ঔষধি গাছ :-কেশ রাজ গাছের গুনাগুন এবং উপকারিতা জেনে রাখুন জরুরী কাজে ব্যাবহার করতে পারবেন
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ০৬ অক্টোবর, ২০১৫, ১১:৫০:৫২ রাত
কেশরাজকে অনেক স্থানে কেশুতি। কেউতি,কালোকেশিরিয়া, কালসাতার গাছ। বৈজ্ঞানিক নাম Ectipta prostrata Linn,Elcipta alba Hask। এর পরিবার Compositae।
পরিচয়: বর্ষজীবী কেশরাজ গুল্ম জাতীয় উদ্দ্ভিদ।
শাখা: লতানো। শাখা থেকে প্রশাখা বের হয়। শাখা বা প্রশাখা বের হয় বিপরীতভাবে। লম্বায় ৫০ থেকে ৬০ সে.মি. কালছে,রসে ভার ভারী। শাখা প্রশাখা এতটাই ভারী যে সেগুলো নিচের দিকে হেলানো থাকে। শাখা-প্রশাখার মত পাতাও বিপ্রতীপ ভাবে বের হয়।
পাতা: কেশরাজের পাতা খুবই ছোট। গাঢ় সবুজ রঙের। লম্বায় ৪ থেকে ৫সে.মি,চিকন। পাতার কোল থেকে প্রশাখা বের হয়। এই প্রশাখার শেষ প্রান্তে ২/৩ টি ফুল ফোঠে।
ফুল: পুল সাদা। অনেক গুলো সাদা সাদা রঙের পরাণ নালী। বৃতি পাচঁটি,সংযুক্ত। ফুল থেকে ফল হয়। ফুল র্অপ কয়েকদিনে ঝরে পড়ে ও ফল বাড়তে থাকে।
ফল: ফল গাঢ় সবুজ। প্লটের মত। ফলের ভেতর অতি ক্ষুদ্র বীজ। বীজের খোসা শুকোনো মাটির মত। খোসার ভেতর ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কালো রঙের অসংখ্য বীজ থাকে। ফল ফেটে বীজ পড়ে চারা গজায়।
উপকারী অংশ: পাতা,কাণ্ড,ফুল ও ফল। এই উদ্ভিদে এ্যালকোলয়েড স্টেরল,ইউডে লোল্যাকটোন,লিউটেইওলিন,গ্লাইকোসাইড,ট্রিটারপেন,গ্লাইকোসাইড এবং ফাইটেস্টেরল বিদ্যমান।
ব্যবহার:
» উদ্ভিদটি জাল দিয়ে নির্যাস তৈরী করে মায়োকার্ডিয়াল ডিপ্রেস্যান্ট ও হাইপোটেনসিভ এবং কয়েকটি পাতা বেটে খেলে কৃমি ও কাশি উপশম হয়।
» উদ্ভিদটির পাতা, ফুল ও ফলসহ সারাদেহ বেটে রস তৈরী করে নিয়মিত কয়েকদিন মাথায় দিলে মাথা ঠাণ্ডা হয়, চুল পড়া বন্ধ হয়, চুল লম্বা ও কালো হয়। প্রতিদিন রসের যোগান দেয়া সম্ভব না হলে এক কাপ রস তৈরী করে ২৫০ মিলিলিটার তিল তেল বা নারকেল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করলে একই ফল পাওয়া যায়।
» শরীরের কাটা যাওয়া স্থানে কেশরাজের পাতা বেটে পেস্ট বানিয়ে লাগালে সঙ্গে সঙ্গে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে কাটা স্থানের ক্ষত শুকিয়ে যায়।
বিষয়: বিবিধ
৩৬৮৪ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন