আপনাকে কি রাতের বেলা “বোবায় ধরে” কেন? এবং এর প্রতিকার!

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ০৫ অক্টোবর, ২০১৫, ০৫:১৭:১৮ বিকাল

অনেকের মুখেই শোণা যায় যে, তাদের রাতের বেলা ঘুমনোর সময় বোবায় ধরেছিল। কথাটা শুনলেই কেমন যেন শরীর ভারি ভারি হয়ে যায়। মনেহয় যেন সত্যি কোন ভূত এসেছিল তাদের কাছে। কমবেশি সবাই এই কথা বা পরিস্থিতির সাথে পরিচিত। ঠিক কেন এমন হয়? বিজ্ঞানে কি বলে, আসুন দেখি বিস্তারিত।

রাতে আপনি গভীর ঘুমের মাঝে আছেন হটাথ করে মাঝরাতে আপনার ঘুম ভেঙ্গে গেলো আর আপনি দেখছেন কি যেন একটা বড়সড় জিনিস বা বস্তু আপনার বুকের ওপরে চরে বসে আছে আর আপনি ঠিক মতো নিশ্বাস নিতে পারছেন না, আপনার শরীর যেন পাথর হয়ে গেছে, এক বিন্দু নড়াচড়া করতে পারছেন না।

চেষ্টা করছেন চীৎকার দেবার জন্য কিন্তু সেটিও পারছেন না।

এই ধরনের পরিস্থিতিতে পড়লে যেকেউই অনেক ভয় পেয়ে যাবে।

মনে পরে যাবে যতসব ভৌতিক কথা বার্তা। কিন্তু বাস্তবে এটি হবার কারন ভিন্ন।

বিশেষজ্ঞদের মতে বোবায় ধরা বা স্লিপ প্যারালাইসিস তেমন কিছু না এটি একটি ইন্দ্রিয় ঘটিত ব্যাপার।

আপনি যখন গভীর ঘুমে থাকেন এবং আপনার শরীর একপাশ থেকে অন্য পাশে যায় তখন এটি ঘটে। যখন একটি মানুষকে বোবায় ধরে তখন একেক জনার একেক ধরনের অভিজ্ঞতা হয়।

কেউ তার ঘরের ভেতরে ভৌতিক কোনকিছুর উপস্থিতি টের পায়।

কেউ আবার ভয়ানক কোন জন্তু জানোয়ারের দেখে।

এইগুলা আসলে সবই মনের ভুল ধরনা আর এই অনুভূতি শুধুমাত্র ভয়ের কারনে হয়ে থাকে বাস্তবে কিছু না।

আপনি যখন ঘুমের ঘোরে এক পাশ থেকে অন্য পাশ ফিরতে যান আপনার মস্তিষ্ক তখন সযাক হয়ে পরে কিন্তু আপনার শরীর ঘুমের মধ্যেই থাকে আর ঠিক তখনি এই ধরনের ঘটনা ঘটে।

এতে ভয় পাবার কিছু নেই এটি একটি স্বাভাবিক ব্যাপার।

ঠিক কেন এমন হয়?

বোবায় ধরা বা স্লিপ প্যরালাইসিসের বিভিন্ন কারনে হতে পারে।

এর মধ্যে প্রধান কিছু কারন হচ্ছে, সবসময় খুব মানসিক চাপের ভেতরে থাকা, অপর্যাপ্ত ঘুম, সারাদিন খুব কঠিন পরিশ্রম করা, ইত্যাদি। বিশেষজ্ঞদের মতে যখন কেউ ঘুমের মাঝে এক পাশ থেকে অপর পাশে ফিরেন তখন এটি হয়। এছাড়া আরও কিছু কারনে হয় যেমন, কোন দুঃস্বপ্ন দেখে হটাথ করে ঘুম ভেঙ্গে গেলে, দুশ্চিন্তা করতে করতে ঘুমিয়ে গেলে, হাত-পায়ের মাংশে খিঁচ ধরা, বিষণ্ণতা, ইত্যাদি ঘুম সংক্রান্ত সমস্যা।

স্লিপ প্যরালাইসিসের থেকে বাঁচার উপায়-

বোবায় ধরা বা স্লিপিং প্যারাইসিস থেকে বাঁচতে হলে আপনাকে সচেতন হতে হবে এবং ঘুমনোর জন্য নিদিষ্ট সময় মেনে চলতে হবে।

মনে রাখবেন আপনার জন্য দৈনিক ৮ ঘণ্টা ঘুম খুব বেশি জরুরি। অযথা রাত জাগার কোন দরকার নেই। আর রাত্রে ঘুমনোর আগে মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপ ব্যাবহার থেকে বিরত থাকুন এতে করে আপনার তারাতারি ঘুম আসবে। যদি পারেন রাত্রে ঘুমনোর আগে ওযু করে ঘুমতে যাবেন এতে করে দেখবেন আপনার অনেক ফ্রেস ঘুম হবে।

বিষয়: বিবিধ

২১৭৪ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

344530
০৫ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৫:২৫
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : আমি নাকি মাঝে মাঝে রাতের বেলা কথা বলি। তবে মাসে দু একবার।
০৫ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৫:৩২
285863
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : চমতকার কথা
উল্লেখিত ফরমুলা প্রয়োগ করুন
344531
০৫ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৫:২৮
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : সুন্দর পোষ্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
০৫ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৫:৩২
285864
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ
344535
০৫ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:০৭
নাবিক লিখেছেন : আমার আব্বাকে আগে প্রায়ই বোবায় ধরে।
০৫ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:০৯
285865
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : উল্লেখিত ফরমুলা প্রয়োগ করুন
০৫ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৩১
285866
নাবিক লিখেছেন : জি আব্বাকে বলবো
344548
০৫ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো.আমার মাঝে মাঝে এমন হয়। একটু শ্বাস কষ্ট আছে সেই জন্যই হয়। এখন অবশ্য শুধু বুকের চাপটাই অনুভব করি।
০৫ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৫০
285867
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor উল্লেখিত ফরমুলা প্রয়োগ করুন
344552
০৫ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০০
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : বোবায় ধরা কত প্রকার ও কি কি তার সবগুলোই উদাহরণ সহ অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে।

আমি প্রায় জাগ্রত ছিলাম। মশারী আলগা করে আমার বিছানায় কেউ আসছে- পরিস্কার টের পেলাম। তারপর শুরু হলো যুদ্ধ। এ অবস্থায় কুরআন থেকে তেলাওয়াত করতে থাকতাম।....
০৫ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০২
285870
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : জি এমন একবার আমারও হয়েছিল
344553
০৫ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০২
শেখের পোলা লিখেছেন : শুনেছি তবে এমন পরিস্থিতে পড়িনি কোনদিন৷ তবে মাঝে মাঝে ঘুমের মাঝে মনে হয় হঠাৎ পড়ে গেলাম তখন রীতিমত নড়ে উঠি৷ সযাগ করার জন্য ধন্যবাদ৷
০৫ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৩
285872
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck
344576
০৫ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৯:০৩
আফরা লিখেছেন : মনে হয় ৫/৬ বছর হবে আমার একবার এরকম হয়েছিল , হঠাত আমি চেয়ে দেখি আমার জানালায় একটা পাখি এসে বসল আমার খাট জানালা থেকে বেশ দুরে কিন্তু পাখি অনেক লম্বা একটা গলা বাড়িয়ে ঠোট দিলে আমার গলায় সুরসুরি দিচ্ছে , আমার খুব অসহ্য লাগছে কিন্তু আমি একটু ও নড়তে পারছি না ভয়ে এমন জুড়ে মামনি বলে চিৎকার দিয়েছি আমার ঘুম ছুটে যায় । এর পর আর কখনো হয়নি ।

ধন্যবাদ ।
০৫ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৯:১৪
285894
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : আমার অনেকবার হয়েছিল
বিদেশ যাওয়ার পরেও বেশ কয়েকবার এমন হয়েছিল
এখন আর হয়না
344594
০৫ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৯:৫১
শফিউর রহমান লিখেছেন : বর্ণিত কারণগুলোই সব নয় - এর বাইরেও কারণ থাকতে পারে, যা চিকিৎসা বিজ্ঞান বলতে পারে না এখনো। যা বলেছে তার মধ্যে ধারণার আশ্রয়ই প্রধান। উল্লিখিত কারণগুলোর বাইরেও এমনটি ঘটে তার প্রমাণ রয়েছে।

প্রতিকারগুলো ভাল বলেছেন।
ধন্যবাদ।
০৫ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১০:০৮
285902
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : সহমত
ধন্যবাদ।
344602
০৫ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:১৮
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
সত্যিই দারুন লেগেছে। সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া। জাযাকাল্লাহ খাইর
০৫ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:২৩
285905
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : ওয়ালাইকুমুসসালাম
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
১০
344622
০৬ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৩:৫৬
কাহাফ লিখেছেন :
এই সমস্যা আমার ছোট্ট বেলা থেকেই!
এখন একটু কমলেও ফুরিয়ে যায়নি একেবারে!
ঘুমের মধ্য হটাৎ ঘুম ভেংগে গিয়ে অদ্ভূত ভয়ংকর অবস্হার মুখোমুখী হচ্ছি বুঝতে পারি তা! আশ-পাশের এবং স্বীয় অবস্হানও খেয়াল থাকে!এমনকি অন্যদের কথাও শুনি,কষ্ট হয়-কেন আমাকে তারা বুঝছে না!
জানা বিভিন্ন দুয়া-দরুদ পড়তে পড়তে এক সময় শেষ হয় কঠিন এ অবস্হা!
কখনও কখনও ঐ সময়ের আঘাতের রেশ/চিহ্ন জেগে যাওয়ার অনেক পরও অনুভূত হয় আমার কাছে!!
০৬ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ১২:২৮
285928
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : আমার ছোটবেলায় এমন অবস্থা অনেকবার হয়েছিল
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File