ও বউ ধান ভানো রে…ঢেঁকিতে পাড় দিয়া, ঢেঁকি নাচে বউ নাচে হেলিয়া দুলিয়া, বউ ধান ভানোরে

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১৩ অক্টোবর, ২০১৫, ০২:১৬:০৩ দুপুর



এক সময় সকালে ঘুম ভাঙ্গত যে ঢেঁকির ধুমধাম শব্দে, তা আজ আর শোনা যায় না। গ্রামবাংলার বধুরা এক সময় ঢেঁকি পারের তালে তালে গান গাইতো। আর তা শুনে মনের দুঃখ-কষ্ট দুর করতো বাড়িতে খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষ।

ঢেঁকি পারের শব্দে মনের ক্লান্তি দুর করে আবার কাজে মন দিত কৃষক। গ্রামবাংলার ঐহিত্যবাহী ঢেঁকি নিয়ে অনেক কবি লেখক কবিতা আর গান লিখেছেন।



যেমন- ঢেঁকির তালে হেলে দুলে ধান যে ভানতে পারে তেমনি বউ চাই গ্রামের সাধারণ কৃষকের। কিন্তু সেই ঢেঁকির আজ আর কোনো কদন নেই। আজ মানুষ যান্ত্রিক যন্ত্রপাতির দিকে ঝুঁকে পড়ে আগের দিনের গ্রামের ঐতিহ্যকে একেবারেই ভুলে যেতে বসেছে। গ্রামের বধুরা এক সময় ঢেঁকির তালে তালে ভাটিয়ালী, ভাওয়াইয়া, ঘেটু গানের সুর তুলতো। তারা মনের আনন্দে 'ও ধান ভানোরে ঢেঁকিতে পাড় দিয়া/আমি নাচি ঢেঁকি নাচে হেলিয়া-দুলিয়া, ও ধান ভানোরে' গানটি গাইতেন।



বিয়ের কনেকে গাঁয়ে গলুদ মাখাতে পাড়ার মহিলারা একত্রে হয়ে বিয়ের গীত গাইতো। সেই দিনের সেই সময়গুলো আজ শুধুই স্বপ্ন। কার্তিক অগ্রহায়ণ মাসে বাড়ির উঠানে নতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধে যখন সারাদেশে মাতোয়ারা ঠিক তখন গ্রামের মহিলারা নতুন ধানে পিঠা তৈরিতে মনোনিবেশ করতো। আর পিঠা তৈরির জন্য চাউলের গুড়া করতে ঢেঁকির কোনো বিকল্প ছিল না। ঢেঁকি ছাটা চাউলের ভাত গ্রামের কৃষকের প্রাণের চাওয়া ছিল।

আর আজ দেশে যান্ত্রিক মেশিনে ছাটা চাউল আগের দিনের মতো হয় না। ঢেঁকিতে করা চাউলের গুড়া দিয়ে তৈরি হয়েছে মন মাতানো সব পিঠা। যার মধ্যে পুলি, ভাপাপুলি, চিতাই, পাটিসাপটা, কুশলি, ভাজাপিঠাসহ নানা ধরনের সুস্বাদু খাবার। এখন গ্রাম থেকে সেই ঢেঁকি উঠে গেছে। এলাকার দু‘একটি বাড়িতে ঢেঁকি দেখা গেলেও তার প্রচলন আর আগের মতো নেই। বলা চলে, ঢেঁকি শিল্পটি প্রায়ই বিলুপ্তির পথে।

এক সময় সকালে ঘুম ভাঙ্গত যে ঢেঁকির ধুমধাম শব্দে, তা আজ আর শোনা যায় না। গ্রামবাংলার বধুরা এক সময় ঢেঁকি পারের তালে তালে গান গাইতো। আর তা শুনে মনের দুঃখ-কষ্ট দুর করতো বাড়িতে খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষ।

ঢেঁকি পারের শব্দে মনের ক্লান্তি দুর করে আবার কাজে মন দিত কৃষক। গ্রামবাংলার ঐহিত্যবাহী ঢেঁকি নিয়ে অনেক কবি লেখক কবিতা আর গান লিখেছেন। যেমন- ঢেঁকির তালে হেলে দুলে ধান যে ভানতে পারে তেমনি বউ চাই গ্রামের সাধারণ কৃষকের। কিন্তু সেই ঢেঁকির আজ আর কোনো কদন নেই। আজ মানুষ যান্ত্রিক যন্ত্রপাতির দিকে ঝুঁকে পড়ে আগের দিনের গ্রামের ঐতিহ্যকে একেবারেই ভুলে যেতে বসেছে। গ্রামের বধুরা এক সময় ঢেঁকির তালে তালে ভাটিয়ালী, ভাওয়াইয়া, ঘেটু গানের সুর তুলতো। তারা মনের আনন্দে 'ও ধান ভানোরে ঢেঁকিতে পাড় দিয়া/আমি নাচি ঢেঁকি নাচে হেলিয়া-দুলিয়া, ও ধান ভানোরে' গানটি গাইতেন।

বিয়ের কনেকে গাঁয়ে গলুদ মাখাতে পাড়ার মহিলারা একত্রে হয়ে বিয়ের গীত গাইতো। সেই দিনের সেই সময়গুলো আজ শুধুই স্বপ্ন। কার্তিক অগ্রহায়ণ মাসে বাড়ির উঠানে নতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধে যখন সারাদেশে মাতোয়ারা ঠিক তখন গ্রামের মহিলারা নতুন ধানে পিঠা তৈরিতে মনোনিবেশ করতো। আর পিঠা তৈরির জন্য চাউলের গুড়া করতে ঢেঁকির কোনো বিকল্প ছিল না।

ঢেঁকি ছাটা চাউলের ভাত গ্রামের কৃষকের প্রাণের চাওয়া ছিল। আর আজ দেশে যান্ত্রিক মেশিনে ছাটা চাউল আগের দিনের মতো হয় না।

ঢেঁকিতে করা চাউলের গুড়া দিয়ে তৈরি হয়েছে মন মাতানো সব পিঠা। যার মধ্যে পুলি, ভাপাপুলি, চিতাই, পাটিসাপটা, কুশলি, ভাজাপিঠাসহ নানা ধরনের সুস্বাদু খাবার। এখন গ্রাম থেকে সেই ঢেঁকি উঠে গেছে। এলাকার দু‘একটি বাড়িতে ঢেঁকি দেখা গেলেও তার প্রচলন আর আগের মতো নেই। বলা চলে, ঢেঁকি শিল্পটি প্রায়ই বিলুপ্তির পথে।

বিষয়: বিবিধ

২৬৬০ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

345516
১৩ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০৩:১৫
হতভাগা লিখেছেন : এখন বড় বড় সেতু তৈরি হচ্ছে , ফলে মানুষের নৌকায় চড়া কমে এসেছে । ইন্টারনেট + মোবাইলের যুগে এখন চিঠি লেখাও কমে এসেছে ।
১৩ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০৩:১৮
286653
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Good Luck Good Luck
345528
১৩ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৪:২৯
নাবিক লিখেছেন : আমাদের বাড়িতে এখনো ১টা ঢেঁকি আছে, তবে সেটা খুব কমই ব্যবহার করা হয়। লেখাটা ভালো লাগলো, ধন্যবাদ।
১৩ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৪:৩৯
286657
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : আমি সৌদি থেকে ছুটিতে বাড়ী গেলাম পর চাচাদের বাড়ী গিয়ে ঢেকি দেখে আশ্চার্য , তখন মনে হলো যে বাংলাদেশে এখনও ঢেকি আছে
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
345531
১৩ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৪:৩১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ঢেঁকিছাটা চালের পিঠা!!!! মজাই আলাদা!
১৩ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৪:৩৯
286658
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
345538
১৩ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২০
শেখের পোলা লিখেছেন : মুন্সী সাব, আর বলেন না আমাদের বাড়ী ঢেঁকী ছিল৷ শবে বরাতে সিরিয়াল মেইনটেন করে দিতে হত৷ রাত দিন তা চলত৷ আমার মাও ঢেঁকিতে ধান ভানত৷ আমিও ঢেঁকিতে পাড় দিয়েছি৷ এর পরই গ্রামে চারুবাবু ডিজেল ধান ভাঙ্গা মেশিন বসালেন৷ ঢেঁকির দায়িত্ব কমে গেল৷ আপনার লেখাটা দুবার হয়ে গেছে৷ ঠিক করে দিয়েন৷ ধন্যবাদ৷
১৩ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৩৯
286685
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
345573
১৩ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:০৯
আফরা লিখেছেন : ঢেঁকী কখনো দেখা হয়নি তবে নাম শুনেছি ।
১৩ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:১১
286710
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : আফরা আপু আপনি ঢেকি দেখেননি ?
তাহা হলে তো মশকিল
১৩ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:২৪
286723
আফরা লিখেছেন : জী না ভাইয়া আমার জন্ম ঢাকা শহরে কখনো গ্রামে যাওয়া হয়নি মানে আমাদের কোন গ্রাম নেই ।আর ১০ বছর বয়সে তো দেশ থেকেই চলে এসেছি ।
345579
১৩ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:৩০
346492
২০ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১১:৪৯
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আহা ছোটবেলায় এটা দেখেছি আর শখ করে পা দিয়ে কাজটাও চালিয়েছি। বেশ লাগত লাথি মারতে। আমরা চাল দিলে কিছু মহিলা তা থেকে গুড়ো করে দিত,চিড়াও বানিয়ে দিত টাকার বিনিময়ে। আবার কুমড়ো বড়ি তৈরী করে দিত। আহা কি যে মজা। বড়ি,বেগুন আর ইলিশ মাছ...ওহ...
২০ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬
287589
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : দারুন জিনিসের কথা বললেন জ্বিবায় পানি এসে গেল যে
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File