নাস্তিক কাকে বলে? নাস্তিকতা বা এথিজম হল স্রষ্টার অস্তিত্বহীনতা তথা একথার বিশ্বাস করা যে, স্রষ্টা বলতে কিছু নেই।
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১৫ অক্টোবর, ২০১৫, ১০:১৫:৫৯ রাত
নাস্তিকতা বা এথিজম হল স্রষ্টার অস্তিত্বহীনতা তথা একথার বিশ্বাস করা যে, স্রষ্টা বলতে কিছু নেই। আসমান,জমিন, গ্রহ-তারা সবই এমনিতেই প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হয়েছে। এগুলোর কোন স্রষ্টা নেই। এক কথায় স্রষ্টার অস্তিত্বহীনতার বিশ্বাসের নাম নাস্তিক্যতা।
নাস্তিকতার অর্থ বুঝলে আমাদের অনেক বিষয় বুঝে আসবে। যেমন-
(১) নাস্তিক মানেই কাফের। কারণ কাফের হওয়ার জন্য দ্বীনে ইসলামের যে কোন একটি আবশ্যকীয় বিষয় অস্বিকার করলেই হয়।আর সেখানে নাস্তিক সেতো কোন কিছুই মানে না, তাই সে যে কাফের এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
(২) নাস্তিক মুরতাদ ও হতে পারে। কারণ কোন ব্যক্তি যদি মুসলমান ছিল প্রথমে, তারপর (আল্লাহ না করুন) স্রষ্টার অস্তিত্বহীনতায় বিশ্বাসী হয়ে যায়, তাহলে লোকটি নাস্তিক ও হল,সাথে সাথে মুরতাদও হল।সেই সাথে কাফেরতো হলোই।
(৩) কাফের ও মুরতাদ হওয়ার জন্য নাস্তিক হওয়া জরূরী নয়। বরং নাস্তিক না হয়েও কাফের বা মুরতাদ হতে পারে। কিন্তু নাস্তিক হলেই কাফের হয়ে যায়।যদি মুসলমানিত্ব থেকে নাস্তিকতার দিকে গেলে সাথে মুরতাদও হয়ে যায়।
এ বিষয়টি আরো ভাল করে বুঝতে হবে।কাফের হলেই তাকে নাস্তিক
হতে হবে এমন শর্ত নয়। কারণ কাফের হল ইসলামের জরূরী বিষয়ের কোন একটি অস্বিকার করা।নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর শান মান অস্বীকার করলে সে কাফের হয়ে যাবে।আর নাস্তিক মানে হল স্রষ্টা অস্বিকার করা।তাহলে কোন ব্যক্তি ইসলামের জরূরী কোন বিষয়ের অস্বিকার করে যদি স্রষ্টা আছে মানে,তাহলে উক্ত ব্যক্তি কাফের, কিন্তু নাস্তিক নয়। এ হিসেবে খৃষ্টান নাস্তিক নয়। নয় ইহুদীরাও।নয় হিন্দুরাও। কারণ তারা সবাই একজন স্রষ্টা আছেন মর্মে বিশ্বাস করে। কিন্তু তারা সবাই কাফের। কারণ তারা ইসলামের জরূরী বিষয় অস্বীকার করেছে।
কোন মুসলমানকে বিনা প্রমাণে কাফের বলা জায়েজ নয়।যদি তাঁর বিষয়ে ১০০% নিশ্চিত হয়ে থাকেন যে,সে কুফরী করেছে তাহলে তাকে কাফের বলা নিরাপদ। কোন ব্যক্তি ইসলামের জরূরী বিষয়কে মান্য করে, কিন্তু গোনাহগার। তাহলে উক্ত গোনাহের কারণে লোকটিকে কাফের বলা জায়েজ নয়। হারাম।
এখন হজ্ব নিয়ে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী স্ববিরোধী বক্তব্য কুফরী করাতে তাকে কী কাফের বলা যাবে? হ্যা যাবে, ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের এক স্তম্ভ হজ্ব নিয়ে কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী প্রকাশ্য কুফরী করেছে। তাকে কাফের বলা যাবে।
বিষয়: বিবিধ
৩৩৭৫ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
না দেখে আল্লাহকে বিশ্বাস করা , আল্লাহর হুকুম মানা ইসলাম তথা মুসলমানদের মূল ভিত্তি । এটা ওরা মানে না । আল্লাহ এদের জন্য শাস্তি নির্ধারণ করেই রেখেছেন। এরা বিপথে নিতে পারবে তাদেরকেই যারা আগে থেকেই বিপথের দিকে চালিত হয়েছে ।
Thanks
যেমনটি করেছিল তাছিলিমা নাছরিনকে নিয়ে , তাছলিমা নাছরিনের উপন্যাসের ভাষা যত উচুমানের তারথেকে আমাদের সাধারন লেখক যারা বই মেলায় বই লিখে পাঠককে পড়তে দেয় তাদের ভাষাশৈলী তাছলিমা নাছরিন থেকে আরো উচুমানের
তাছলিমা ইসলামের কঠোর সমালোচনা করেছে বস এটাই তার প্লাচপয়েন্ট
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
তবে এরপর পশ্চিমারাই লাথি মেরে বের করে দেবে । ঘুরে ফিরে সেই পশ্চিমবঙ্গই ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন