ইতিহাস কথা বলে....মাওলানা ভাসানী'র "হক কথা'য় প্রকাশিত, সেই দেশ কাঁপানো সম্পাদকীয় -সত্য কথা বললে যে অসত্যবাদিরা সৈহ্য করতে পারেনা

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১৭ অক্টোবর, ২০১৫, ০৬:০০:০৫ সন্ধ্যা



একদিন শয়তানের প্রধানকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না। শয়তানের সকল শাখায় সংবাদ পৌছে গেল যে, শয়তান প্রধানের কোন খবর নাই।

খবর পাওয়া মাত্রই দুনিয়ার সকল শয়তান জরুরী ভিত্তিতে মিটিংয়ে মিলিত হয় এবং ব্যাপক অনুসন্ধান চালানো হয়। কিন্তু দুদিন পার হওয়ার পরও কোন সন্ধান কেউ দিতে পারেনি।

অতপর শয়তানের যে এজেন্ট জাহান্নামের দায়িত্বে আছেন,তাকে ফোন করা হল, শয়তান প্রধানকে আল্লাহ কোন গোপনে জাহান্নামে ঢুকিয়ে রেখেছে কিনা? খবর আসল তিনি জাহান্নামে নাই।

তাহলে বেহেশতে দেখ আল্লাহ কোন তাকে মাফ করে দিয়ে সেখানে রেখেছে কিনা? সকল সম্ভাব্য সুত্রে খবর নিয়ে দেখা গেল তিনি সেখানেও নেই। শয়তানের সকল এজেন্সীগুলো আবারো সচল হল এবং শয়তান প্রধানকে ভূপৃষ্টে তন্ন তন্ন করে খোঁজা হল। কোথাও থেকে কোন আশাব্যঞ্জক খবর পাওয়া গেলনা।

দুদিন পর অকস্মাত খবর আসল শয়তান প্রধানকে পাওয়া গিয়েছে। সবাই প্রশ্ন করল কোথায়?? উত্তর আসল তিনি বাংলাদেশের বঙ্গভবনে।

সবার প্রশ্ন তিনি ওখানে কি করছেন? মাধ্যম, উত্তরে জানালেন তিনি এখন শেখ মুজিবের পা টিপাটিপি করিতেছেন। সব শয়তান তাজ্জব হয়ে গেলেন দুনিয়ার এতকাজ থাকতে শয়তান প্রধান শেখ মুজিবের পা কেন টিপতেছেন কেন? তার সাথে কি কথা বলা যায়? উত্তর আসল এমুহুর্তে কথা বলার সময় ওনার হাতে নাই, কেউ যাতে ওনাকে বিরক্ত না করে। তারপরও সকল শয়তান তাদের প্রধানের নিকট অনুনয় বিনয় করে জানতে চাইলেন শেখ মুজিবের পা টিপার রহস্যটি কি? অবশেষে শয়তান প্রধান জানালেন, শয়তান প্রধান নিজেও একজন মানুষকে গোমরাহ করতে অনেক কষ্ট করতে হয়। কখনও সফল হন কখনও ব্যর্থ হন।

কিন্তু শেখ মুজিব যেভাবে একটি বক্তৃতা দিয়ে তার সকল অনুসারীদের গোমরাহ করেন, সে যোগ্যতা শয়তান প্রধানের নেই। শেখ মুজিব এককথায় যতজন মানুষকে পথভ্রষ্ট করতে পারেন, শয়তান প্রধান সারা জীবনেও তা করতে পারেন না। আর ৭ই মার্চের ভাষনে শেখ মুজিব এক বক্তৃতায় সাড়ে সাত কোটি মানুষকে গোমরাহ করেছে, যা কিনা সকল শয়তান সদস্য ১০০ বছরে করতে পারেনা। তাই শয়তান প্রধান অন্য সকল কাজ বাদ দিয়ে একজনের পা টিপাতে লেগে গেছেন, যদি শেখ মুজিবের মাধ্যমে আরেকটি বক্তৃতা বের করা যায় এই আশায়।

মাওলানা ভাষানী কর্তৃক প্রকাশিত হক কথা পত্রিকাটি তারপরদিনই নিষিদ্ধ করা হয় চিরতরে। মাওলানা ভাষানী গ্রেফতার হন, নিক্ষিপ্ত হন জেলের প্রকোষ্টে। এখানে উল্লেখ্য মাওলানা ভাসানী শেখ মুজিবর রহমানের রাজনৈতিক গুরু ছিলেনএকদিন শয়তানের প্রধানকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না। শয়তানের সকল শাখায় সংবাদ পৌছে গেল যে, শয়তান প্রধানের কোন খবর নাই।

খবর পাওয়া মাত্রই দুনিয়ার সকল শয়তান জরুরী ভিত্তিতে মিটিংয়ে মিলিত হয় এবং ব্যাপক অনুসন্ধান চালানো হয়। কিন্তু দুদিন পার হওয়ার পরও কোন সন্ধান কেউ দিতে পারেনি।

অতপর শয়তানের যে এজেন্ট জাহান্নামের দায়িত্বে আছেন,তাকে ফোন করা হল, শয়তান প্রধানকে আল্লাহ কোন গোপনে জাহান্নামে ঢুকিয়ে রেখেছে কিনা? খবর আসল তিনি জাহান্নামে নাই।

তাহলে বেহেশতে দেখ আল্লাহ কোন তাকে মাফ করে দিয়ে সেখানে রেখেছে কিনা? সকল সম্ভাব্য সুত্রে খবর নিয়ে দেখা গেল তিনি সেখানেও নেই। শয়তানের সকল এজেন্সীগুলো আবারো সচল হল এবং শয়তান প্রধানকে ভূপৃষ্টে তন্ন তন্ন করে খোঁজা হল। কোথাও থেকে কোন আশাব্যঞ্জক খবর পাওয়া গেলনা।

দুদিন পর অকস্মাত খবর আসল শয়তান প্রধানকে পাওয়া গিয়েছে। সবাই প্রশ্ন করল কোথায়?? উত্তর আসল তিনি বাংলাদেশের বঙ্গভবনে।

সবার প্রশ্ন তিনি ওখানে কি করছেন? মাধ্যম, উত্তরে জানালেন তিনি এখন শেখ মুজিবের পা টিপাটিপি করিতেছেন। সব শয়তান তাজ্জব হয়ে গেলেন দুনিয়ার এতকাজ থাকতে শয়তান প্রধান শেখ মুজিবের পা কেন টিপতেছেন কেন? তার সাথে কি কথা বলা যায়? উত্তর আসল এমুহুর্তে কথা বলার সময় ওনার হাতে নাই, কেউ যাতে ওনাকে বিরক্ত না করে। তারপরও সকল শয়তান তাদের প্রধানের নিকট অনুনয় বিনয় করে জানতে চাইলেন শেখ মুজিবের পা টিপার রহস্যটি কি? অবশেষে শয়তান প্রধান জানালেন, শয়তান প্রধান নিজেও একজন মানুষকে গোমরাহ করতে অনেক কষ্ট করতে হয়। কখনও সফল হন কখনও ব্যর্থ হন। কিন্তু শেখ মুজিব যেভাবে একটি বক্তৃতা দিয়ে তার সকল অনুসারীদের গোমরাহ করেন, সে যোগ্যতা শয়তান প্রধানের নেই। শেখ মুজিব এককথায় যতজন মানুষকে পথভ্রষ্ট করতে পারেন, শয়তান প্রধান সারা জীবনেও তা করতে পারেন না। আর ৭ই মার্চের ভাষনে শেখ মুজিব এক বক্তৃতায় সাড়ে সাত কোটি মানুষকে গোমরাহ করেছে, যা কিনা সকল শয়তান সদস্য ১০০ বছরে করতে পারেনা। তাই শয়তান প্রধান অন্য সকল কাজ বাদ দিয়ে একজনের পা টিপাতে লেগে গেছেন, যদি শেখ মুজিবের মাধ্যমে আরেকটি বক্তৃতা বের করা যায় এই আশায়।

মাওলানা ভাষানী কর্তৃক প্রকাশিত হক কথা পত্রিকাটি তারপরদিনই নিষিদ্ধ করা হয় চিরতরে। মাওলানা ভাষানী গ্রেফতার হন, নিক্ষিপ্ত হন জেলের প্রকোষ্টে। এখানে উল্লেখ্য মাওলানা ভাসানী শেখ মুজিবর রহমানের রাজনৈতিক গুরু ছিলেন

বিষয়: বিবিধ

১২৬৩ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

346050
১৭ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৫৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সেই গোমরাহির প্রতিক্রিয়া আমরা এখনও ভোগ করছি।
১৭ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩১
287170
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের জাতীকে হেফাযত করুন
346051
১৭ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৩
হতভাগা লিখেছেন :
মাওলানা ভাষানী কর্তৃক প্রকাশিত হক কথা পত্রিকাটি তারপরদিনই নিষিদ্ধ করা হয় চিরতরে।


০ যেভাবে সরকার বিরোধী পোস্ট পোস্টাইতাছেন তাতে এই ব্লগটাকেও না আবার নিষিদ্ধ করা হয় চিরতরে
১৭ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৩
287172
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : তা জানি কিন্তু এই ভাবে তো মানুষের ভিতর যেই ক্রোধ আছে সেটাকে তো মিটানো যায় না মিষ্টার হতভাগা
এক সময় এই সকল নিষিদ্ধ বিষয়গুলিই মাথা চাড়া দিয়ে উঠে কুটকৌশলিদের গলা টিপে দেয়
346053
১৭ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৮
শেখের পোলা লিখেছেন : মৌলানা ভাষানী সাহেবও বিষয়টি বুঝেছিলেন গোমরা হওয়ার পরে৷ আর তিনিই ছিলেন ঐ কারিগরেরই গুরু৷কাল কেয়ামতে তিনি এ দায় এড়াতে পারবেনকি?
১৭ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৪
287174
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : লাফঝাপ সব তো এই মাওলানাই শিখিয়েছেন তথাকথিত জাতীর বাবাকে
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
346165
১৮ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০২:১৫
মনসুর লিখেছেন : মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।
১৮ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০২:২৩
287252
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : আমিন
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File