হযরত মুসা (আতাকে দেখে মনে মনে বললেন, ওহ্ এই ব্যাক্তি-ই আমার উম্মতের মধ্যে সবচেয়ে 'খারাপ। কিছুক্ষণ পর হযরত মুসা (আ-র ইচ্ছা হলো তাঁর উম্মতের সবচেয়ে' ভালো ব্যাক্তিকে দেখতে। আল্লাহ'র নিকট এবার আরজ করলেন, হে- দয়াময় প্রভু ! এবার আমার উম্মতের মধ্যে কে সবচেয়ে' ভালো ব্যাক্তি আমাকে দেখাও।
আওয়াজ এলো, হে- মুসা! পথের ধারে বসো, সন্ধ্যা বেলায় যে ব্যাক্তি সর্বপ্রথম আসবে, সে-ই হলো তোমার উম্মতের মধ্যে সবচে'ভালো। সন্ধ্যা বেলায় হযরত মুসা (আনির্দিষ্টস্থানে বসলেন।
কিছুক্ষণ পর দেখলেন সকালের সে ব্যাক্তি-ই ছোট ছেলেকে কোলে করে ফিরতি পথে আসছে। তাকে দেখে হযরত মুসা (আঅত্যন্ত অবাক হলেন এবং গভীর চিন্তায় পড়ে গেলেন। হযরত মুসা (আ আল্লাহ'র নিকট আরজ করলেন, হে-দয়াময় প্রভু! আমি একী দেখতেছি! সকালে যে সবচেয়ে 'খারাপ ছিলো, সন্ধ্যায় সে কিভাবে সবচেয়ে 'ভালো হয়ে গেলো? অদৃশ্য থেকে মহান স্রষ্টা আল্লাহ উত্তর দিলেন, হে- মুসা!সকালে যখন এই ব্যাক্তি ছেলেকে সাথে নিয়ে তোমাকে অতিক্রমকরে জঙ্গলে প্রবেশ করলো, তখন ছেলে তাকে প্রশ্ন করে ছিলো, বাবা! এই জঙ্গল কতবড়?
সে ব্যক্তি উত্তরে বলেছিলো,অনেক বড়।ছেলে আবার প্রশ্ন করলো, বাবা! জঙ্গল থেকে কি বড় কোনো কিছু আছে? তখন বাবা বলেছিলো, হ্যাঁ বাবা! ঐপাহাড়গুলো জঙ্গল থেকে বড়। ছেলে পুনরায় প্রশ্ন করলো,পাহাড় থেকে কি বড়কিছু আছে?
বাবা বললো, আছে, এই আকাশ। ছেলে আবার প্রশ্ন করলো, আকাশ থেকে কি বড় কিছু আছে? সেই ব্যক্তি বললো,হ্যাঁ, আমার পাপ এই আকাশ থেকেও বড়। ছেলে বাবার এ উত্তর শোনে বললো,বাবা! তোমার পাপ থেকে বড় কি কোনো কিছু নেই?
তখন সেই ব্যক্তি চিৎকার দিয়ে কান্না করে লজ্জিত হয়ে গম্ভীর সুরে বললো, আছে বাবা! আমার পাপ থেকেও আল্লাহ'র রহমত অনেক বড়। হে-মুসা! এই ব্যক্তির পাপের অনুভূতি ও অনুশোচনা আমার এতো পছন্দ হয়েছে যে,আমি তাঁকে তোমার উম্মতের সবচেয়ে 'খারাপ ব্যক্তিকে সবচেয়ে' ভালো ব্যক্তি বানিয়ে দিয়েছি। আল্লাহু আকবর।
হে আল্লাহ তুমি আমাদের সকলকে পিছনের গুনাহের কথা সব সময় স্বরণ করে সামনের দিনগুলোকে সত্যপথে চলার তাওফিক দান করো।-----আমিন। আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক বুঝ দান করুন এবং সেই সময় এর মূসা(আঃ) এর সবচেয়ে খারাপ ব্যক্তিকে যে ভাবে ভালো বানিয়ে দিলেন ঠিক যেন আমাদের ও ভালো বানিয়ে দেন," আল্লাহুর রহমত অনেক বড়..
হে মূসা (আঃ) এই ব্যক্তি পাপের অনুভূতি ও অনুশোচনা আমার উম্মতের সবচেয়ে খারাপ ব্যক্তি সবচেয়ে ভালো ব্যক্তি বানিয়ে দিয়েছি, - আল্লাহ আকবার।হে আল্লাহ তুমি আমাদের সকলকে পিছনের গুনাহের কথা সব সময় স্বরন করে সামনের দিনগুলোকে সত্যপথের চলার তৌফিক দান করো।
বিষয়: বিবিধ
১৯১৯ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যদি বলেন কোরআন বা হাদীস তাহলে তার উৎস দিন।
অথবা আমার মতো পীরমুরীদ হলে বুজুর্গদের দলিল দিন এতেই যথেষ্ট!!
আপনার কাছে কি সেটার কোন প্রমান আছে ?
এই কাহিনীর উৎস কি?? পেলেন কোথায়??
আপনাকে আমাকে আল্লাহ হেফাযত করুন
মন্তব্য করতে লগইন করুন