পৃথিবীর কিছু ভৌতিক স্থান যার রহস্য এখনো বিজ্ঞান দিতে পারে নি - ০২
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ০১ অক্টোবর, ২০১৫, ০৩:৫৫:২১ দুপুর
প্রাচীন রাম হোটেল, ইংল্যান্ড-
আপনি যদি ভুতের ঘটনার অপর একেবারেই বিশ্বাস না করে থাকেন তবে দেখতে পারেন এই হোটেলটি। এখানে সবসময় কেমন যেন স্যাঁতস্যাতে পরিবেশ আর কেমন যেন কদাকার একটি গন্ধে ভরে থাকে। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হচ্ছে এই হোটেলটি একটি কবরের ওপর তৈরি করা হয়েছে। আর এখানকার সবারই ধারনা যে এইজন্য এখানকার পরিবেশ এমন ভুতুড়ে
মন্টে ক্রিস্টো, অস্ট্রেলিয়া
এই বাড়ির মালিক মিসেস ক্রাওলি তার স্বামীর মৃত্যুর পরবর্তী ২৩ বছরে মাত্র ২ বার বাড়ির বাইরে বের হয়েছিল। এবং তার মৃত্যুর পর আজও নাকি তাকে এই বাড়িতে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। এই বাড়ির ভেতর থেকে যারা ঘুরে এসেছে তাদের মুখ থেকে এর সত্যতা মেলে। তারা বলে বাড়ির ভেতরে গেলে মনে হয় কে যেন আয়নার সামনে দাড়িয়ে আছে আবার হুট করে মিলিয়ে যাচ্ছে। তারা আরও বলেন যখন তারা ক্রাওলির ঘরে প্রবেশ করে তখন প্রত্যেকে রূদ্ধশ্বাস পরিস্থিতির ভেতরে ছিলেন এবং তাদের মনে হচ্ছিলো যেন তাদের সারা গায়ে কেমন রক্তবর্ণে দেখা দিচ্ছে পরবর্তীতে যখন বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে তখন সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়।
এডিনবার্গ দুর্গ, স্কটল্যান্ড-
স্থানীয়দের মতে এই অসাধারণ দুর্গে ভূত দেখা গিয়েছে অনেকবার এবং এখানে যেসব পর্যটক ঘুরতে এসেছে তারাও এই বিষয়টি স্বীকার করেছে। জানা যায় ফরাসি যুদ্ধ চলার সময় এখানে বহু বন্দীকে হত্যা করা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে এই জায়গাটি হয়ে ওঠে অভিশপ্ত।
ডোমিনিকান হিল, ফিলিপাইনস-
সবাই বলে এখানে নাকি যুদ্ধের সময় যারা আহত হতো তাদের চিকিৎসা দেয়া হতো আর চিকিৎসারত অবস্থায় যারা মারা যেত তাদের এখানেই কবর দেয়া হতো। পরবর্তীতে জায়গাটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এখানকার মানুষেরা বলে রাত হলে নাকি এখান থেকে সব অদ্ভুত রকমের শব্দ পাওয়া যায়। কখনো গুলির শব্দ, কখনো মানুষের বাঁচার জন্য আর্তনাদ ইত্যাদি। ভয়ে এখানে কেউ আসে না। আর যারা টুরিস্ট আসে তারা দূর থকে দেখেই চলে যায়।
বেরি পোমেরয় দুর্গ, টোটনেস-
এই জায়গাটি যতটা সুন্দর ততটাই ভয়ংকর, এমনটা শোনাযাই প্রায় চৌদ্দ শতক আগে এখানে একটি হত্যাকাণ্ড ঘটে। কিংবদন্তী অনুসারে, হোয়াইট লেডি হলেন মার্গারেট পোমেরয়ের আত্মা যিনি বন্দি অবস্থায় অনাহারে মৃত্যুবরণ করেন আর তাকে বন্দি করেছিল তারই হিংসুটে বোন। এই দুর্গের অনেক জায়গায় তাকে ঘুরতে দেখা যাই। এবং অনেকেই এই অভিযোকটি করেছেন।
বর্তমানে আমরা আর কেউ আর এইসব ভূত পেত বলে কিছু বিশ্বাস করিনা। আসলেই কি এইসব কিছু আছে? নাকি শুধু আমাদের কল্পনা চোখের ভুল। জানিনা সত্যিটা আসলে কি। তবে এখন পর্যন্ত এই ঘটনাগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা কেউ দিতে পারিনি।
বিষয়: বিবিধ
১৭৯২ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ
জ্বিনদের মধ্যে ভাল এবং মন্দ দুই টাইপের রয়েছে। মন্দ টাইপের কোন গোষ্ঠি কোন জায়গাকে তাদের বসবাসের জন্য নির্দিষ্ট করে নিতেই পারে এবং সেখানে মানুষ গেলে ভয় দেখানোর চেষ্টা করার মধ্যে কোন অস্বাভাবিকতা থাকতে পারে না।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন